রাবি : পাঁচ দিনব্যাপী আলোকচিত্র ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখছেন অতিথিরা -সংবাদ
২০২৪ সালের জুলাই মাসের সেই উত্তাল দিনগুলো যেন আবারও ফিরে এল ছবির ফ্রেমে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের নানা মুহূর্ত নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শুরু হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী আলোকচিত্র ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনী।
গত শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব।
উদ্বোধনের পর তিনি প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন। এ সময় ছবির মাধ্যমে সেই সময়ের আন্দোলনকে আবারও জীবন্ত হতে দেখে আবেগাপ্লুত হন অনেকে।
প্রদর্শনী উদ্বোধনের পাশাপাশি ‘মতিহারের বহ্নিশিখা’ নামের একটি আলোকচিত্র অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অ্যালবামটিকে ইতিহাসের অনন্য দলিল হিসেবে উল্লেখ করে উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব বলেন, ‘২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান আমাদের ইতিহাসের এক যুগান্তকারী ঘটনা।
এর মধ্য দিয়ে এক স্বৈরাচারী শাসনের পতন ঘটে। সেই ক্ষোভ-বিক্ষোভভরা প্রতিবাদী দিনগুলো ভবিষ্যতের কাছে তুলে ধরার প্রয়াস এই অ্যালবাম।’
প্রদর্শনীতে ঘুরতে আসা ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মেহেদী হাসানের সঙ্গে কথা হয়। ছবিগুলোর দিকে তাকিয়ে আবেগাপ্লুত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘এই ছবিগুলো শুধু ছবি নয়, আমাদের আবেগের দলিল। গত বছর এই দিনগুলোতে আমরা রাজপথে ছিলাম। ভয় ছিল, শঙ্কা ছিল, কিন্তু তার চেয়েও বড় ছিল মুক্তির স্বপ্ন।’
একাউন্টটিং বিভাগের শিক্ষার্থী সৌরভ দেবনাথ বলেন বলেন, ‘আজ এক বছর পর এই ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে, আমাদের সেই ত্যাগ বৃথা যায়নি। এই প্রদর্শনী নতুনদের সেই ইতিহাস জানাবে আর আমাদের মনে করিয়ে দেবে, আমরা কেন লড়াই করেছিলাম।’
আয়োজকরা জানান, এই প্রদর্শনী ও অ্যালবামের মাধ্যমে সেই সময়ের ইতিহাসকে বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরাই মূল লক্ষ্য।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপউপাচার্য (শিক্ষা) মোহা. ফরিদ উদ্দীন খান, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক মো. আখতার হোসেন মজুমদার, প্রক্টর মো. মাহবুবর রহমানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রদর্শনীটি আগামী পাঁচ দিন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
রাবি : পাঁচ দিনব্যাপী আলোকচিত্র ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখছেন অতিথিরা -সংবাদ
রোববার, ০৩ আগস্ট ২০২৫
২০২৪ সালের জুলাই মাসের সেই উত্তাল দিনগুলো যেন আবারও ফিরে এল ছবির ফ্রেমে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের নানা মুহূর্ত নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শুরু হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী আলোকচিত্র ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনী।
গত শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব।
উদ্বোধনের পর তিনি প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন। এ সময় ছবির মাধ্যমে সেই সময়ের আন্দোলনকে আবারও জীবন্ত হতে দেখে আবেগাপ্লুত হন অনেকে।
প্রদর্শনী উদ্বোধনের পাশাপাশি ‘মতিহারের বহ্নিশিখা’ নামের একটি আলোকচিত্র অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অ্যালবামটিকে ইতিহাসের অনন্য দলিল হিসেবে উল্লেখ করে উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব বলেন, ‘২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান আমাদের ইতিহাসের এক যুগান্তকারী ঘটনা।
এর মধ্য দিয়ে এক স্বৈরাচারী শাসনের পতন ঘটে। সেই ক্ষোভ-বিক্ষোভভরা প্রতিবাদী দিনগুলো ভবিষ্যতের কাছে তুলে ধরার প্রয়াস এই অ্যালবাম।’
প্রদর্শনীতে ঘুরতে আসা ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মেহেদী হাসানের সঙ্গে কথা হয়। ছবিগুলোর দিকে তাকিয়ে আবেগাপ্লুত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘এই ছবিগুলো শুধু ছবি নয়, আমাদের আবেগের দলিল। গত বছর এই দিনগুলোতে আমরা রাজপথে ছিলাম। ভয় ছিল, শঙ্কা ছিল, কিন্তু তার চেয়েও বড় ছিল মুক্তির স্বপ্ন।’
একাউন্টটিং বিভাগের শিক্ষার্থী সৌরভ দেবনাথ বলেন বলেন, ‘আজ এক বছর পর এই ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে, আমাদের সেই ত্যাগ বৃথা যায়নি। এই প্রদর্শনী নতুনদের সেই ইতিহাস জানাবে আর আমাদের মনে করিয়ে দেবে, আমরা কেন লড়াই করেছিলাম।’
আয়োজকরা জানান, এই প্রদর্শনী ও অ্যালবামের মাধ্যমে সেই সময়ের ইতিহাসকে বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরাই মূল লক্ষ্য।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপউপাচার্য (শিক্ষা) মোহা. ফরিদ উদ্দীন খান, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক মো. আখতার হোসেন মজুমদার, প্রক্টর মো. মাহবুবর রহমানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রদর্শনীটি আগামী পাঁচ দিন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।