নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুরাইয়া পারভীনের বিরুদ্ধে সরকারি প্রায় এক হাজার ফলদ গাছের চারা বিতরণ না করে খালের পানিতে ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার সকালে, অধ্যক্ষ সুরাইয়া পারভীনের নির্দেশে গাছের চারাগুলো খালে ফেলে দেয়া হয়। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় এলাকাবাসী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে প্রতিবাদ জানান এবং চারাগুলো নষ্ট করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী, শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও স্থানীয়রা জানান, জেলা প্রশাসনের ‘গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ’ কর্মসূচির আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের কৃষি প্রণোদনায় প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকদের এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাঝে বিনামূল্যে ফলদ গাছের চারা বিতরণ করা হয়।
জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিয়া রূপগঞ্জে প্রায় ২০ হাজার গাছের চারা বিতরণের মাধ্যমে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
‘নারায়ণগঞ্জ হবে সবুজে ঘেরা, প্রান্ডের ড্যান্ডি হবে বিশ্বে সেরা’ এই স্লোগান সামনে রেখে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় কৃষ্ণচূড়া, শিমুল, সুপারি, নারিকেল, তাল, সাজিনা, অর্জুন, নিম, কাঁঠাল, আম, বকুল ও সোনালু প্রজাতির চারা রোপণের উদ্যোগ নেয়া হয়।
রূপগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস গত ১৫ জুলাই ভুলতা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুরাইয়া পারভীনের কাছে প্রায় ১,২০০টি চারা হস্তান্তর করে। ১৬ জুলাই, মাত্র ১২০টি চারা রোপণ করা হয়। বাকি প্রায় ১,০০০ চারা বিতরণ বা রোপণ না করে নষ্ট করে ফেলা হয়।
সরকারি ছুটির সুযোগে অধ্যক্ষের নির্দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দারোয়ান মোস্তফা মিয়া ও সুইপার জুবায়ের হোসেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে খালের পানিতে চারাগুলো ফেলে দেন। খবর পেয়ে এলাকাবাসী এসে বাধা দেন এবং প্রতিবাদ করেন।
এ সময় দারোয়ান মোস্তফা মিয়া ও সুইপার জুবায়ের হোসেন বলেন, ‘অধ্যক্ষ ম্যাডাম বলেছেন গাছের চারা নষ্ট হয়ে গেছে, তাই এগুলো ফেলে দিতে বলেছেন। আমরা তাই করেছি।’
স্কুলের কম্পিউটার অপারেটর শামীমা সুলতানা উমা জানান, ‘স্কুলের পাশেই আমার টেইলার্সের দোকান রয়েছে। খালে চারা ফেলা হচ্ছে দেখে স্থানীয়রা আমাকে জানায়। আমি দারোয়ান ও সুইপারকে জিজ্ঞেস করলে তারা জানায়, অধ্যক্ষের নির্দেশেই তারা এসব করেছে।’
অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুরাইয়া পারভীনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।
রূপগঞ্জ উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফারিয়া আক্তার রুবি বলেন, ‘সরকারি চারা বিতরণ না করে নষ্ট করার অধিকার কারো নেই। রোপণ বা বিতরণ সম্ভব না হলে কৃষি অফিসে ফেরত দেয়ার নিয়ম। এটা অন্যায় কাজ হয়েছে, আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
এছাড়াও, অধ্যক্ষ সুরাইয়া পারভীনের বিরুদ্ধে এর আগেও সরকারি বই গোপনে বিক্রির অভিযোগ ওঠে।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলেজ প্রাঙ্গণে বই বিক্রির সময় স্থানীয়দের হাতে অধ্যক্ষ, পিকআপচালক ও চোরাই বই ক্রেতা আটক হলেও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিক নূরে আলম মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে তাদের ছেড়ে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এর আগে সুরাইয়া পারভীনের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাৎ, কাজ না করিয়ে বিল উত্তোলনসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। বই বিক্রির ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শনিবার, ০২ আগস্ট ২০২৫
