উত্তরাঞ্চলের বন্যা প্রবণ কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলায় ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা মিলনায়তনে বেসরকারি সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ লুক্সেমবার্গ এর অর্থায়নে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈদা পারভীন, সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এসএম হাবিবুর রহমান, সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: কামরুল ইসলাম, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মামুনা রাব্বি মালিহা, সদর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন, যাত্রাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর, ফ্রেন্ডশিপের আঞ্চলিক সম্বনয়কারী আব্দুস সালাম প্রমুখ।
অভিজ্ঞতা বিনিময় সভায় জানানো হয়, ফ্রেন্ডশিপ একটি বেসরকারী, অলাভজনক, অরাজনৈতিক এবং সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। ২০০২ সাল থেকে বাংলাদেশের দুর্যোগ প্রবণ অঞ্চলে বিশেষ করে চর ও উপকূলীয় এলাকায় দরিদ্র ও হতদরিদ্র মানুষের জন্য কাজ করে আসছে। সংস্থাটি ১৯৬১ এর আইনের আওতায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রেশন ভুক্ত হয় ২৬ জানুয়ারি ১৯৯৮ সালে এবং এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর রেজিস্ট্রেশনভুক্ত হয় ১৪ নভেম্বর ২০০২ সালে। টেকসই উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগের সহায়ক হিসেবে দরিদ্র মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন, সংস্কৃতির রক্ষণ, সুশাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ফ্রেন্ডশিপের অন্যতম কার্যক্রম। ফ্রেন্ডশিপের ২০২৪ সালে মে মাস হতে ২০২৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের বন্যা প্রবণ কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলায় ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে চর এলাকায় স্বেচ্ছাসেবকদের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে জলবায়ু সংক্রান্ত চরম ঘটনা বিশেষ করে বন্যার বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রতিকূল প্রভাব মোকাবেলায় দুর্যোগ ঝুঁকি কমানোর প্রচেষ্টা বাড়ানো।এই প্রকল্পের আওতায় কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ও ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নে ফ্রেন্ডশিপ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য রয়েছে নারী ৪শতাধিক এবং পুরুষ ২শতাধিক। এছাড়াও এই দুটি ইউনিয়নে বন্যা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য রয়েছে নারী ১০০জন এবং পুরুষ ১০০জন। উক্ত প্রকল্পের মাধ্যমে আড়াই কিলোমিটার রাস্তা মেরামত এবং উঁচু করা হয়েছে। নতুন নৌকা তৈরি ১৬টি এবং মেরামত করা হয়েছে ৩১টি। দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় ৮৯১টি পরিবারে আলগা চুলা ও ৭৮০টি পরিবারের ঘর স্থাপন ও মেরামত করা হয়। গবাদি পশুর খোঁয়াড় তৈরি ও মেরামত করা হয়-৭১২টি। নলকূপ স্থাপন-২৭৫টি ও মেরামত করা হয়েছে-৩০৬টি। ল্যাট্টিন তৈরি ও মেরামত ৫৪৭টি। ৯১৫টি পরিবারকে আলগা মাটি এবং শুকনো পাতা সংরক্ষণ এবং ১৪৪০টি পরিবারে শুকনো খাবার, জ্বালানি কাঠ,গবাদি পশুর খাবার সংরক্ষণসহ ৫৭৬০টি বৃক্ষরোপণ করা হয়।
দুর্যোগপ্রবণ এলাকার লোকদের প্রাথমিক চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়-৪৯জন,উদ্ধার করা হয়েছে-১১টি পরিবার এবং ১৮৬জন শিশুকে সাঁতার শেখানো হয়েছে।
প্রকল্পে অর্ন্তভুক্ত বন্যা স্বেচ্ছাসেবক গঠন এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুর্যোগ, বিপদ, দুর্বলতা, ঝুঁকি, ক্ষমতা ইত্যাদি বিষয়ে মৌলিক আলোচনা,অনুসন্ধান ও উদ্ধার, ডুবে যাওয়া প্রতিরোধ, প্রাথমিক চিকিৎসা,টিউবওয়েল মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ, ভাসমান ল্যাট্রিন এবং ধোঁয়া,আশ্রয়কেন্দ্র শক্তিশালীকরণ, ভেঙে ফেলা এবং শক্তিশালীকরণ, সৌর সিস্টেম ইনস্টলেশন এবং মেরামতের কৌশলের উপর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
উত্তরাঞ্চলের বন্যা প্রবণ কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলায় ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা মিলনায়তনে বেসরকারি সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ লুক্সেমবার্গ এর অর্থায়নে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈদা পারভীন, সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এসএম হাবিবুর রহমান, সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: কামরুল ইসলাম, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মামুনা রাব্বি মালিহা, সদর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন, যাত্রাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর, ফ্রেন্ডশিপের আঞ্চলিক সম্বনয়কারী আব্দুস সালাম প্রমুখ।
অভিজ্ঞতা বিনিময় সভায় জানানো হয়, ফ্রেন্ডশিপ একটি বেসরকারী, অলাভজনক, অরাজনৈতিক এবং সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। ২০০২ সাল থেকে বাংলাদেশের দুর্যোগ প্রবণ অঞ্চলে বিশেষ করে চর ও উপকূলীয় এলাকায় দরিদ্র ও হতদরিদ্র মানুষের জন্য কাজ করে আসছে। সংস্থাটি ১৯৬১ এর আইনের আওতায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রেশন ভুক্ত হয় ২৬ জানুয়ারি ১৯৯৮ সালে এবং এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর রেজিস্ট্রেশনভুক্ত হয় ১৪ নভেম্বর ২০০২ সালে। টেকসই উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগের সহায়ক হিসেবে দরিদ্র মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন, সংস্কৃতির রক্ষণ, সুশাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ফ্রেন্ডশিপের অন্যতম কার্যক্রম। ফ্রেন্ডশিপের ২০২৪ সালে মে মাস হতে ২০২৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের বন্যা প্রবণ কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলায় ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে চর এলাকায় স্বেচ্ছাসেবকদের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে জলবায়ু সংক্রান্ত চরম ঘটনা বিশেষ করে বন্যার বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রতিকূল প্রভাব মোকাবেলায় দুর্যোগ ঝুঁকি কমানোর প্রচেষ্টা বাড়ানো।এই প্রকল্পের আওতায় কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ও ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নে ফ্রেন্ডশিপ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য রয়েছে নারী ৪শতাধিক এবং পুরুষ ২শতাধিক। এছাড়াও এই দুটি ইউনিয়নে বন্যা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য রয়েছে নারী ১০০জন এবং পুরুষ ১০০জন। উক্ত প্রকল্পের মাধ্যমে আড়াই কিলোমিটার রাস্তা মেরামত এবং উঁচু করা হয়েছে। নতুন নৌকা তৈরি ১৬টি এবং মেরামত করা হয়েছে ৩১টি। দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় ৮৯১টি পরিবারে আলগা চুলা ও ৭৮০টি পরিবারের ঘর স্থাপন ও মেরামত করা হয়। গবাদি পশুর খোঁয়াড় তৈরি ও মেরামত করা হয়-৭১২টি। নলকূপ স্থাপন-২৭৫টি ও মেরামত করা হয়েছে-৩০৬টি। ল্যাট্টিন তৈরি ও মেরামত ৫৪৭টি। ৯১৫টি পরিবারকে আলগা মাটি এবং শুকনো পাতা সংরক্ষণ এবং ১৪৪০টি পরিবারে শুকনো খাবার, জ্বালানি কাঠ,গবাদি পশুর খাবার সংরক্ষণসহ ৫৭৬০টি বৃক্ষরোপণ করা হয়।
দুর্যোগপ্রবণ এলাকার লোকদের প্রাথমিক চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়-৪৯জন,উদ্ধার করা হয়েছে-১১টি পরিবার এবং ১৮৬জন শিশুকে সাঁতার শেখানো হয়েছে।
প্রকল্পে অর্ন্তভুক্ত বন্যা স্বেচ্ছাসেবক গঠন এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুর্যোগ, বিপদ, দুর্বলতা, ঝুঁকি, ক্ষমতা ইত্যাদি বিষয়ে মৌলিক আলোচনা,অনুসন্ধান ও উদ্ধার, ডুবে যাওয়া প্রতিরোধ, প্রাথমিক চিকিৎসা,টিউবওয়েল মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ, ভাসমান ল্যাট্রিন এবং ধোঁয়া,আশ্রয়কেন্দ্র শক্তিশালীকরণ, ভেঙে ফেলা এবং শক্তিশালীকরণ, সৌর সিস্টেম ইনস্টলেশন এবং মেরামতের কৌশলের উপর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।