জামালপুরের মাদারগঞ্জে বীর পাকেরদহ এলাকার এক বিধবা মহিলা নাম আনোয়ারা তিনি ৪২ বছর আগে স্বামীকে হারিয়েছেন। স্বামী মারা যাওয়ার সময় শেষ সম্বল বলতে ছিল বাড়ির ভিটা ছাড়া কিছু কিছু ছিল না। আনোয়ারা তার শেষ সম্বল টুকু বিক্রি করে একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দেন। এখন তার মেয়েও বেঁচে নেই। দীর্ঘ ১৯ বছর আগে সেই মেয়েও মারা যায়। এরপর থেকে সে একা হয়ে যায়। দীর্ঘ সময় পার করছে শুধুই একাকী জীবন। সেই আনোয়ারার বর্তমান বয়স ৭৮ বছর। অর্থা কষ্টে খাদ্য খেয়ে না খেয়ে বয়সের ভাবে নুয়ে পড়ছে। বার্ধক্যের কারণে তার শরীরে বাসা বেধেছে নানান ধরনের রোগ। যেখানে মৌলিক চাহিদা খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান চিকিৎসা, তার মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা তো দূরের কথা তিন বেলা খাবার জোটানোও তার জন্য কষ্টকর। কান্তি কালে জীবনের পড়ন্ত বেলায় এসে বেঁচে থাকতে একটি বিধবা বা বয়স্ক ভাতার কার্ডের অপেক্ষায় আছেন।
এ কার্ডের জন্য ধরনা দিচ্ছেন জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে। তাকে অনেকেই আশ্বাসও দিয়েছে অনেকেই! মনে পড়ে সুনীল গঙ্গা পধ্যায়ের কবিতার কথা ৩৩ বছর কেটে গেছে কেউ কথা রাখেনি!
তবে তাদের আশ্বাস মিললেও আনোয়ার আর ভাগ্যে জোটেনি সেই কাক্সিক্ষত কার্ড। জানা যায়, জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের বীর পাকেরদহ এলাকার বাসিন্দা আনোয়ারা। তিনি মাদারগঞ্জ পৌরসভার চরবওলা কামারপাড়া এলাকার আহজ্জলের স্ত্রী আনোয়ারা।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, বয়স্ক ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীর বয়স সর্বনি¤œ ৬২ বছর এবং পুরুষের বয়স সর্বনিম্ন ৬৫ বছর। সে অনুযায়ী আনোয়ারা বয়স্ক ভাতা পাওয়ার যোগ্য হলেও দীর্ঘদিনেও কেউ তার সহযোগিতায় এগিয়ে আসেননি।
এ বিষয়ে বৃদ্ধা আনোয়ারা সংবাদ কে বলেন, স্বামী, সন্তান, জায়গা জমি কিছুই নাই। এইহানে অন্যের বাড়িতে থাকি। মাইনষে আমারে খাওন-দাওন দেয়। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেইক্যা খুব কষ্টে আছি। অ্যাকটা ভাতার কার্ড পাইলে খুব উপকার হইতো।
এ বিষয়ে মাদারগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও চরপাকেরদহ ইউনিয়নের প্রশাসক তৌফিকুল ইসলাম খালেক সংবাদকে বলেন, বৃদ্ধা আনোয়ারা বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করেছিলেন। তার আবেদনের সঙ্গে মোবাইল নাম্বার না থাকায় ভাতা পায়নি। দ্রুত তাকে বয়স্ক ভাতা দেয়ার ব্যবস্থা করবেন বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।
সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫
জামালপুরের মাদারগঞ্জে বীর পাকেরদহ এলাকার এক বিধবা মহিলা নাম আনোয়ারা তিনি ৪২ বছর আগে স্বামীকে হারিয়েছেন। স্বামী মারা যাওয়ার সময় শেষ সম্বল বলতে ছিল বাড়ির ভিটা ছাড়া কিছু কিছু ছিল না। আনোয়ারা তার শেষ সম্বল টুকু বিক্রি করে একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দেন। এখন তার মেয়েও বেঁচে নেই। দীর্ঘ ১৯ বছর আগে সেই মেয়েও মারা যায়। এরপর থেকে সে একা হয়ে যায়। দীর্ঘ সময় পার করছে শুধুই একাকী জীবন। সেই আনোয়ারার বর্তমান বয়স ৭৮ বছর। অর্থা কষ্টে খাদ্য খেয়ে না খেয়ে বয়সের ভাবে নুয়ে পড়ছে। বার্ধক্যের কারণে তার শরীরে বাসা বেধেছে নানান ধরনের রোগ। যেখানে মৌলিক চাহিদা খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান চিকিৎসা, তার মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা তো দূরের কথা তিন বেলা খাবার জোটানোও তার জন্য কষ্টকর। কান্তি কালে জীবনের পড়ন্ত বেলায় এসে বেঁচে থাকতে একটি বিধবা বা বয়স্ক ভাতার কার্ডের অপেক্ষায় আছেন।
এ কার্ডের জন্য ধরনা দিচ্ছেন জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে। তাকে অনেকেই আশ্বাসও দিয়েছে অনেকেই! মনে পড়ে সুনীল গঙ্গা পধ্যায়ের কবিতার কথা ৩৩ বছর কেটে গেছে কেউ কথা রাখেনি!
তবে তাদের আশ্বাস মিললেও আনোয়ার আর ভাগ্যে জোটেনি সেই কাক্সিক্ষত কার্ড। জানা যায়, জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের বীর পাকেরদহ এলাকার বাসিন্দা আনোয়ারা। তিনি মাদারগঞ্জ পৌরসভার চরবওলা কামারপাড়া এলাকার আহজ্জলের স্ত্রী আনোয়ারা।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, বয়স্ক ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীর বয়স সর্বনি¤œ ৬২ বছর এবং পুরুষের বয়স সর্বনিম্ন ৬৫ বছর। সে অনুযায়ী আনোয়ারা বয়স্ক ভাতা পাওয়ার যোগ্য হলেও দীর্ঘদিনেও কেউ তার সহযোগিতায় এগিয়ে আসেননি।
এ বিষয়ে বৃদ্ধা আনোয়ারা সংবাদ কে বলেন, স্বামী, সন্তান, জায়গা জমি কিছুই নাই। এইহানে অন্যের বাড়িতে থাকি। মাইনষে আমারে খাওন-দাওন দেয়। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেইক্যা খুব কষ্টে আছি। অ্যাকটা ভাতার কার্ড পাইলে খুব উপকার হইতো।
এ বিষয়ে মাদারগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও চরপাকেরদহ ইউনিয়নের প্রশাসক তৌফিকুল ইসলাম খালেক সংবাদকে বলেন, বৃদ্ধা আনোয়ারা বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করেছিলেন। তার আবেদনের সঙ্গে মোবাইল নাম্বার না থাকায় ভাতা পায়নি। দ্রুত তাকে বয়স্ক ভাতা দেয়ার ব্যবস্থা করবেন বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।