নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) : নিখুঁছড়ি বিজিবি ক্যাম্প পর্যন্ত রাস্তাটির অবস্থা জরাজীর্ণ -সংবাদ
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেরার মাট এলাকায় মাত্র ১ কিলোমিটার রাস্তার অভাবে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ পরিবারের হাজারো মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী সদর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চেরার মাট ব্রিক সলিনের মাথা থেকে চেরার মাট খালের বাঁধ হয়ে নিখুঁছড়ি বিজিবি ক্যাম্প পর্যন্ত রাস্তাটি প্রতিদিন ব্যবহার করছে হাজারো মানুষ। শুধু তাই নয়, পাশের চাকঢালা ও আমতলী এলাকার বাসিন্দারাও এই পথ ব্যবহার করে নিখুঁছড়িতে যাতায়াত করে থাকেন।
ওই এলাকার মুরব্বি হাজী মোহাম্মদ আলী, সাহেদ মিয়া ও জাফর আলম জানান, “আমরা ৪০ বছর ধরে খাঁড়া মাটির এই রাস্তা দিয়েই চলাচল করছি। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থী ও বৃদ্ধ, অসুস্থ রোগীদের নেয়া-আনা করতে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়।”
মো. নুরুল আমিন ও মো. সোলাইমান জানান, “ভোট এলেই নেতারা রাস্তাটি সংস্কারের আশ্বাস দেন।
কিন্তু ভোটের পরে তাদের আর দেখা মেলে না। প্রতিদিন এই রাস্তায় আমাদের উৎপাদিত পণ্য আনা-নেয়া করতে গিয়ে দুর্ভোগ যেন নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
তারা আরও জানান, “বিশেষ করে চেরার মাট থেকে চেরার খালের বাঁধ পর্যন্ত মাত্র ১ কিলোমিটার রাস্তাটি যদি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে ব্রিকসলিন করে দেয়া হয়, তাহলে আমাদের কষ্ট অনেকটাই লাঘব হবে।”
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ফরিদুল আলম জানান, “আমি একাধিকবার চেষ্টা করেও বিগত সরকারের অনীহার কারণে কাজটি করাতে পারিনি।”
এ বিষয়ে পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল কালাম বলেন, “বিগত ‘খাই খাই’ সরকার শুধু খেয়েছে, মানুষকে কিছু দেয়নি। তবে এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করা হলে তা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হবে।”
নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) : নিখুঁছড়ি বিজিবি ক্যাম্প পর্যন্ত রাস্তাটির অবস্থা জরাজীর্ণ -সংবাদ
শনিবার, ০২ আগস্ট ২০২৫
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেরার মাট এলাকায় মাত্র ১ কিলোমিটার রাস্তার অভাবে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ পরিবারের হাজারো মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী সদর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চেরার মাট ব্রিক সলিনের মাথা থেকে চেরার মাট খালের বাঁধ হয়ে নিখুঁছড়ি বিজিবি ক্যাম্প পর্যন্ত রাস্তাটি প্রতিদিন ব্যবহার করছে হাজারো মানুষ। শুধু তাই নয়, পাশের চাকঢালা ও আমতলী এলাকার বাসিন্দারাও এই পথ ব্যবহার করে নিখুঁছড়িতে যাতায়াত করে থাকেন।
ওই এলাকার মুরব্বি হাজী মোহাম্মদ আলী, সাহেদ মিয়া ও জাফর আলম জানান, “আমরা ৪০ বছর ধরে খাঁড়া মাটির এই রাস্তা দিয়েই চলাচল করছি। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থী ও বৃদ্ধ, অসুস্থ রোগীদের নেয়া-আনা করতে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়।”
মো. নুরুল আমিন ও মো. সোলাইমান জানান, “ভোট এলেই নেতারা রাস্তাটি সংস্কারের আশ্বাস দেন।
কিন্তু ভোটের পরে তাদের আর দেখা মেলে না। প্রতিদিন এই রাস্তায় আমাদের উৎপাদিত পণ্য আনা-নেয়া করতে গিয়ে দুর্ভোগ যেন নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
তারা আরও জানান, “বিশেষ করে চেরার মাট থেকে চেরার খালের বাঁধ পর্যন্ত মাত্র ১ কিলোমিটার রাস্তাটি যদি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে ব্রিকসলিন করে দেয়া হয়, তাহলে আমাদের কষ্ট অনেকটাই লাঘব হবে।”
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ফরিদুল আলম জানান, “আমি একাধিকবার চেষ্টা করেও বিগত সরকারের অনীহার কারণে কাজটি করাতে পারিনি।”
এ বিষয়ে পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল কালাম বলেন, “বিগত ‘খাই খাই’ সরকার শুধু খেয়েছে, মানুষকে কিছু দেয়নি। তবে এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করা হলে তা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হবে।”