লোহাগাড়ার পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদ মাঠ দখল করে ছাগলের হাট -সংবাদ
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় ইউনিয়ন পরিষদের মাঠ দখল করে ছাগলের হাট বসান পদুয়া বাজার ইজারদার সিন্ডিকেট। ইজারাদার সিন্ডিকেটে স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারা জড়িত থাকায় এ বিষয়ে ভয়ে কেউ মুখ খোলছেন না। উপজেলার পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে প্রতি রোববার ও বুধবার এ হাট বসে। পদুয়া বাজারের মূল ইজারদার এই মাঠ বছরে ৫০ লাখ টাকায় উপ-ইজারা দিয়েছেন বলে জানা যায়। অথচ ওই জায়গা পদুয়া বাজারের অংশ নয়। নিজেদের জায়গা স্বত্বেও ইউনিয়ন পরিষদ ভাড়া বাবদ কোন টাকা পায় না বলে ইউপি চেয়ারম্যান জানান। হাটের পাশেই রয়েছে মসজিদ, স্কুল। ফলে ইউনিয়ন পরিষদের আগত সেবাপ্রার্থী, মসজিদের মুসল্লি, স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী ও পথচারীরা চলাচলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার পদুয়ার ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে বসে ছাগল বেচাকেনার হাট। প্রতি রোববার ও বুধবার এ হাট বসে। ইউনিয়ন পরিষদের মাঠের পাশেই অবস্থান পদুয়া হামিদ হোসেন বায়তুর রহমান জামে মসজিদ ও পদুয়া এসিএম উচ্চ বিদ্যালয়। ছাগলের মলমুত্র ও ময়লা আর্বজনার দুর্গন্ধে ইউনিয়ন পরিষদে আগত সেবাগ্রহিতা, ছাত্র-ছাত্রী, মসজিদের মুসল্লি ও পথচারীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদ মাঠ পদুয়া বাজারের অংশ নয়। অথচ মূল ইজারদার এই মাঠ বছরে ৫০ লাখ টাকায় উপ-ইজারা দিয়েছেন বলে জানা যায়। নিজেদের জায়গা স্বত্বেও পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদকে ভাড়া বাবদ কোন টাকা দেওয়া হয় না বলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জানান। প্রভাবশালীরা অনেকটা জোর করে সপ্তাহে দুই দিন মসজিদ, স্কুল ও ইউনিয়ন পরিষদের মাঝে এই ছাগলের হাট বসান।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে নেসারুল হক সাকিব নামে একজন লিখেছেন, পদুয়া ছাগলের বাজার আবারও মসজিদ ও ইউনিয়ন পরিষদের দরজার সামনে চলে আসলো। এগুলো কি পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চোখে পড়ে না ? এতে কী মসজিদের পবিত্রতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে না ? আর পাশে রয়েছে পদুয়া এসিএম উচ্চ বিদ্যালয়। স্কুল ছুটি দিলে ছাত্র-ছাত্রীদের পথ চলতে কষ্ট হয়।
ছাগলের বাজারের দায়িত্বে থাকা উপ-ইজারাদার নুরল ইসলাম জানান, তিনি মূল ইজারাদারের কাছ থেকে বছরে ৫০ লাখ টাকা দিয়ে উপ-ইজারা ছাগলের বাজার নিয়েছেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, গরু-ছাগলের বাজারের জন্য পদুয়ায় স্থায়ী কোনো জায়গা নেই। তাই ইউনিয়ন পরিষদের ওই জায়গায় অস্থায়ীভাবে ছাগলের হাট বসে। তবে ছাগলের মলমূত্রের দুর্গন্ধে পদুয়া ইউপি পরিষদে আগত সেবাপ্রার্থী, পথচারী, ছাত্র-ছাত্রী ও হামিদুর রহমান বায়তুর রহমান জামে মসজিদের মুসল্লিদের জন্য দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিয়ষে জানতে পদুয়া বাজারের ইজারাদার মোহাম্মদ আলমগীর মুঠোফোনে জানান, পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদের পাশে পরিত্যক্ত জায়গায় সপ্তাহে দুইদিন ছাগলের হাট দীর্ঘদিন যাবত বসে আসছে। মাঝেমাঝে জায়গার সংকুলান না হলে ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে এ হাট বসে। জায়গাটা ইউনিয়ন পরিষদের, পদুয়া বাজারের অংশ নয়। এজন্য ইউনিয়ন পরিষদকে কোন ভাড়া দেওয়া হয় না বলে তিনি স্বীকার করেন। তবে বছরে ৫০ লাখ টাকায় ছাগলের বাজার উপ-ইজারা দেওয়ার বিষয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) লিয়াকত আলী জানান, পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে দীর্ঘদিন ধরে ছাগলের হাট বসে আসছে। ইজারাদাররা প্রভাবশালী হওয়ায় অতীতে কোনো চেয়ারম্যান মানা করেনি, আমিও করি নাই। জায়গাটা ইউনিয়ন পরিষদের হলেও ইউনিয়ন পরিষদ ভাড়া বাবদ কোন টাকা পায় না। তবে এভাবে ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে ছাগলের হাট বসানোর কোন সুযোগ নাই। এর ফলে ইউনিয়ন পরিষদে আগত সেবাগ্রহিতা, পথচারী, ছাত্র-ছাত্রী ও মসজিদের মুসল্লিদের দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মো. সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি উপজেলায় নতুন যোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন।
