alt

সারাদেশ

স্কুল মাঠেই থমকে গেছে গয়া কাকার জীবন

প্রতিনিধি, বিরামপুর (দিনাজপুর) : রোববার, ০৩ আগস্ট ২০২৫

দিনাজপুরের বিরামপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে পরিচিত এক মুখ গয়া কাকা। তিন যুগ ধরে ছোট্ট একটি ভ্যানে করে চটপটি আর মাখা বিক্রি করতেন। অনেক শিক্ষার্থীর শৈশবের স্মৃতিতে তার হাতের মাখার স্বাদ আজও অমলিন। আজ সেই গয়া কাকা অসহায়। জীবন আর গাড়ির দুটোই থেমে আছে একসাথে।

গয়া কাকার চটপটি বিক্রির গাড়িটি এখন একেবারে অচল। সামনের চাকা রিং আর সুতার সাহায্যে কোনো রকমে বাঁধা। এটা দিয়ে আর চলা সম্ভব না। গাড়ির বডিও ভেঙে গেছে, টাল সামলাতে পারছে না আর।

গয়া কাকা বলেন, গাড়িটা ঠিক করতে পারলে আবার কাজ করতে পারতাম। ছেলে আর আমি মিলে উপার্জন করে পরিবার নিয়ে দুমুঠো খেতে পারতাম।

গয়া কাকার পরিবারে স্ত্রী, এক ছেলে এবং এক মেয়ে। বড় ছেলে বাবার মতো মাখা বিক্রি করে সংসারে সাহায্য করেন। ছোট মেয়ে ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত পড়ে পরীক্ষায় বসতে পারেনি অর্থের অভাবে। আর এক মেয়ে মারা গেছে আগে।

এক সময় দিনে ৪০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত আয় হতো, এখন সেটাও হয় না। বিক্রি কমে এসেছে, আয়ও ২৫০-৩০০ টাকায় এসে ঠেকেছে। এখন তিনি ছেলের ভ্যানে কোনোরকমে ব্যবসা চালান।

বিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র ইতোমধ্যে কিছু গ্যাস ও পিরিচ কিনে সহায়তা করেছেন। কিন্তু পুরনো গাড়িটি ঠিক করতে প্রয়োজন মাত্র ১০-১২ হাজার টাকা।

একজন পরিশ্রমী, আত্মসম্মানী প্রবীণ মানুষ আজ জীবন সংগ্রামে হেরে যেতে বসেছেন শুধুমাত্র একটি ভাঙা গাড়ির কারণে। আমাদের সমাজের বিত্তবান, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী, প্রশাসন সবাই যদি একটু করে এগিয়ে আসেন, তবে গয়া কাকা আবার দাঁড়াতে পারেন নিজের পায়ে।

গয়া কাকা বলেন, আমার বেশি চাওয়া নেই, শুধু আমার গাড়িটা ঠিক হলেই চলবে। গাড়িটা যদি কেউ ঠিক করে দেয়, তাহলে আবার আগের মতো কাজ করতে পারব।

ছেলেটাও মাখা বিক্রি করে আমাকে সাহায্য করতে পারবে। আমাদের জন্য এটা অনেক বড় সাহায্য হবে।

ভেড়ামারায় স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৫

ছবি

বক্ষব্যাধি হাসপাতালে কর্মচারী সমিতির নেতার মাথায় গুলি

ছবি

‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা’ বৈষম্যমূলক নয় গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়

রোববার শাহবাগে ছাত্রদলের ‘ছাত্র সমাবেশ’

ছবি

পিআর পদ্ধতির জন্য কেউ গণঅভ্যুত্থানে জীবন দেয়নি হাফিজ উদ্দিন

ছবি

মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যায় আরও দুইজন গ্রেপ্তার

ছবি

পল্টনে র‌্যাব পরিচয়ে ডাকাতি, পুলিশের অভিযানে ৮ জন গ্রেপ্তার

ছবি

অস্ত্রধারীদের হাতে তুলে নেওয়ার পর কুপিয়ে হত্যা, এলাকায় উত্তেজনা

ফেসবুকে ধর্মীয় অবমাননার পোস্ট, যুবক গ্রেপ্তার

ভৈরবে ছিনতাই আতঙ্ক

নড়াইলে ৮৫ বছরের বৃদ্ধার জমি লিখে নিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ছবি

মোরেলগঞ্জে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে বাজেট বৃদ্ধির দাবি

জাবিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ছাত্রদল আহ্বায়কের মামলা

ছবি

ছবির ফ্রেমে উত্তাল জুলাই,রাবিতে পাঁচ দিনের প্রদর্শনী

ছবি

মেঘনায় ১০ ড্রেজার জব্দ

বাগেরহাট বাস মালিক সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন

ছবি

দেড় যুগেও গড়ে ওঠেনি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ বিনষ্ট

