লক্ষ্মীপুর রায়পুর উপজেলার মেঘনা নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে নদী তীরবর্তী বাড়িঘর ও ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা। প্রতিবছরই নতুন করে বাড়ছে ভাঙনের পরিধি। নদীর পাড়ে বসবাসকারী মানুষদের ঘুম ভাঙে ড্রেজারের গর্জনে, দিন কাটে নদীভাঙনের ভয়ে। স্থানীয়দের কাছে এ যেন এক চলমান আতঙ্কের নাম অবৈধ বালু উত্তোলন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রভাবশালীমহল ক্ষমতার অপব্যবহার করে এসব বালু উত্তোলন করে বিক্রি করলেও নীরব ভূমিকায় রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। উপজেলার চরবংশী ইউনিয়নের মোল্লারহাট এলাকার এক কিলোমিটারের মধ্যে মেঘনা নদীতে প্রায় ২০টি অবৈধ ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে প্রতিদিন ভোর থেকে রাত পর্যন্ত চলছে বালু তোলার কাজ। এতে পানি প্রবাহের গতি পরিবর্তন হয়ে নদীর পাড় ভেঙে এলাকার ফসলি জমিসহ বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হওয়ার পথে। তবে বালু উত্তোলনকারীরা রাজনীতিক ভাবে প্রভাবশালী হওয়ার ভয়ে কিছুই বলতে সাহস পাচ্ছে না স্থানীয়রা।
জানা গেছে, এই বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত চরবংশী ইউনিয়নের মো.পলাশ, রাসেল খলিফা, মহিউদ্দিন সোহাগ, গফুর মোল্লা, শিমুল হাওলাদার, সুমন বেপারী, মিন্টু মোল্লা ও হুমায়ুন কবিরসহ স্থানীয় প্রভাবশালী একাধিক ব্যক্তি। এরা সবাই একটি রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং বিভিন্ন পদে রয়েছে। যদিও বালু উত্তোলনের জন্য তাদের কাছে কোনো অনুমতি নেই। এতে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সরেজমিন বুধবার মেঘনা নদীর পাড়ে দেখা যায় নদীর মাঝখানে ও কূল ঘেঁষে ৫টি ড্রেজার মেশিন বসানো। এর প্রতিটি মেশিনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন সদস্যরা। এসব দলের সদস্যরা ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে দিনে রাতে অবিরাম বালু তোলার ফলে নদীর তীর ধসে পড়ছে একের পর এক। নদীর পাড়ে বসবাসকারীদের জীবনে এখন সবচেয়ে বড় শত্রু অবৈধ ড্রেজার মেশিন।
এ বিষয়ে রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইমরান খান বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি, তবে যদি কেউ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগেও সেনাবাহিনীর সহ বেশ কিছু ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করা হয়েছে। খুব দ্রুত আরও একটি অভিযান পরিচালনা করা হবে।
শুক্রবার, ০১ আগস্ট ২০২৫
লক্ষ্মীপুর রায়পুর উপজেলার মেঘনা নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে নদী তীরবর্তী বাড়িঘর ও ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা। প্রতিবছরই নতুন করে বাড়ছে ভাঙনের পরিধি। নদীর পাড়ে বসবাসকারী মানুষদের ঘুম ভাঙে ড্রেজারের গর্জনে, দিন কাটে নদীভাঙনের ভয়ে। স্থানীয়দের কাছে এ যেন এক চলমান আতঙ্কের নাম অবৈধ বালু উত্তোলন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রভাবশালীমহল ক্ষমতার অপব্যবহার করে এসব বালু উত্তোলন করে বিক্রি করলেও নীরব ভূমিকায় রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। উপজেলার চরবংশী ইউনিয়নের মোল্লারহাট এলাকার এক কিলোমিটারের মধ্যে মেঘনা নদীতে প্রায় ২০টি অবৈধ ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে প্রতিদিন ভোর থেকে রাত পর্যন্ত চলছে বালু তোলার কাজ। এতে পানি প্রবাহের গতি পরিবর্তন হয়ে নদীর পাড় ভেঙে এলাকার ফসলি জমিসহ বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হওয়ার পথে। তবে বালু উত্তোলনকারীরা রাজনীতিক ভাবে প্রভাবশালী হওয়ার ভয়ে কিছুই বলতে সাহস পাচ্ছে না স্থানীয়রা।
জানা গেছে, এই বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত চরবংশী ইউনিয়নের মো.পলাশ, রাসেল খলিফা, মহিউদ্দিন সোহাগ, গফুর মোল্লা, শিমুল হাওলাদার, সুমন বেপারী, মিন্টু মোল্লা ও হুমায়ুন কবিরসহ স্থানীয় প্রভাবশালী একাধিক ব্যক্তি। এরা সবাই একটি রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং বিভিন্ন পদে রয়েছে। যদিও বালু উত্তোলনের জন্য তাদের কাছে কোনো অনুমতি নেই। এতে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সরেজমিন বুধবার মেঘনা নদীর পাড়ে দেখা যায় নদীর মাঝখানে ও কূল ঘেঁষে ৫টি ড্রেজার মেশিন বসানো। এর প্রতিটি মেশিনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন সদস্যরা। এসব দলের সদস্যরা ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে দিনে রাতে অবিরাম বালু তোলার ফলে নদীর তীর ধসে পড়ছে একের পর এক। নদীর পাড়ে বসবাসকারীদের জীবনে এখন সবচেয়ে বড় শত্রু অবৈধ ড্রেজার মেশিন।
এ বিষয়ে রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইমরান খান বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি, তবে যদি কেউ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগেও সেনাবাহিনীর সহ বেশ কিছু ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করা হয়েছে। খুব দ্রুত আরও একটি অভিযান পরিচালনা করা হবে।