যারা নিজেদের সন্তানদের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পড়ান, তারা স্বেচ্ছায় তা করেন। এসব বিবেচনায় শুধু ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা’ বৈষম্যমূলক- এমন অভিযোগ সঠিক নয়। কারণ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা, দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গমনোপযোগী সব শিশুর জন্যই উন্মুক্ত।
শনিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়। এ আগে পঞ্চম শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে ‘বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদ’ বৈষম্যের অভিযোগ তুলে। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ১৭(ক) অনুচ্ছেদ এবং বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা আইন, ১৯৯০ অনুযায়ী দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গমনোপযোগী সব শিশুর অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এক্ষেত্রে কোনো ‘পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ’ নীতি কার্যকর নেই। গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জেষ্ঠ্য তথ্য কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ শিবলী সাদিকের সই করা বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এরই একটি, শুধুমাত্র ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা’।
দেশের শিক্ষা জরিপগুলোতে দেখা যায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বেশিরভাগ শিক্ষার্থী নিম্নবিত্ত পরিবারের। পক্ষান্তরে, কিন্ডারগার্টেনে অধ্যয়নরত বেশিরভাগ শিক্ষার্থী তুলনামূলকভাবে স্বচ্ছল পরিবারের। ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা’ এই নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোর সন্তানদের শিক্ষার ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রাখতে একটি আর্থিক প্রণোদনা হিসেবে কাজ করবে। কিন্ডারগার্ডেনগুলো তাদের অ্যাসোসিয়েশনের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শুধুমাত্র কিন্ডারগার্ডেনগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য ২য় থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত ‘কিন্ডারগার্ডেন অ্যাসোসিয়েশন বৃত্তি পরীক্ষা’ চালু রেখেছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা সে বৃত্তি পরীক্ষাতে অংশগ্রহণ করতে পারে না।
রোববার, ০৩ আগস্ট ২০২৫
যারা নিজেদের সন্তানদের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পড়ান, তারা স্বেচ্ছায় তা করেন। এসব বিবেচনায় শুধু ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা’ বৈষম্যমূলক- এমন অভিযোগ সঠিক নয়। কারণ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা, দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গমনোপযোগী সব শিশুর জন্যই উন্মুক্ত।
শনিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়। এ আগে পঞ্চম শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে ‘বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদ’ বৈষম্যের অভিযোগ তুলে। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ১৭(ক) অনুচ্ছেদ এবং বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা আইন, ১৯৯০ অনুযায়ী দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গমনোপযোগী সব শিশুর অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এক্ষেত্রে কোনো ‘পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ’ নীতি কার্যকর নেই। গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জেষ্ঠ্য তথ্য কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ শিবলী সাদিকের সই করা বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এরই একটি, শুধুমাত্র ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা’।
দেশের শিক্ষা জরিপগুলোতে দেখা যায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বেশিরভাগ শিক্ষার্থী নিম্নবিত্ত পরিবারের। পক্ষান্তরে, কিন্ডারগার্টেনে অধ্যয়নরত বেশিরভাগ শিক্ষার্থী তুলনামূলকভাবে স্বচ্ছল পরিবারের। ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা’ এই নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোর সন্তানদের শিক্ষার ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রাখতে একটি আর্থিক প্রণোদনা হিসেবে কাজ করবে। কিন্ডারগার্ডেনগুলো তাদের অ্যাসোসিয়েশনের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শুধুমাত্র কিন্ডারগার্ডেনগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য ২য় থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত ‘কিন্ডারগার্ডেন অ্যাসোসিয়েশন বৃত্তি পরীক্ষা’ চালু রেখেছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা সে বৃত্তি পরীক্ষাতে অংশগ্রহণ করতে পারে না।