সর্বস্তরের মানুষের মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ

ছবি

স্বীকৃতি পেলেও রক্ষা পায়নি হাওড়ের প্রাণ প্রকৃতি

পুকুরে বিষ প্রয়োগে লাখ টাকার মাছ বিনষ্ট

গোবিন্দগঞ্জে হাত-পায়ে শিকল লাগানো যুবকের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

বেতাগীতে সইসগেট নির্মাণ শেষ না হওয়ায় ভোগান্তিতে কৃষক

বেনাপোল চেকপোস্টে চুরি, গ্রেপ্তার ১

নোয়াখালীতে আ’লীগের ২০ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

ছবি

শিবগঞ্জে শিক্ষার্থীরা পেল সনদ ও সম্মাননা ক্রেস্ট

ডুমুরিয়ার রিং জালের ব্যবহারে কমছে দেশীয় প্রজাতির মাছ

বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

বোয়ালখালীতে আগুনে পুড়ল তিন বসতঘর

ছবি

সমন্বয়কের পরিচয়ে এসে মারধর, ব্যবসায়ীদের দোকান বন্ধের হুমকি

ছবি

গণঅভ্যুত্থান উদৎযাপন উপলক্ষে লালপুরে বিজয় মিছিল

ঘোড়াশালে প্রাইভেটকার ও কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে ২ প্রকৌশলী আহত

ছবি

গঙ্গাচড়ায় হিন্দুপল্লিতে হামলায় উসকানির অভিযোগ

পবিপ্রবিতে ক্লিন ক্যাম্পাস কর্মসূচি

ছবি

মঠবাড়িয়ায় পাউবোর জমিতে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ

গাজীপুরে তালাবদ্ধ ঘরে নারী পোশাক শ্রমিকের লাশ, স্বামী পলাতক

রূপগঞ্জে শান্ত হত্যা মামলার আসামি শাহীন গ্রেপ্তার

tab

সারাদেশ

স্কুল মাঠেই থমকে গেছে গয়া কাকার জীবন

প্রতিনিধি, বিরামপুর (দিনাজপুর)

রোববার, ০৩ আগস্ট ২০২৫

দিনাজপুরের বিরামপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে পরিচিত এক মুখ গয়া কাকা। তিন যুগ ধরে ছোট্ট একটি ভ্যানে করে চটপটি আর মাখা বিক্রি করতেন। অনেক শিক্ষার্থীর শৈশবের স্মৃতিতে তার হাতের মাখার স্বাদ আজও অমলিন। আজ সেই গয়া কাকা অসহায়। জীবন আর গাড়ির দুটোই থেমে আছে একসাথে।

গয়া কাকার চটপটি বিক্রির গাড়িটি এখন একেবারে অচল। সামনের চাকা রিং আর সুতার সাহায্যে কোনো রকমে বাঁধা। এটা দিয়ে আর চলা সম্ভব না। গাড়ির বডিও ভেঙে গেছে, টাল সামলাতে পারছে না আর।

গয়া কাকা বলেন, গাড়িটা ঠিক করতে পারলে আবার কাজ করতে পারতাম। ছেলে আর আমি মিলে উপার্জন করে পরিবার নিয়ে দুমুঠো খেতে পারতাম।

গয়া কাকার পরিবারে স্ত্রী, এক ছেলে এবং এক মেয়ে। বড় ছেলে বাবার মতো মাখা বিক্রি করে সংসারে সাহায্য করেন। ছোট মেয়ে ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত পড়ে পরীক্ষায় বসতে পারেনি অর্থের অভাবে। আর এক মেয়ে মারা গেছে আগে।

এক সময় দিনে ৪০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত আয় হতো, এখন সেটাও হয় না। বিক্রি কমে এসেছে, আয়ও ২৫০-৩০০ টাকায় এসে ঠেকেছে। এখন তিনি ছেলের ভ্যানে কোনোরকমে ব্যবসা চালান।

বিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র ইতোমধ্যে কিছু গ্যাস ও পিরিচ কিনে সহায়তা করেছেন। কিন্তু পুরনো গাড়িটি ঠিক করতে প্রয়োজন মাত্র ১০-১২ হাজার টাকা।

একজন পরিশ্রমী, আত্মসম্মানী প্রবীণ মানুষ আজ জীবন সংগ্রামে হেরে যেতে বসেছেন শুধুমাত্র একটি ভাঙা গাড়ির কারণে। আমাদের সমাজের বিত্তবান, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী, প্রশাসন সবাই যদি একটু করে এগিয়ে আসেন, তবে গয়া কাকা আবার দাঁড়াতে পারেন নিজের পায়ে।

গয়া কাকা বলেন, আমার বেশি চাওয়া নেই, শুধু আমার গাড়িটা ঠিক হলেই চলবে। গাড়িটা যদি কেউ ঠিক করে দেয়, তাহলে আবার আগের মতো কাজ করতে পারব।

ছেলেটাও মাখা বিক্রি করে আমাকে সাহায্য করতে পারবে। আমাদের জন্য এটা অনেক বড় সাহায্য হবে।

back to top