ডুমুরিয়া উপজেলার ভদ্রা নদী, বিলডাকাতিয়ার বিল, লতাবুনিয়া, কাকমারি, হাজিবুনিয়া, শোভনাসহ বিভিন্ন খাল-বিল ও জলাশয়ে নিষিদ্ধ রিং জাল অবাধে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই জাল পরিবেশ এবং দেশীয় জলজ প্রাণী বৈচিত্র্যের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। নিষিদ্ধ রিং জালের কারণে প্রতিনিয়ত পোনা মাছ, ডিমওয়ালা মা মাছ এবং সদ্য ফোটা মাছের ব্যাপক নিধন ঘটছে। এতে দেশীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে এবং শোল, টাকি, বেলে, ট্যাংরা, কৈ ও বোয়ালসহ বহু দেশীয় মাছের প্রজাতি মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, প্রশাসনের কার্যকর নজরদারির অভাবে রিং জালের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। সাহসের বাসিন্দা মান্দার গাজী বলেন, সকালেই তিনি দেখেছেন একজন জেলে প্রায় ১০-১২টি রিং জাল ফেলেছে- যার প্রতিটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৩০ থেকে ৬০ মিটার। এমন অবস্থা প্রতিদিনই চলছে। অথচ এর বিরুদ্ধে কোনো প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না।
সচেতন এলাকাবাসী জানান, শুধু নিষেধাজ্ঞা জারি করলেই রিং জালের ব্যবহার বন্ধ হবে না। মাঠ পর্যায়ে নিয়মিত অভিযান, জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম এবং বিক্রয়-বিতরণে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন। তারা বলেন, খাল-বিলে মাছ ধরার দোকানগুলোতে রিং জালের বিক্রয় বন্ধ করতে হবে এবং জালের দোকানগুলোতে নিয়মিত অভিযান চালাতে হবে। পাশাপাশি জলাশয়গুলোতে নিয়মিত টহল দিয়ে জাল জব্দ করার ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ছাড়া জাতীয় পর্যায়ে রিং জাল নিষিদ্ধ করতে আইন প্রণয়ন করাও জরুরি।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী হুমাছুন কবির বুলু বলেন, প্রতি বছর পোনামাছের এই ব্যাপক নিধনের কারণে দেশীয় মাছের সংখ্যা ক্রমেই কমে যাচ্ছে। যদি এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেয়া হয়, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম দেশীয় মাছের স্বাদ ভুলে যাবে। চেয়ারম্যান হুমাছুন কবির বুলু প্রতিবেদককে বলেন, তিনি তার ইউনিয়নভুক্ত খাল বিলে রিং জাল কেউ যাতে ব্যবহার না করেন সে জন্য তিনি সবাইকে সচেতন করে আসছে। কঠিন নজরদারি রয়েছে তার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডুমুরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, তারা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছেন এবং রিং জালের বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতোমধ্যে অনেক খাল বিলের জাল অপসারণ করা হয়েছে।
রোববার, ০৩ আগস্ট ২০২৫
ডুমুরিয়া উপজেলার ভদ্রা নদী, বিলডাকাতিয়ার বিল, লতাবুনিয়া, কাকমারি, হাজিবুনিয়া, শোভনাসহ বিভিন্ন খাল-বিল ও জলাশয়ে নিষিদ্ধ রিং জাল অবাধে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই জাল পরিবেশ এবং দেশীয় জলজ প্রাণী বৈচিত্র্যের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। নিষিদ্ধ রিং জালের কারণে প্রতিনিয়ত পোনা মাছ, ডিমওয়ালা মা মাছ এবং সদ্য ফোটা মাছের ব্যাপক নিধন ঘটছে। এতে দেশীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে এবং শোল, টাকি, বেলে, ট্যাংরা, কৈ ও বোয়ালসহ বহু দেশীয় মাছের প্রজাতি মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, প্রশাসনের কার্যকর নজরদারির অভাবে রিং জালের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। সাহসের বাসিন্দা মান্দার গাজী বলেন, সকালেই তিনি দেখেছেন একজন জেলে প্রায় ১০-১২টি রিং জাল ফেলেছে- যার প্রতিটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৩০ থেকে ৬০ মিটার। এমন অবস্থা প্রতিদিনই চলছে। অথচ এর বিরুদ্ধে কোনো প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না।
সচেতন এলাকাবাসী জানান, শুধু নিষেধাজ্ঞা জারি করলেই রিং জালের ব্যবহার বন্ধ হবে না। মাঠ পর্যায়ে নিয়মিত অভিযান, জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম এবং বিক্রয়-বিতরণে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন। তারা বলেন, খাল-বিলে মাছ ধরার দোকানগুলোতে রিং জালের বিক্রয় বন্ধ করতে হবে এবং জালের দোকানগুলোতে নিয়মিত অভিযান চালাতে হবে। পাশাপাশি জলাশয়গুলোতে নিয়মিত টহল দিয়ে জাল জব্দ করার ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ছাড়া জাতীয় পর্যায়ে রিং জাল নিষিদ্ধ করতে আইন প্রণয়ন করাও জরুরি।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী হুমাছুন কবির বুলু বলেন, প্রতি বছর পোনামাছের এই ব্যাপক নিধনের কারণে দেশীয় মাছের সংখ্যা ক্রমেই কমে যাচ্ছে। যদি এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেয়া হয়, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম দেশীয় মাছের স্বাদ ভুলে যাবে। চেয়ারম্যান হুমাছুন কবির বুলু প্রতিবেদককে বলেন, তিনি তার ইউনিয়নভুক্ত খাল বিলে রিং জাল কেউ যাতে ব্যবহার না করেন সে জন্য তিনি সবাইকে সচেতন করে আসছে। কঠিন নজরদারি রয়েছে তার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডুমুরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, তারা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছেন এবং রিং জালের বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতোমধ্যে অনেক খাল বিলের জাল অপসারণ করা হয়েছে।