নড়াইল সদরের গুয়াখোলা গ্রামের প্রতিবন্ধী কমল চন্দ্র পালের (৭০) এক একর ১০ শতক জমি প্রতারণা করে লিখে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে বৃদ্ধ কমল এখন পাগলপ্রায়। কমল পালের জমি প্রতারণা করে লিখে নেয়ার ঘটনায় পরিবার-স্বজনসহ এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়েছেন। এদিকে, অভিযুক্তরা গা ঢাকা দিয়েছেন। অভিযোগে জানা যায়, নড়াইল সদর উপজেলার শেখহাটি ইউনিয়নের আফরা মৌজার এক একর ১০ শতক জমির মালিক কমল চন্দ্র পাল। জমির লোভে পাশের হাতিয়াড়া গ্রামের বিলাস গোস্বামী (৩৬) এবং বাকড়ি গ্রামের নিরব বৈরাগী (৩৫) নিঃসন্তান প্রতিবন্ধী কমল পালের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। বৃদ্ধ কমলকে ভুল বুঝিয়ে তার পরিবার ও স্বজনদের অজান্তে এক একর ১০ শতক জমি বিলাশ ও নীরব গত ১ জুন তাদের নামে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি করে নেন। পরবর্তীতে ওই জমি বিলাশ তার স্ত্রী পিয়া গোলদার এবং নিরব তার স্ত্রী সিথি সরকারের নামে কবলা দলিল করে দেন। কমল পাল বিষয়টি টের পেয়ে জমি ফিরে পেতে স্বজনসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানান। ঘটনাটি জানাজানির পর বিলাশ ও নিরব জমির মালিক কমল পালকে ওই জমি ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
গত ২৭ জুলাই কমল পালকে ওই জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়ার কথা থাকলেও আগের দিন (২৬ জুলাই) বিলাশ ও নিরব তাদের স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র গা ঢাকা দেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
কমল পাল জানান, শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় আমার সঙ্গে প্রতারণা করে বিলাস ও নিরব এক একর ১০ শতক জমি লিখে নিয়েছে। আমার জমি ফেরত চাই। আমি অচল মানুষ। অন্যের সাহায্য ছাড়া হাটতে পারি না।
স্থানীয় বাসিন্দা বকুল পাল, রূপচাঁদ পাল, অসীম বিশ্বাস ও রেনুকা বিশ্বাস জানান, কমল পালের কোন সন্তান না থাকায় অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে বিলাশ ও নিরব প্রতারণা করে তার শেষ সম্বল জমি লিখে নিয়েছেন। আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
শেখহাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সরদার ওলিয়ার রহমান বলেন, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বিলাশ ও নিরব জমির মূল মালিক কমল পালকে জমি ফেরত দিতে রাজি হওয়ার পর তারা এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। আশা করছি, তারা জমির মালিক প্রতিবন্ধী কমলকে তার জমি ফেরত দিবেন।
এদিকে, বিলাস ও নিরব পালিয়ে থাকায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫
নড়াইল সদরের গুয়াখোলা গ্রামের প্রতিবন্ধী কমল চন্দ্র পালের (৭০) এক একর ১০ শতক জমি প্রতারণা করে লিখে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে বৃদ্ধ কমল এখন পাগলপ্রায়। কমল পালের জমি প্রতারণা করে লিখে নেয়ার ঘটনায় পরিবার-স্বজনসহ এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়েছেন। এদিকে, অভিযুক্তরা গা ঢাকা দিয়েছেন। অভিযোগে জানা যায়, নড়াইল সদর উপজেলার শেখহাটি ইউনিয়নের আফরা মৌজার এক একর ১০ শতক জমির মালিক কমল চন্দ্র পাল। জমির লোভে পাশের হাতিয়াড়া গ্রামের বিলাস গোস্বামী (৩৬) এবং বাকড়ি গ্রামের নিরব বৈরাগী (৩৫) নিঃসন্তান প্রতিবন্ধী কমল পালের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। বৃদ্ধ কমলকে ভুল বুঝিয়ে তার পরিবার ও স্বজনদের অজান্তে এক একর ১০ শতক জমি বিলাশ ও নীরব গত ১ জুন তাদের নামে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি করে নেন। পরবর্তীতে ওই জমি বিলাশ তার স্ত্রী পিয়া গোলদার এবং নিরব তার স্ত্রী সিথি সরকারের নামে কবলা দলিল করে দেন। কমল পাল বিষয়টি টের পেয়ে জমি ফিরে পেতে স্বজনসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানান। ঘটনাটি জানাজানির পর বিলাশ ও নিরব জমির মালিক কমল পালকে ওই জমি ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
গত ২৭ জুলাই কমল পালকে ওই জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়ার কথা থাকলেও আগের দিন (২৬ জুলাই) বিলাশ ও নিরব তাদের স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র গা ঢাকা দেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
কমল পাল জানান, শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় আমার সঙ্গে প্রতারণা করে বিলাস ও নিরব এক একর ১০ শতক জমি লিখে নিয়েছে। আমার জমি ফেরত চাই। আমি অচল মানুষ। অন্যের সাহায্য ছাড়া হাটতে পারি না।
স্থানীয় বাসিন্দা বকুল পাল, রূপচাঁদ পাল, অসীম বিশ্বাস ও রেনুকা বিশ্বাস জানান, কমল পালের কোন সন্তান না থাকায় অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে বিলাশ ও নিরব প্রতারণা করে তার শেষ সম্বল জমি লিখে নিয়েছেন। আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
শেখহাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সরদার ওলিয়ার রহমান বলেন, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বিলাশ ও নিরব জমির মূল মালিক কমল পালকে জমি ফেরত দিতে রাজি হওয়ার পর তারা এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। আশা করছি, তারা জমির মালিক প্রতিবন্ধী কমলকে তার জমি ফেরত দিবেন।
এদিকে, বিলাস ও নিরব পালিয়ে থাকায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।