রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার বেতগাড়ি ইউনিয়নের আলদাদপুর বালাপাড়া গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে এক সাংবাদিককে আটক করেছে সেনাবাহিনী।
শনিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে রংপুর সদর উপজেলার হরিদেবপুর ইউনিয়নের গোকুলপুর চওড়াপাড়ায় নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয় বলে জানান গঙ্গাচড়া মডেল থানার ওসি আল এমরান।
গ্রেপ্তার হওয়া হাবিবুর রহমান সেলিম রংপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক যুগের আলো পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক।
ওসি আল এমরান বলেন, “আলদাদপুরে হিন্দুপল্লিতে হামলার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে হামলাকারীদের উসকানি দিয়েছেন সাংবাদিক সেলিম। এ ঘটনার ভিডিও ও অডিও শুনে তাকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।”
তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সেনাবাহিনী তাকে থানায় হস্তান্তর করে। হিন্দুপল্লিতে ভাঙচুরের ঘটনায় করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
রোববার সকালে সাংবাদিক সেলিমকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
গত ২৬ জুলাই ফেইসবুকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে ‘কটূক্তির’ অভিযোগে গঙ্গাচড়ার আলদাদপুর ছয়আনি বালাপাড়া এলাকার এক হিন্দু কিশোরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। রাতেই ওই কিশোরের এক আত্মীয়ের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে।
পরদিন ২৭ জুলাই সাইবার সুরক্ষা আইনে করা মামলায় ওই কিশোরকে আদালতের মাধ্যমে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়। তবে ওই এলাকার পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পাশের জেলা নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার সিংগেরগাড়ি, মাগুড়া ও বাংলাবাজার এলাকা থেকে দফায় দফায় লোকজন মিছিল নিয়ে এসে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাট চালায়।
পুলিশ বাধা দিলে সেখানে সংঘর্ষ বাধে। এতে এক পুলিশ সদস্য আহত হন। হামলাকারীরা ভাঙচুর করে হিন্দু সম্প্রদায়ের একাধিক বাড়িঘর।
ঘটনার তিন দিন পর, ২৯ জুলাই, আলদাদপুর ছয়আনি পাড়া গ্রামের বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ রায় অজ্ঞাতপরিচয় ১০০০ থেকে ১২০০ জনকে আসামি করে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় মামলা করেন।
এ মামলায় সবশেষে এক সাংবাদিকসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এবং তারা কারাগারে রয়েছেন।
রোববার, ০৩ আগস্ট ২০২৫
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার বেতগাড়ি ইউনিয়নের আলদাদপুর বালাপাড়া গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে এক সাংবাদিককে আটক করেছে সেনাবাহিনী।
শনিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে রংপুর সদর উপজেলার হরিদেবপুর ইউনিয়নের গোকুলপুর চওড়াপাড়ায় নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয় বলে জানান গঙ্গাচড়া মডেল থানার ওসি আল এমরান।
গ্রেপ্তার হওয়া হাবিবুর রহমান সেলিম রংপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক যুগের আলো পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক।
ওসি আল এমরান বলেন, “আলদাদপুরে হিন্দুপল্লিতে হামলার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে হামলাকারীদের উসকানি দিয়েছেন সাংবাদিক সেলিম। এ ঘটনার ভিডিও ও অডিও শুনে তাকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।”
তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সেনাবাহিনী তাকে থানায় হস্তান্তর করে। হিন্দুপল্লিতে ভাঙচুরের ঘটনায় করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
রোববার সকালে সাংবাদিক সেলিমকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
গত ২৬ জুলাই ফেইসবুকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে ‘কটূক্তির’ অভিযোগে গঙ্গাচড়ার আলদাদপুর ছয়আনি বালাপাড়া এলাকার এক হিন্দু কিশোরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। রাতেই ওই কিশোরের এক আত্মীয়ের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে।
পরদিন ২৭ জুলাই সাইবার সুরক্ষা আইনে করা মামলায় ওই কিশোরকে আদালতের মাধ্যমে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়। তবে ওই এলাকার পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পাশের জেলা নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার সিংগেরগাড়ি, মাগুড়া ও বাংলাবাজার এলাকা থেকে দফায় দফায় লোকজন মিছিল নিয়ে এসে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাট চালায়।
পুলিশ বাধা দিলে সেখানে সংঘর্ষ বাধে। এতে এক পুলিশ সদস্য আহত হন। হামলাকারীরা ভাঙচুর করে হিন্দু সম্প্রদায়ের একাধিক বাড়িঘর।
ঘটনার তিন দিন পর, ২৯ জুলাই, আলদাদপুর ছয়আনি পাড়া গ্রামের বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ রায় অজ্ঞাতপরিচয় ১০০০ থেকে ১২০০ জনকে আসামি করে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় মামলা করেন।
এ মামলায় সবশেষে এক সাংবাদিকসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এবং তারা কারাগারে রয়েছেন।