জাতটি গ্রীষ্মকালীন চাষের উপযোগী এবং এর স্বাদ অত্যন্ত মিষ্টি, পাশাপাশি আকারেও বড়
নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের বাশাটি পাতারিয়া গ্রামে প্রথমবারের মতো ক্লাস্টার পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে সফলতা অর্জনের পথে রয়েছেন কৃষক সুমন মিয়া ও আলী উসমান।
প্রায় দুই একর জমিতে তাঁরা উচ্চফলনশীল “সুগার কুইন” জাতের তরমুজের চাষ করেছেন, যা এ অঞ্চলের কৃষির জন্য এক নতুন দৃষ্টান্ত।
তরমুজের এই জাতটি গ্রীষ্মকালীন চাষের উপযোগী এবং এর স্বাদ অত্যন্ত মিষ্টি, পাশাপাশি আকারেও বড়। আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির সহায়তায় বীজ বপন থেকে শুরু করে ফলন পর্যন্ত তাঁরা সেচ, সার প্রয়োগ, কীটনাশক ব্যবহার এবং গাছের পরিচর্যায় সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়েছেন। বর্তমানে মাঠজুড়ে দেখা যাচ্ছে পরিপক্ব ও বড় আকৃতির তরমুজের চমৎকার ফলন।
কৃষকরা বলেন, প্রথমবারের মতো এই চাষে নেমে এত ভালো ফলন পাব, তা ভাবিনি। আশা করছি, বাজারে ভালো দাম পেলে খরচের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি লাভ হবে। এই পদ্ধতিতে চাষ করলে পরিচর্যা ও বাজারজাতকরণ সহজ হয়। পাশাপাশি কৃষি অফিসের কাছ থেকেও নিয়মিত সহযোগিতা পাচ্ছি।
গতকাল শুক্রবার কেন্দুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার বলেন, তরমুজ একটি উচ্চমূল্যের লাভজনক ফসল, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালীন সময়ে এর চাহিদা বেশি থাকে। সুমন ও আলী উসমান তাদের সাহসী উদ্যোগ দিয়ে অন্য কৃষকদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন। তাদের দেখে ইতোমধ্যে আরও অনেক কৃষক গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে চাষিদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ক্লাস্টার পদ্ধতিতে চাষাবাদ করলে উৎপাদন ও বিপণন সহজ হয়, কৃষি বিভাগের পক্ষে সহায়তা করাও কার্যকর হয়। এটি কেন্দুয়ার কৃষি অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিচ্ছে।
বাশাটি গ্রামের মাঠ এখন শুধু সবুজ নয়, ভরপুর টসটসে তরমুজে। এটি আর কেবল লাভের স্বপ্ন নয়, বরং সফল বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি। সময়মতো পরিচর্যা ও সঠিক বাজার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হলে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ কেন্দুয়ায় কৃষি বিপ্লবের সূচনা ঘটাতে পারে।
জাতটি গ্রীষ্মকালীন চাষের উপযোগী এবং এর স্বাদ অত্যন্ত মিষ্টি, পাশাপাশি আকারেও বড়
শনিবার, ০২ আগস্ট ২০২৫
নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের বাশাটি পাতারিয়া গ্রামে প্রথমবারের মতো ক্লাস্টার পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে সফলতা অর্জনের পথে রয়েছেন কৃষক সুমন মিয়া ও আলী উসমান।
প্রায় দুই একর জমিতে তাঁরা উচ্চফলনশীল “সুগার কুইন” জাতের তরমুজের চাষ করেছেন, যা এ অঞ্চলের কৃষির জন্য এক নতুন দৃষ্টান্ত।
তরমুজের এই জাতটি গ্রীষ্মকালীন চাষের উপযোগী এবং এর স্বাদ অত্যন্ত মিষ্টি, পাশাপাশি আকারেও বড়। আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির সহায়তায় বীজ বপন থেকে শুরু করে ফলন পর্যন্ত তাঁরা সেচ, সার প্রয়োগ, কীটনাশক ব্যবহার এবং গাছের পরিচর্যায় সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়েছেন। বর্তমানে মাঠজুড়ে দেখা যাচ্ছে পরিপক্ব ও বড় আকৃতির তরমুজের চমৎকার ফলন।
কৃষকরা বলেন, প্রথমবারের মতো এই চাষে নেমে এত ভালো ফলন পাব, তা ভাবিনি। আশা করছি, বাজারে ভালো দাম পেলে খরচের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি লাভ হবে। এই পদ্ধতিতে চাষ করলে পরিচর্যা ও বাজারজাতকরণ সহজ হয়। পাশাপাশি কৃষি অফিসের কাছ থেকেও নিয়মিত সহযোগিতা পাচ্ছি।
গতকাল শুক্রবার কেন্দুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার বলেন, তরমুজ একটি উচ্চমূল্যের লাভজনক ফসল, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালীন সময়ে এর চাহিদা বেশি থাকে। সুমন ও আলী উসমান তাদের সাহসী উদ্যোগ দিয়ে অন্য কৃষকদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন। তাদের দেখে ইতোমধ্যে আরও অনেক কৃষক গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে চাষিদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ক্লাস্টার পদ্ধতিতে চাষাবাদ করলে উৎপাদন ও বিপণন সহজ হয়, কৃষি বিভাগের পক্ষে সহায়তা করাও কার্যকর হয়। এটি কেন্দুয়ার কৃষি অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিচ্ছে।
বাশাটি গ্রামের মাঠ এখন শুধু সবুজ নয়, ভরপুর টসটসে তরমুজে। এটি আর কেবল লাভের স্বপ্ন নয়, বরং সফল বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি। সময়মতো পরিচর্যা ও সঠিক বাজার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হলে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ কেন্দুয়ায় কৃষি বিপ্লবের সূচনা ঘটাতে পারে।