ভারতের সীমান্তরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ) তিনটি পৃথক সীমান্ত দিয়ে মোট ৪২ বাংলাদেশিকে বাংলাদেশে ‘পুশ ইন’ করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে পঞ্চগড়, চুয়াডাঙ্গা এবং নওগাঁ সীমান্ত দিয়ে তাদের দেশে পাঠানো হয়। বিজিবি জানিয়েছে, ফেরত আসাদের অধিকাংশই বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন এবং সেখান থেকে পুলিশ তাদের আটক করে বিএসএফের মাধ্যমে সীমান্তে ফেরত পাঠায়।
পঞ্চগড়:
পঞ্চগড়ের সদর ও তেঁতুলিয়া উপজেলার দুটি সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ ‘পুশ ইন’ করেছে ১৭ জনকে। এর মধ্যে সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের বাঙ্গালপাড়া দিয়ে ১০ জন এবং তেঁতুলিয়ার ভজনপুর সীমান্ত দিয়ে ৭ জন বাংলাদেশিকে দেশে পাঠানো হয়। নীলফামারী-৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর কাজী আসিফ আহমদ জানান, ভোরে সীমান্ত পার হওয়ার সময় তাদের আটক করা হয় এবং দুপুরে তাদের যথাক্রমে সদর ও তেঁতুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বিজিবির ভাষ্য, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন এবং ভারতীয় পুলিশ উড়িষ্যা ও মহারাষ্ট্রসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করে পরে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। বিএসএফ শিলিগুড়ি থেকে তাদের এনে সীমান্তে পুশ ইন করে।
চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ১৫ জন বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। এদের মধ্যে চারজন পুরুষ, চারজন নারী এবং সাতজন শিশু-কিশোর। বিজিবি জানিয়েছে, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে হরিয়ানা রাজ্যে বিভিন্ন কাজে নিযুক্ত ছিলেন। ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে বিএসএফের মাধ্যমে সীমান্তে ফেরত পাঠায়।
বিজিবির যাচাই-বাছাইয়ের পর পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের হস্তান্তর করা হয়। বাংলাদেশ পক্ষের নেতৃত্ব দেন চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হাসান এবং ভারতের পক্ষে ছিলেন ৩২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট সুজিত কুমার।
নওগাঁ:
নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন সীমান্ত দিয়ে ১০ জন বাংলাদেশিকে পুশ ইন করে বিএসএফ। পত্নীতলা-১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার ভোররাতে সীমান্তের মহেষপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকদের মধ্যে দুইজন পুরুষ এবং আটজন নারী। বিজিবি জানায়, তারা মুম্বাইয়ে নির্মাণ শ্রমিক ও গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে এবং পরে বিএসএফ সীমান্তে এনে পুশ ইন করে।
সবার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিজিবি কর্মকর্তারা। আটক ব্যক্তিদের শেল্টার হোমে রাখা হয়েছে এবং স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
ভারতের সীমান্তরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ) তিনটি পৃথক সীমান্ত দিয়ে মোট ৪২ বাংলাদেশিকে বাংলাদেশে ‘পুশ ইন’ করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে পঞ্চগড়, চুয়াডাঙ্গা এবং নওগাঁ সীমান্ত দিয়ে তাদের দেশে পাঠানো হয়। বিজিবি জানিয়েছে, ফেরত আসাদের অধিকাংশই বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন এবং সেখান থেকে পুলিশ তাদের আটক করে বিএসএফের মাধ্যমে সীমান্তে ফেরত পাঠায়।
পঞ্চগড়:
পঞ্চগড়ের সদর ও তেঁতুলিয়া উপজেলার দুটি সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ ‘পুশ ইন’ করেছে ১৭ জনকে। এর মধ্যে সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের বাঙ্গালপাড়া দিয়ে ১০ জন এবং তেঁতুলিয়ার ভজনপুর সীমান্ত দিয়ে ৭ জন বাংলাদেশিকে দেশে পাঠানো হয়। নীলফামারী-৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর কাজী আসিফ আহমদ জানান, ভোরে সীমান্ত পার হওয়ার সময় তাদের আটক করা হয় এবং দুপুরে তাদের যথাক্রমে সদর ও তেঁতুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বিজিবির ভাষ্য, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন এবং ভারতীয় পুলিশ উড়িষ্যা ও মহারাষ্ট্রসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করে পরে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। বিএসএফ শিলিগুড়ি থেকে তাদের এনে সীমান্তে পুশ ইন করে।
চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ১৫ জন বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। এদের মধ্যে চারজন পুরুষ, চারজন নারী এবং সাতজন শিশু-কিশোর। বিজিবি জানিয়েছে, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে হরিয়ানা রাজ্যে বিভিন্ন কাজে নিযুক্ত ছিলেন। ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে বিএসএফের মাধ্যমে সীমান্তে ফেরত পাঠায়।
বিজিবির যাচাই-বাছাইয়ের পর পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের হস্তান্তর করা হয়। বাংলাদেশ পক্ষের নেতৃত্ব দেন চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হাসান এবং ভারতের পক্ষে ছিলেন ৩২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট সুজিত কুমার।
নওগাঁ:
নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন সীমান্ত দিয়ে ১০ জন বাংলাদেশিকে পুশ ইন করে বিএসএফ। পত্নীতলা-১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার ভোররাতে সীমান্তের মহেষপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকদের মধ্যে দুইজন পুরুষ এবং আটজন নারী। বিজিবি জানায়, তারা মুম্বাইয়ে নির্মাণ শ্রমিক ও গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে এবং পরে বিএসএফ সীমান্তে এনে পুশ ইন করে।
সবার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিজিবি কর্মকর্তারা। আটক ব্যক্তিদের শেল্টার হোমে রাখা হয়েছে এবং স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।