কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায় চাচাতো ভাইয়ের জানাজা শেষে বাড়ি ফেরার পথে এক সাবেক ইউপি সদস্যকে তুলে নিয়ে কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করেছে মুখোশধারীরা।
রোববার দুপুর সোয়া ১টার দিকে উপজেলার চন্দাইশ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন নাঙ্গলকোট থানার ওসি এ কে ফজলুল হক।
নিহত আলাউদ্দিন (৫৫) বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের আলিয়ারা গ্রামের প্রয়াত সুরুজ মিয়ার ছেলে। তিনি বক্সগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ছিলেন।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনদের বরাতে জানা গেছে, জানাজার নামাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন আলাউদ্দিন। এ সময় বাড়ির সামনে থেকে মুখোশধারী একদল ব্যক্তি তাকে হাত বেঁধে অটোরিকশায় তুলে নেয়। পরে অন্তত ১০ কিলোমিটার দূরে চান্দাইশ এলাকায় নিয়ে গিয়ে তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে সড়কের পাশে ফেলে দেওয়া হয়।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয়দের ভাষ্য, সম্প্রতি এলাকায় গরু চুরি নিয়ে আলাউদ্দিন ও একই এলাকার আরেক সাবেক ইউপি সদস্য সালেহ আহম্মদ পক্ষের লোকজনের মধ্যে বিরোধ চলছিল।
আলাউদ্দিনের ভাগ্নে আনোয়ার হোসেন বলেন, “দুপুর ১টার দিকে মামাকে বাড়ির সামনে থেকে অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায় মুখোশধারীরা। আমি পেছন পেছন গিয়ে চন্দাইশ এলাকায় মামাকে গুলি করে ফেলে দিতে দেখি।”
স্বজন বারেক ভূঁইয়া বলেন, “জানাজা শেষে বাড়ি ফেরার পথে অস্ত্রধারীরা মামাকে তুলে নেয়। শুভপুর এলাকায় তাদের আটকানোর চেষ্টা করি। পরে মামাকে গুলি করে ফেলে দেয় তারা।”
ওসি ফজলুল হক জানান, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে। নিহতের শরীরে গুলির চিহ্ন পাওয়া না গেলেও ধারালো অস্ত্রের কোপের চিহ্ন রয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলছে।”
নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আল আমিন বলেন, “ওই এলাকায় ২০-২৫ বছর ধরে গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব চলে আসছে। দ্বন্দ্ব মেটাতে আগেও অনেকে চেষ্টা করেছেন।
“আলাউদ্দিন মেম্বারকে কারা হত্যা করেছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযানে রয়েছে।”
রোববার, ০৩ আগস্ট ২০২৫
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায় চাচাতো ভাইয়ের জানাজা শেষে বাড়ি ফেরার পথে এক সাবেক ইউপি সদস্যকে তুলে নিয়ে কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করেছে মুখোশধারীরা।
রোববার দুপুর সোয়া ১টার দিকে উপজেলার চন্দাইশ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন নাঙ্গলকোট থানার ওসি এ কে ফজলুল হক।
নিহত আলাউদ্দিন (৫৫) বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের আলিয়ারা গ্রামের প্রয়াত সুরুজ মিয়ার ছেলে। তিনি বক্সগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ছিলেন।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনদের বরাতে জানা গেছে, জানাজার নামাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন আলাউদ্দিন। এ সময় বাড়ির সামনে থেকে মুখোশধারী একদল ব্যক্তি তাকে হাত বেঁধে অটোরিকশায় তুলে নেয়। পরে অন্তত ১০ কিলোমিটার দূরে চান্দাইশ এলাকায় নিয়ে গিয়ে তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে সড়কের পাশে ফেলে দেওয়া হয়।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয়দের ভাষ্য, সম্প্রতি এলাকায় গরু চুরি নিয়ে আলাউদ্দিন ও একই এলাকার আরেক সাবেক ইউপি সদস্য সালেহ আহম্মদ পক্ষের লোকজনের মধ্যে বিরোধ চলছিল।
আলাউদ্দিনের ভাগ্নে আনোয়ার হোসেন বলেন, “দুপুর ১টার দিকে মামাকে বাড়ির সামনে থেকে অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায় মুখোশধারীরা। আমি পেছন পেছন গিয়ে চন্দাইশ এলাকায় মামাকে গুলি করে ফেলে দিতে দেখি।”
স্বজন বারেক ভূঁইয়া বলেন, “জানাজা শেষে বাড়ি ফেরার পথে অস্ত্রধারীরা মামাকে তুলে নেয়। শুভপুর এলাকায় তাদের আটকানোর চেষ্টা করি। পরে মামাকে গুলি করে ফেলে দেয় তারা।”
ওসি ফজলুল হক জানান, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে। নিহতের শরীরে গুলির চিহ্ন পাওয়া না গেলেও ধারালো অস্ত্রের কোপের চিহ্ন রয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলছে।”
নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আল আমিন বলেন, “ওই এলাকায় ২০-২৫ বছর ধরে গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব চলে আসছে। দ্বন্দ্ব মেটাতে আগেও অনেকে চেষ্টা করেছেন।
“আলাউদ্দিন মেম্বারকে কারা হত্যা করেছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযানে রয়েছে।”