এক বছর আগেও নওগাঁ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল বাশিরের গৃহকর ছিল ৯শ টাকা। এখন পৌরসভা থেকে নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ হাজার টাকা। ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আকতারুনের আগে কর দিতেন ৩৬০ টাকা। হঠাৎ করে ৪২ হাজার ১ টাকা নির্ধারণ করে নোটিস দেয়া হয়েছে তাকে। শুধু আব্দুল বাশির বা আকতারুন নয় এমন অস্বাভাবিক করের বোঝা এখন নওগাঁ পৌরবাসীর কাঁধে। হঠাৎ করে এভাবে পৌরকর বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় আছেন পৌর বাসিন্দারা। নোটিস পাওয়া ১০ জন এমন বাড়িমালিকের সঙ্গে কথা হয়। তাদের অভিযোগ, অস্বাভাবিক হারে পৌরকর বাড়ানো হয়েছে। তা পরিশোধেরও সামর্থ্য নেই অনেকের। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মুক্তার হোসেন বলেন, টিনের ঘরে পরিবার নিয়ে থাকি। আগে ১৪৪ টাকা দিতাম। সেই জায়গায় এখন ২ হাজার ১ টাকা পৌরকর নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি কীভাবে সম্ভব? আমি দিন এনে দিন খাওয়া মানুষ। ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আকতার হামিদ বলেন, এক বছর আগে পৌরকর ছিল ৫৪০ টাকা। একই বাড়ির জন্য এখন ৩২ হাজার টাকার বেশি নির্ধারণ করে নোটিস দেয়া হয়েছে। এত টাকা কোথায় থেকে দিবো, তা নিয়ে চিন্তায় আছি।
এদিকে পৌরকর বৃদ্ধির প্রতিবাদে গতকাল রোববার দুপুরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নাগরিক অধিকার আন্দোলনের ব্যানারে পৌরসভার সামনে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেয় পৌর এলাকার বাসিন্দারা।
মানববন্ধনে বক্তারা অতিরিক্ত পৌরকর বৃদ্ধির সমালোচনা করে বলেন, নওগাঁ প্রথম শ্রেডুর পৌরসভা হলেও শহরের ভাঙা রাস্তাঘাট, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, সড়কের আলোকায়ন, সুপেয় খাওয়ার পানির সংকট দূর করাসহ ন্যূনতম নাগরিক সুবিধা বাড়াতে পারেননি কর্তৃপক্ষ। অথচ হঠাৎ করে আগের চেয়ে কয়েকগুন বেশি পৌর করের হার বৃদ্ধি করা হয়েছে। দ্রুত বর্ধিত কর প্রত্যাহার করে পূর্বের নিয়মে কর আদায়ের দাবি জানান বক্তারা।
মানববন্ধনে বাসদ এর জেলা সমন্বয়ক জয়নাল আবেদিন মুকুল বলেন, নওগাঁ প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও এখানে নাগরিক দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। বছরের পর বছর ভাঙাচোরা রাস্তাঘাটে চলাফেরা পৌরবাসীর নিত্যসঙ্গী। এ ছাড়া ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় একটু বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। নিয়মিত ময়লা পরিষ্কার করা হয় না। রয়েছে সড়কবাতির স্বল্পতা। সুপেয় পানিও ঠিকমতো পাওয়া যায় না। পৌরবাসীর ন্যূনতম নাগরিক সুবিধা নেই এখানে। এরপরও পৌরকর বাড়ানো হয়েছে- যা খুবই লজ্জার।
জানতে চাইলে নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসকটি.এম.এ. মমিন বলেন, অযৌক্তিক কর নির্ধারণ কথাটি ঠিক না। এটা অতিরিক্ত হতে পারে। কর বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত আমার না, সরকারের সিদ্ধান্ত। তবে আমাদের কর নির্ধারণ মূল্যায়ন কমিটি আছে, সেখানে আবেদন করলে তারা পুনবিবেচনা করতে পারে।
সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫
এক বছর আগেও নওগাঁ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল বাশিরের গৃহকর ছিল ৯শ টাকা। এখন পৌরসভা থেকে নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ হাজার টাকা। ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আকতারুনের আগে কর দিতেন ৩৬০ টাকা। হঠাৎ করে ৪২ হাজার ১ টাকা নির্ধারণ করে নোটিস দেয়া হয়েছে তাকে। শুধু আব্দুল বাশির বা আকতারুন নয় এমন অস্বাভাবিক করের বোঝা এখন নওগাঁ পৌরবাসীর কাঁধে। হঠাৎ করে এভাবে পৌরকর বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় আছেন পৌর বাসিন্দারা। নোটিস পাওয়া ১০ জন এমন বাড়িমালিকের সঙ্গে কথা হয়। তাদের অভিযোগ, অস্বাভাবিক হারে পৌরকর বাড়ানো হয়েছে। তা পরিশোধেরও সামর্থ্য নেই অনেকের। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মুক্তার হোসেন বলেন, টিনের ঘরে পরিবার নিয়ে থাকি। আগে ১৪৪ টাকা দিতাম। সেই জায়গায় এখন ২ হাজার ১ টাকা পৌরকর নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি কীভাবে সম্ভব? আমি দিন এনে দিন খাওয়া মানুষ। ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আকতার হামিদ বলেন, এক বছর আগে পৌরকর ছিল ৫৪০ টাকা। একই বাড়ির জন্য এখন ৩২ হাজার টাকার বেশি নির্ধারণ করে নোটিস দেয়া হয়েছে। এত টাকা কোথায় থেকে দিবো, তা নিয়ে চিন্তায় আছি।
এদিকে পৌরকর বৃদ্ধির প্রতিবাদে গতকাল রোববার দুপুরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নাগরিক অধিকার আন্দোলনের ব্যানারে পৌরসভার সামনে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেয় পৌর এলাকার বাসিন্দারা।
মানববন্ধনে বক্তারা অতিরিক্ত পৌরকর বৃদ্ধির সমালোচনা করে বলেন, নওগাঁ প্রথম শ্রেডুর পৌরসভা হলেও শহরের ভাঙা রাস্তাঘাট, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, সড়কের আলোকায়ন, সুপেয় খাওয়ার পানির সংকট দূর করাসহ ন্যূনতম নাগরিক সুবিধা বাড়াতে পারেননি কর্তৃপক্ষ। অথচ হঠাৎ করে আগের চেয়ে কয়েকগুন বেশি পৌর করের হার বৃদ্ধি করা হয়েছে। দ্রুত বর্ধিত কর প্রত্যাহার করে পূর্বের নিয়মে কর আদায়ের দাবি জানান বক্তারা।
মানববন্ধনে বাসদ এর জেলা সমন্বয়ক জয়নাল আবেদিন মুকুল বলেন, নওগাঁ প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও এখানে নাগরিক দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। বছরের পর বছর ভাঙাচোরা রাস্তাঘাটে চলাফেরা পৌরবাসীর নিত্যসঙ্গী। এ ছাড়া ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় একটু বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। নিয়মিত ময়লা পরিষ্কার করা হয় না। রয়েছে সড়কবাতির স্বল্পতা। সুপেয় পানিও ঠিকমতো পাওয়া যায় না। পৌরবাসীর ন্যূনতম নাগরিক সুবিধা নেই এখানে। এরপরও পৌরকর বাড়ানো হয়েছে- যা খুবই লজ্জার।
জানতে চাইলে নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসকটি.এম.এ. মমিন বলেন, অযৌক্তিক কর নির্ধারণ কথাটি ঠিক না। এটা অতিরিক্ত হতে পারে। কর বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত আমার না, সরকারের সিদ্ধান্ত। তবে আমাদের কর নির্ধারণ মূল্যায়ন কমিটি আছে, সেখানে আবেদন করলে তারা পুনবিবেচনা করতে পারে।