২০১৫ সালে নির্যাতনের অভিযোগে ছাত্রলীগের আট নেতাকর্মী ও ১০-১২ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর।
মামলাটি ঢাকার আশুলিয়া থানায় দায়ের করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান।
মামলার এজাহারে উল্লেখিত আসামিরা হলেন- আসিফ আহমেদ (রসায়ন, ৩৯তম ব্যাচ), মোহাম্মদ নাজিমূল ইসলাম ওরফে বোরন (অর্থনীতি, ৪২তম ব্যাচ), মো. আমান উল্লাহ (দর্শন, ৪২তম ব্যাচ), মো. জায়মান আলী প্রিন্স (প্রত্নতত্ত্ব, ৪২তম ব্যাচ), মোহাম্মদ কৌশিক রহমান (লোক প্রশাসন, ৪২তম ব্যাচ), মো. শাহরুখ শাহরিয়ার ওরফে সৌমিক (লোক প্রশাসন, ৪২তম ব্যাচ), মোহাম্মদ ইয়াসিন (ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান, ৪২তম ব্যাচ) এবং মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ (লোক প্রশাসন, ৪২তম ব্যাচ)।
এজাহারে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি দুপুর সাড়ে ১২ টায় রসায়ন বিভাগের স্নাতকোত্তর টিউটোরিয়াল পরীক্ষা শেষে আসিফ আহমেদের নেতৃত্বে অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রসায়ন বিভাগের গ্যালারিতে প্রবেশ করে জহির উদ্দিন বাবরের ওপর হামলা চালায়। তাকে টেনে-হিঁচড়ে ভবনের সামনে নিয়ে এসে এলোপাথাড়ি মারধর করা হয়। লোহার রড ও জিআই পাইপ দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে গুরুতর জখম করা হয়। বিশেষ করে নাজিমূল ইসলাম ওরফে বোরন জিআই পাইপ দিয়ে তার ডান পায়ে আঘাত করলে হাড় ভেঙে যায়। পরে সহপাঠীদের সহায়তায় তিনি উদ্ধার হন এবং প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য জাবি মেডিকেল সেন্টারে ও পরে শাহজাহানপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন।
মামলার বাদী জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর বলেন, রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে গুরুতরভাবে আহত করা হয়েছে, যা আমার শিক্ষাজীবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। দেশের প্রতিকূল রাজনৈতিক পরিবেশের কারণে আমি তখন আইনি পদক্ষেপ নিতে পারিনি। এখন আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছি। আমি আশা করি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনবে।’
আশুলিয়া থানার ওসি আব্দুল হান্নান জানান, ‘আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
রোববার, ০৩ আগস্ট ২০২৫
২০১৫ সালে নির্যাতনের অভিযোগে ছাত্রলীগের আট নেতাকর্মী ও ১০-১২ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর।
মামলাটি ঢাকার আশুলিয়া থানায় দায়ের করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান।
মামলার এজাহারে উল্লেখিত আসামিরা হলেন- আসিফ আহমেদ (রসায়ন, ৩৯তম ব্যাচ), মোহাম্মদ নাজিমূল ইসলাম ওরফে বোরন (অর্থনীতি, ৪২তম ব্যাচ), মো. আমান উল্লাহ (দর্শন, ৪২তম ব্যাচ), মো. জায়মান আলী প্রিন্স (প্রত্নতত্ত্ব, ৪২তম ব্যাচ), মোহাম্মদ কৌশিক রহমান (লোক প্রশাসন, ৪২তম ব্যাচ), মো. শাহরুখ শাহরিয়ার ওরফে সৌমিক (লোক প্রশাসন, ৪২তম ব্যাচ), মোহাম্মদ ইয়াসিন (ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান, ৪২তম ব্যাচ) এবং মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ (লোক প্রশাসন, ৪২তম ব্যাচ)।
এজাহারে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি দুপুর সাড়ে ১২ টায় রসায়ন বিভাগের স্নাতকোত্তর টিউটোরিয়াল পরীক্ষা শেষে আসিফ আহমেদের নেতৃত্বে অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রসায়ন বিভাগের গ্যালারিতে প্রবেশ করে জহির উদ্দিন বাবরের ওপর হামলা চালায়। তাকে টেনে-হিঁচড়ে ভবনের সামনে নিয়ে এসে এলোপাথাড়ি মারধর করা হয়। লোহার রড ও জিআই পাইপ দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে গুরুতর জখম করা হয়। বিশেষ করে নাজিমূল ইসলাম ওরফে বোরন জিআই পাইপ দিয়ে তার ডান পায়ে আঘাত করলে হাড় ভেঙে যায়। পরে সহপাঠীদের সহায়তায় তিনি উদ্ধার হন এবং প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য জাবি মেডিকেল সেন্টারে ও পরে শাহজাহানপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন।
মামলার বাদী জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর বলেন, রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে গুরুতরভাবে আহত করা হয়েছে, যা আমার শিক্ষাজীবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। দেশের প্রতিকূল রাজনৈতিক পরিবেশের কারণে আমি তখন আইনি পদক্ষেপ নিতে পারিনি। এখন আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছি। আমি আশা করি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনবে।’
আশুলিয়া থানার ওসি আব্দুল হান্নান জানান, ‘আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’