জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে রোববার রাজধানীর শাহবাগে ‘ছাত্র সমাবেশ’ করবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহতদেরও এই সমাবেশে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে।
সমাবেশ যাতে সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করা যায়, সেজন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে সংগঠনটি। ইতোমধ্যে দলের হাইকমান্ড থেকে গঠন করা হয়েছে প্রায় ৯০ টি সাংগঠনিক টিম। জামায়াতে ইসলামীর মতো করেই এবার বিশেষ ট্রেন ভাড়া করেছে ছাত্রদল। সমাবেশে অংশ নিতে প্রায় ১০ লাখ টাকায় চট্টগ্রাম ছাত্রদল ২০ বগির এই বিশেষ ট্রেন ভাড়া করেছে। রোববার সকাল সোয়া ৭টায় চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে এই ট্রেন ছেড়ে আসবে। সারাদেশে থেকে নেতাদের সমাগম ঘটিয়ে শক্তি প্রদর্শনের পরিকল্পনা রয়েছে সংগঠনটির। ছাত্রদল বলছে সংগঠনের নেতাদের বাহিরেও বিপুল সংখ্যক সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করছেন তারা।
জানা গেছে, সমাবেশে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকরণে তিনজনকে মনিটরিংয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়া ৫টি মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করা হবে। অ্যাম্বুলেন্সসহ জীবনরক্ষাকারী জরুরি যানবাহন সেবা নির্বিঘ্নে করতে ৪ টি টিম গঠন করা হয়েছে।
বিশৃঙ্খলা এড়াতে নেতাদের ছয়টি বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে ছাত্রদল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে সমাবেশে কোনো ধরনের ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড নিয়ে আসা যাবে না। সমাবেশের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রত্যেক ইউনিটকে থাকতে হবে। কাঁটাবন মোড় থেকে আজিজ সুপার মার্কেট ও পিজি হাসপাতালের মাঝের গলি দিয়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল পর্যন্ত অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি সেবায় নিয়োজিত পরিবহণকে চলাচলে সার্বিক সহায়তা করতে হবে। ছাত্রদলের নেতাকর্মীকে বহনকারী কোনো ইউনিটের গাড়ি কোনো অবস্থাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করতে পারবে না। ব্যক্তিগত শোডাউন ও মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসা যাবে না। সমাবেশ শেষে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের নির্ধারিত স্থান পরিষ্কার করে যেতে হবে। এদিকে সমাবেশকে ঘিরে সৃষ্টি হতে যাওয়া জনদুর্ভোগের জন্য রাজধানীবাসীর প্রতি অগ্রিম দুঃখ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি। একটি বিবৃতির মাধ্যমে এ দুঃখ প্রকাশ করে ছাত্রদল।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান দৈনিক সংবাদকে বলেন, ফ্যাসিবাদী আমলে এভাবে সমাবেশ করা, যেখানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বক্তব্য দিবেন এভাবে এত বড় অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি। (রোববার) আমাদের জন্য এই জন্যই বিশেষ। কারণ, ফ্যাসিস্ট আমলে কীভাবে আদালতের মাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য পর্যন্ত প্রচারকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা দেশের প্রায় তিন হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঘুরে ঘুরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা বুঝতে চেয়েছি কীভাবে ছাত্ররাজনীতিকে গণআকাক্সক্ষায় রূপ দেয়া যায়। ফলে আমরা আশা রাখছি (রোববার) অনুষ্ঠানে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি অধিকসংখ্যক সাধারণ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে।
রোববার, ০৩ আগস্ট ২০২৫
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে রোববার রাজধানীর শাহবাগে ‘ছাত্র সমাবেশ’ করবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহতদেরও এই সমাবেশে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে।
সমাবেশ যাতে সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করা যায়, সেজন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে সংগঠনটি। ইতোমধ্যে দলের হাইকমান্ড থেকে গঠন করা হয়েছে প্রায় ৯০ টি সাংগঠনিক টিম। জামায়াতে ইসলামীর মতো করেই এবার বিশেষ ট্রেন ভাড়া করেছে ছাত্রদল। সমাবেশে অংশ নিতে প্রায় ১০ লাখ টাকায় চট্টগ্রাম ছাত্রদল ২০ বগির এই বিশেষ ট্রেন ভাড়া করেছে। রোববার সকাল সোয়া ৭টায় চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে এই ট্রেন ছেড়ে আসবে। সারাদেশে থেকে নেতাদের সমাগম ঘটিয়ে শক্তি প্রদর্শনের পরিকল্পনা রয়েছে সংগঠনটির। ছাত্রদল বলছে সংগঠনের নেতাদের বাহিরেও বিপুল সংখ্যক সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করছেন তারা।
জানা গেছে, সমাবেশে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকরণে তিনজনকে মনিটরিংয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়া ৫টি মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করা হবে। অ্যাম্বুলেন্সসহ জীবনরক্ষাকারী জরুরি যানবাহন সেবা নির্বিঘ্নে করতে ৪ টি টিম গঠন করা হয়েছে।
বিশৃঙ্খলা এড়াতে নেতাদের ছয়টি বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে ছাত্রদল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে সমাবেশে কোনো ধরনের ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড নিয়ে আসা যাবে না। সমাবেশের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রত্যেক ইউনিটকে থাকতে হবে। কাঁটাবন মোড় থেকে আজিজ সুপার মার্কেট ও পিজি হাসপাতালের মাঝের গলি দিয়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল পর্যন্ত অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি সেবায় নিয়োজিত পরিবহণকে চলাচলে সার্বিক সহায়তা করতে হবে। ছাত্রদলের নেতাকর্মীকে বহনকারী কোনো ইউনিটের গাড়ি কোনো অবস্থাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করতে পারবে না। ব্যক্তিগত শোডাউন ও মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসা যাবে না। সমাবেশ শেষে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের নির্ধারিত স্থান পরিষ্কার করে যেতে হবে। এদিকে সমাবেশকে ঘিরে সৃষ্টি হতে যাওয়া জনদুর্ভোগের জন্য রাজধানীবাসীর প্রতি অগ্রিম দুঃখ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি। একটি বিবৃতির মাধ্যমে এ দুঃখ প্রকাশ করে ছাত্রদল।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান দৈনিক সংবাদকে বলেন, ফ্যাসিবাদী আমলে এভাবে সমাবেশ করা, যেখানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বক্তব্য দিবেন এভাবে এত বড় অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি। (রোববার) আমাদের জন্য এই জন্যই বিশেষ। কারণ, ফ্যাসিস্ট আমলে কীভাবে আদালতের মাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য পর্যন্ত প্রচারকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা দেশের প্রায় তিন হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঘুরে ঘুরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা বুঝতে চেয়েছি কীভাবে ছাত্ররাজনীতিকে গণআকাক্সক্ষায় রূপ দেয়া যায়। ফলে আমরা আশা রাখছি (রোববার) অনুষ্ঠানে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি অধিকসংখ্যক সাধারণ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে।