যশোরের অভয়নগরে এক ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বুকসমান বালুতে পুঁতে রেখে চার কোটির বেশি টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক বিএনপি নেতা ও একজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর স্ত্রী এ বিষয়ে সেনা ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী শাহনেওয়াজ কবীর ওরফে টিপু (৪৮) নওয়াপাড়া এলাকার ‘জাফ্রিদী এন্টারপ্রাইজ’-এর স্বত্বাধিকারী। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে বর্তমানে তিনি এলাকা ছেড়ে গেছেন বলে জানান তাঁর স্ত্রী আসমা খাতুন।
৩১ জুলাই অভয়নগরের রাজঘাট সেনা ক্যাম্পে জমা দেওয়া অভিযোগে আসমা জানান, গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে সৈকত হোসেন ওরফে হিরা নামের এক ব্যক্তি তাঁর স্বামীকে কৌশলে নওয়াপাড়া পৌর বিএনপির (পদ স্থগিত) সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান জনির ব্যক্তিগত কার্যালয়ে নিয়ে যান। সেখানে অস্ত্রের মুখে তাঁকে জিম্মি করে দুই কোটি টাকা দাবি করা হয়। পরে সাউথ বাংলা ব্যাংক থেকে আসাদুজ্জামানের প্রতিষ্ঠানের হিসাবে ওই টাকা পাঠানো হয়।
এরপর ১৮ সেপ্টেম্বর আবারও শাহনেওয়াজ কবীরকে তুলে নিয়ে কনা ইকোপার্কে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। সেখানেও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বুকসমান গর্ত খুঁড়ে তাঁকে বালুতে পুঁতে নির্যাতন করা হয়। এ সময় আরও দুই কোটি টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। পরে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক ব্যাংকের মাধ্যমে সাংবাদিক মফিজ উদ্দিনের হিসাবে এক কোটি টাকা পাঠান।
আসমা বলেন, “জিম্মি করে একাধিকবার টাকা আদায় করা হয়েছে। আমাদের পরিবার এখন নিঃস্ব। ছেলের পরীক্ষার ফরম পূরণের মতো টাকাও নেই। আমি ন্যায়বিচার চাই।”
এ বিষয়ে একাধিকবার চেষ্টা করেও বিএনপি নেতা জনির সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। অভিযুক্ত সাংবাদিক মফিজ উদ্দিন অবশ্য সংযোগ পেয়ে বলেন, “আপনি যাকে খুঁজছেন, আমি সে মফিজ না।” এরপর তিনি ফোন কেটে দেন।
অভয়নগর থানার ওসি আবদুল আলিম বলেন, “লিখিত অভিযোগ পাইনি, তবে মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্ত করছি।”
শনিবার, ০২ আগস্ট ২০২৫
যশোরের অভয়নগরে এক ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বুকসমান বালুতে পুঁতে রেখে চার কোটির বেশি টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক বিএনপি নেতা ও একজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর স্ত্রী এ বিষয়ে সেনা ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী শাহনেওয়াজ কবীর ওরফে টিপু (৪৮) নওয়াপাড়া এলাকার ‘জাফ্রিদী এন্টারপ্রাইজ’-এর স্বত্বাধিকারী। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে বর্তমানে তিনি এলাকা ছেড়ে গেছেন বলে জানান তাঁর স্ত্রী আসমা খাতুন।
৩১ জুলাই অভয়নগরের রাজঘাট সেনা ক্যাম্পে জমা দেওয়া অভিযোগে আসমা জানান, গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে সৈকত হোসেন ওরফে হিরা নামের এক ব্যক্তি তাঁর স্বামীকে কৌশলে নওয়াপাড়া পৌর বিএনপির (পদ স্থগিত) সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান জনির ব্যক্তিগত কার্যালয়ে নিয়ে যান। সেখানে অস্ত্রের মুখে তাঁকে জিম্মি করে দুই কোটি টাকা দাবি করা হয়। পরে সাউথ বাংলা ব্যাংক থেকে আসাদুজ্জামানের প্রতিষ্ঠানের হিসাবে ওই টাকা পাঠানো হয়।
এরপর ১৮ সেপ্টেম্বর আবারও শাহনেওয়াজ কবীরকে তুলে নিয়ে কনা ইকোপার্কে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। সেখানেও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বুকসমান গর্ত খুঁড়ে তাঁকে বালুতে পুঁতে নির্যাতন করা হয়। এ সময় আরও দুই কোটি টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। পরে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক ব্যাংকের মাধ্যমে সাংবাদিক মফিজ উদ্দিনের হিসাবে এক কোটি টাকা পাঠান।
আসমা বলেন, “জিম্মি করে একাধিকবার টাকা আদায় করা হয়েছে। আমাদের পরিবার এখন নিঃস্ব। ছেলের পরীক্ষার ফরম পূরণের মতো টাকাও নেই। আমি ন্যায়বিচার চাই।”
এ বিষয়ে একাধিকবার চেষ্টা করেও বিএনপি নেতা জনির সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। অভিযুক্ত সাংবাদিক মফিজ উদ্দিন অবশ্য সংযোগ পেয়ে বলেন, “আপনি যাকে খুঁজছেন, আমি সে মফিজ না।” এরপর তিনি ফোন কেটে দেন।
অভয়নগর থানার ওসি আবদুল আলিম বলেন, “লিখিত অভিযোগ পাইনি, তবে মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্ত করছি।”