লোহাগাড়ার পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদ মাঠ দখল করে ছাগলের হাট -সংবাদ
সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় ইউনিয়ন পরিষদের মাঠ দখল করে ছাগলের হাট বসান পদুয়া বাজার ইজারদার সিন্ডিকেট। ইজারাদার সিন্ডিকেটে স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারা জড়িত থাকায় এ বিষয়ে ভয়ে কেউ মুখ খোলছেন না। উপজেলার পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে প্রতি রোববার ও বুধবার এ হাট বসে। পদুয়া বাজারের মূল ইজারদার এই মাঠ বছরে ৫০ লাখ টাকায় উপ-ইজারা দিয়েছেন বলে জানা যায়। অথচ ওই জায়গা পদুয়া বাজারের অংশ নয়। নিজেদের জায়গা স্বত্বেও ইউনিয়ন পরিষদ ভাড়া বাবদ কোন টাকা পায় না বলে ইউপি চেয়ারম্যান জানান। হাটের পাশেই রয়েছে মসজিদ, স্কুল। ফলে ইউনিয়ন পরিষদের আগত সেবাপ্রার্থী, মসজিদের মুসল্লি, স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী ও পথচারীরা চলাচলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার পদুয়ার ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে বসে ছাগল বেচাকেনার হাট। প্রতি রোববার ও বুধবার এ হাট বসে। ইউনিয়ন পরিষদের মাঠের পাশেই অবস্থান পদুয়া হামিদ হোসেন বায়তুর রহমান জামে মসজিদ ও পদুয়া এসিএম উচ্চ বিদ্যালয়। ছাগলের মলমুত্র ও ময়লা আর্বজনার দুর্গন্ধে ইউনিয়ন পরিষদে আগত সেবাগ্রহিতা, ছাত্র-ছাত্রী, মসজিদের মুসল্লি ও পথচারীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদ মাঠ পদুয়া বাজারের অংশ নয়। অথচ মূল ইজারদার এই মাঠ বছরে ৫০ লাখ টাকায় উপ-ইজারা দিয়েছেন বলে জানা যায়। নিজেদের জায়গা স্বত্বেও পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদকে ভাড়া বাবদ কোন টাকা দেওয়া হয় না বলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জানান। প্রভাবশালীরা অনেকটা জোর করে সপ্তাহে দুই দিন মসজিদ, স্কুল ও ইউনিয়ন পরিষদের মাঝে এই ছাগলের হাট বসান।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে নেসারুল হক সাকিব নামে একজন লিখেছেন, পদুয়া ছাগলের বাজার আবারও মসজিদ ও ইউনিয়ন পরিষদের দরজার সামনে চলে আসলো। এগুলো কি পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চোখে পড়ে না ? এতে কী মসজিদের পবিত্রতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে না ? আর পাশে রয়েছে পদুয়া এসিএম উচ্চ বিদ্যালয়। স্কুল ছুটি দিলে ছাত্র-ছাত্রীদের পথ চলতে কষ্ট হয়।
ছাগলের বাজারের দায়িত্বে থাকা উপ-ইজারাদার নুরল ইসলাম জানান, তিনি মূল ইজারাদারের কাছ থেকে বছরে ৫০ লাখ টাকা দিয়ে উপ-ইজারা ছাগলের বাজার নিয়েছেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, গরু-ছাগলের বাজারের জন্য পদুয়ায় স্থায়ী কোনো জায়গা নেই। তাই ইউনিয়ন পরিষদের ওই জায়গায় অস্থায়ীভাবে ছাগলের হাট বসে। তবে ছাগলের মলমূত্রের দুর্গন্ধে পদুয়া ইউপি পরিষদে আগত সেবাপ্রার্থী, পথচারী, ছাত্র-ছাত্রী ও হামিদুর রহমান বায়তুর রহমান জামে মসজিদের মুসল্লিদের জন্য দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিয়ষে জানতে পদুয়া বাজারের ইজারাদার মোহাম্মদ আলমগীর মুঠোফোনে জানান, পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদের পাশে পরিত্যক্ত জায়গায় সপ্তাহে দুইদিন ছাগলের হাট দীর্ঘদিন যাবত বসে আসছে। মাঝেমাঝে জায়গার সংকুলান না হলে ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে এ হাট বসে। জায়গাটা ইউনিয়ন পরিষদের, পদুয়া বাজারের অংশ নয়। এজন্য ইউনিয়ন পরিষদকে কোন ভাড়া দেওয়া হয় না বলে তিনি স্বীকার করেন। তবে বছরে ৫০ লাখ টাকায় ছাগলের বাজার উপ-ইজারা দেওয়ার বিষয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) লিয়াকত আলী জানান, পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে দীর্ঘদিন ধরে ছাগলের হাট বসে আসছে। ইজারাদাররা প্রভাবশালী হওয়ায় অতীতে কোনো চেয়ারম্যান মানা করেনি, আমিও করি নাই। জায়গাটা ইউনিয়ন পরিষদের হলেও ইউনিয়ন পরিষদ ভাড়া বাবদ কোন টাকা পায় না। তবে এভাবে ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে ছাগলের হাট বসানোর কোন সুযোগ নাই। এর ফলে ইউনিয়ন পরিষদে আগত সেবাগ্রহিতা, পথচারী, ছাত্র-ছাত্রী ও মসজিদের মুসল্লিদের দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মো. সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি উপজেলায় নতুন যোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন।