দিনাজপুরের বিরামপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে পরিচিত এক মুখ গয়া কাকা। তিন যুগ ধরে ছোট্ট একটি ভ্যানে করে চটপটি আর মাখা বিক্রি করতেন। অনেক শিক্ষার্থীর শৈশবের স্মৃতিতে তার হাতের মাখার স্বাদ আজও অমলিন। আজ সেই গয়া কাকা অসহায়। জীবন আর গাড়ির দুটোই থেমে আছে একসাথে।
গয়া কাকার চটপটি বিক্রির গাড়িটি এখন একেবারে অচল। সামনের চাকা রিং আর সুতার সাহায্যে কোনো রকমে বাঁধা। এটা দিয়ে আর চলা সম্ভব না। গাড়ির বডিও ভেঙে গেছে, টাল সামলাতে পারছে না আর।
গয়া কাকা বলেন, গাড়িটা ঠিক করতে পারলে আবার কাজ করতে পারতাম। ছেলে আর আমি মিলে উপার্জন করে পরিবার নিয়ে দুমুঠো খেতে পারতাম।
গয়া কাকার পরিবারে স্ত্রী, এক ছেলে এবং এক মেয়ে। বড় ছেলে বাবার মতো মাখা বিক্রি করে সংসারে সাহায্য করেন। ছোট মেয়ে ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত পড়ে পরীক্ষায় বসতে পারেনি অর্থের অভাবে। আর এক মেয়ে মারা গেছে আগে।
এক সময় দিনে ৪০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত আয় হতো, এখন সেটাও হয় না। বিক্রি কমে এসেছে, আয়ও ২৫০-৩০০ টাকায় এসে ঠেকেছে। এখন তিনি ছেলের ভ্যানে কোনোরকমে ব্যবসা চালান।
বিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র ইতোমধ্যে কিছু গ্যাস ও পিরিচ কিনে সহায়তা করেছেন। কিন্তু পুরনো গাড়িটি ঠিক করতে প্রয়োজন মাত্র ১০-১২ হাজার টাকা।
একজন পরিশ্রমী, আত্মসম্মানী প্রবীণ মানুষ আজ জীবন সংগ্রামে হেরে যেতে বসেছেন শুধুমাত্র একটি ভাঙা গাড়ির কারণে। আমাদের সমাজের বিত্তবান, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী, প্রশাসন সবাই যদি একটু করে এগিয়ে আসেন, তবে গয়া কাকা আবার দাঁড়াতে পারেন নিজের পায়ে।
গয়া কাকা বলেন, আমার বেশি চাওয়া নেই, শুধু আমার গাড়িটা ঠিক হলেই চলবে। গাড়িটা যদি কেউ ঠিক করে দেয়, তাহলে আবার আগের মতো কাজ করতে পারব।
ছেলেটাও মাখা বিক্রি করে আমাকে সাহায্য করতে পারবে। আমাদের জন্য এটা অনেক বড় সাহায্য হবে।
রোববার, ০৩ আগস্ট ২০২৫
দিনাজপুরের বিরামপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে পরিচিত এক মুখ গয়া কাকা। তিন যুগ ধরে ছোট্ট একটি ভ্যানে করে চটপটি আর মাখা বিক্রি করতেন। অনেক শিক্ষার্থীর শৈশবের স্মৃতিতে তার হাতের মাখার স্বাদ আজও অমলিন। আজ সেই গয়া কাকা অসহায়। জীবন আর গাড়ির দুটোই থেমে আছে একসাথে।
গয়া কাকার চটপটি বিক্রির গাড়িটি এখন একেবারে অচল। সামনের চাকা রিং আর সুতার সাহায্যে কোনো রকমে বাঁধা। এটা দিয়ে আর চলা সম্ভব না। গাড়ির বডিও ভেঙে গেছে, টাল সামলাতে পারছে না আর।
গয়া কাকা বলেন, গাড়িটা ঠিক করতে পারলে আবার কাজ করতে পারতাম। ছেলে আর আমি মিলে উপার্জন করে পরিবার নিয়ে দুমুঠো খেতে পারতাম।
গয়া কাকার পরিবারে স্ত্রী, এক ছেলে এবং এক মেয়ে। বড় ছেলে বাবার মতো মাখা বিক্রি করে সংসারে সাহায্য করেন। ছোট মেয়ে ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত পড়ে পরীক্ষায় বসতে পারেনি অর্থের অভাবে। আর এক মেয়ে মারা গেছে আগে।
এক সময় দিনে ৪০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত আয় হতো, এখন সেটাও হয় না। বিক্রি কমে এসেছে, আয়ও ২৫০-৩০০ টাকায় এসে ঠেকেছে। এখন তিনি ছেলের ভ্যানে কোনোরকমে ব্যবসা চালান।
বিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র ইতোমধ্যে কিছু গ্যাস ও পিরিচ কিনে সহায়তা করেছেন। কিন্তু পুরনো গাড়িটি ঠিক করতে প্রয়োজন মাত্র ১০-১২ হাজার টাকা।
একজন পরিশ্রমী, আত্মসম্মানী প্রবীণ মানুষ আজ জীবন সংগ্রামে হেরে যেতে বসেছেন শুধুমাত্র একটি ভাঙা গাড়ির কারণে। আমাদের সমাজের বিত্তবান, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী, প্রশাসন সবাই যদি একটু করে এগিয়ে আসেন, তবে গয়া কাকা আবার দাঁড়াতে পারেন নিজের পায়ে।
গয়া কাকা বলেন, আমার বেশি চাওয়া নেই, শুধু আমার গাড়িটা ঠিক হলেই চলবে। গাড়িটা যদি কেউ ঠিক করে দেয়, তাহলে আবার আগের মতো কাজ করতে পারব।
ছেলেটাও মাখা বিক্রি করে আমাকে সাহায্য করতে পারবে। আমাদের জন্য এটা অনেক বড় সাহায্য হবে।