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুরাইয়া পারভীনের বিরুদ্ধে সরকারি প্রায় এক হাজার ফলদ গাছের চারা বিতরণ না করে খালের পানিতে ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার সকালে, অধ্যক্ষ সুরাইয়া পারভীনের নির্দেশে গাছের চারাগুলো খালে ফেলে দেয়া হয়। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় এলাকাবাসী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে প্রতিবাদ জানান এবং চারাগুলো নষ্ট করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী, শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও স্থানীয়রা জানান, জেলা প্রশাসনের ‘গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ’ কর্মসূচির আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের কৃষি প্রণোদনায় প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকদের এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাঝে বিনামূল্যে ফলদ গাছের চারা বিতরণ করা হয়।
জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিয়া রূপগঞ্জে প্রায় ২০ হাজার গাছের চারা বিতরণের মাধ্যমে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
‘নারায়ণগঞ্জ হবে সবুজে ঘেরা, প্রান্ডের ড্যান্ডি হবে বিশ্বে সেরা’ এই স্লোগান সামনে রেখে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় কৃষ্ণচূড়া, শিমুল, সুপারি, নারিকেল, তাল, সাজিনা, অর্জুন, নিম, কাঁঠাল, আম, বকুল ও সোনালু প্রজাতির চারা রোপণের উদ্যোগ নেয়া হয়।
রূপগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস গত ১৫ জুলাই ভুলতা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুরাইয়া পারভীনের কাছে প্রায় ১,২০০টি চারা হস্তান্তর করে। ১৬ জুলাই, মাত্র ১২০টি চারা রোপণ করা হয়। বাকি প্রায় ১,০০০ চারা বিতরণ বা রোপণ না করে নষ্ট করে ফেলা হয়।
সরকারি ছুটির সুযোগে অধ্যক্ষের নির্দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দারোয়ান মোস্তফা মিয়া ও সুইপার জুবায়ের হোসেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে খালের পানিতে চারাগুলো ফেলে দেন। খবর পেয়ে এলাকাবাসী এসে বাধা দেন এবং প্রতিবাদ করেন।
এ সময় দারোয়ান মোস্তফা মিয়া ও সুইপার জুবায়ের হোসেন বলেন, ‘অধ্যক্ষ ম্যাডাম বলেছেন গাছের চারা নষ্ট হয়ে গেছে, তাই এগুলো ফেলে দিতে বলেছেন। আমরা তাই করেছি।’
স্কুলের কম্পিউটার অপারেটর শামীমা সুলতানা উমা জানান, ‘স্কুলের পাশেই আমার টেইলার্সের দোকান রয়েছে। খালে চারা ফেলা হচ্ছে দেখে স্থানীয়রা আমাকে জানায়। আমি দারোয়ান ও সুইপারকে জিজ্ঞেস করলে তারা জানায়, অধ্যক্ষের নির্দেশেই তারা এসব করেছে।’
অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুরাইয়া পারভীনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।
রূপগঞ্জ উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফারিয়া আক্তার রুবি বলেন, ‘সরকারি চারা বিতরণ না করে নষ্ট করার অধিকার কারো নেই। রোপণ বা বিতরণ সম্ভব না হলে কৃষি অফিসে ফেরত দেয়ার নিয়ম। এটা অন্যায় কাজ হয়েছে, আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
এছাড়াও, অধ্যক্ষ সুরাইয়া পারভীনের বিরুদ্ধে এর আগেও সরকারি বই গোপনে বিক্রির অভিযোগ ওঠে।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলেজ প্রাঙ্গণে বই বিক্রির সময় স্থানীয়দের হাতে অধ্যক্ষ, পিকআপচালক ও চোরাই বই ক্রেতা আটক হলেও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিক নূরে আলম মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে তাদের ছেড়ে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এর আগে সুরাইয়া পারভীনের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাৎ, কাজ না করিয়ে বিল উত্তোলনসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। বই বিক্রির ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।