পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিদখালী থেকে পায়রাকুঞ্জ ফেরিঘাট পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সড়কজুড়ে অসংখ্য খানাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তার ওপর বর্তমানে বর্ষাকাল হওয়ায় বৃষ্টির পানি গর্তে জমে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও রাস্তা এতটাই খারাপ যে, পায়ে হেঁটে চলাও দুষ্কর হয়ে পড়েছে। ফলে প্রতিদিন যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। সময়মতো মেরামত না করা এবং অবাধে অতিরিক্ত ওজনের যানবাহন চলাচল করায় সড়কের পিচ ও পাথর উঠে গিয়ে সড়কটির এমন বেহাল অবস্থা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাত্র ৫ কিলোমিটার এ সড়কটিতে রিকশা ভাড়া সাধারণত ২০ টাকা। কিন্তু সড়কের অবস্থা এতই খারাপ যে, যান চলাচল অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তাই দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া গুনতে হয় যাত্রীদের। খানাখন্দে ভরা এই সড়কে যানবাহনগুলো হেলে-দুলে ঝুঁকি নিয়ে কোন মতে চলাচল করছে। মাঝে মধ্যে ভারী যানবাহন গর্তে আটকে পড়ে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। কোনো বিকল্প সড়ক না থাকায় অত্র উপজেলার প্রায় দুই লাখ মানুষ বাধ্য হয়ে এই সড়ক দিয়েই জেলা শহরে যাতায়াত করেন। এ ছাড়াও পাশ্ববর্তী বেতাগী উপজেলা ও খুলনাঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন এই পথে যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় দুর্দশা চরমে পৌঁছেছে। স্থানীয়রা দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সুবিদখালী কলেজরোড ব্রিজ থেকে পায়রাকুঞ্জ পর্যন্ত সড়কের কপালভেড়া, গোলদারবাড়ি, গাবতলা, মির্জাগঞ্জ থানার সামনে ও মাজার এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় কার্পেটিং উঠে ইটের খোয়া বের হয়ে কাঁচা মাটির সড়কে পরিণত হয়েছে। সড়কটির দুই পাশে এবং মাঝ বরাবর ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এর উপর দিয়েই বিভিন্ন ভারী যানবাহন, অটোরিকশা, ভ্যান, রিকশা, অ্যাম্বুলেঞ্চ চলছে করছে। তবে সড়কে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্ত ভরাট করতে সড়ক বিভাগ ইট বিছিয়ে বা হেরিংবন করে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা করছে। কিন্তু এতে ছোট যানবাহন গুলো (রিকশা, মোটরসাইকেল) চলাচল করতে বেগ পেতে হচ্ছে।
পটুয়াখালী সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রকৌশলী মো. জামিল আক্তার লিমন বেহাল অবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, ২-৩ বছরের মধ্য এই সড়কে কোন বড় ধরনের মেরামতের কাজ হয়নি। পটুয়াখালী চৌরাস্তা থেকে মির্জাগঞ্জের সুবিদখালী পর্যন্ত ৯ কিমি. সড়কের সংস্কারের জন্য ২১ কোটি টাকার কর্মসূচি দরপত্র আহ্বানের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
অনুমোদন পেলে আশা রাখি বর্ষা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাজ ধরতে পারবো।
মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিদখালী থেকে পায়রাকুঞ্জ ফেরিঘাট পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সড়কজুড়ে অসংখ্য খানাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তার ওপর বর্তমানে বর্ষাকাল হওয়ায় বৃষ্টির পানি গর্তে জমে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও রাস্তা এতটাই খারাপ যে, পায়ে হেঁটে চলাও দুষ্কর হয়ে পড়েছে। ফলে প্রতিদিন যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। সময়মতো মেরামত না করা এবং অবাধে অতিরিক্ত ওজনের যানবাহন চলাচল করায় সড়কের পিচ ও পাথর উঠে গিয়ে সড়কটির এমন বেহাল অবস্থা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাত্র ৫ কিলোমিটার এ সড়কটিতে রিকশা ভাড়া সাধারণত ২০ টাকা। কিন্তু সড়কের অবস্থা এতই খারাপ যে, যান চলাচল অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তাই দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া গুনতে হয় যাত্রীদের। খানাখন্দে ভরা এই সড়কে যানবাহনগুলো হেলে-দুলে ঝুঁকি নিয়ে কোন মতে চলাচল করছে। মাঝে মধ্যে ভারী যানবাহন গর্তে আটকে পড়ে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। কোনো বিকল্প সড়ক না থাকায় অত্র উপজেলার প্রায় দুই লাখ মানুষ বাধ্য হয়ে এই সড়ক দিয়েই জেলা শহরে যাতায়াত করেন। এ ছাড়াও পাশ্ববর্তী বেতাগী উপজেলা ও খুলনাঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন এই পথে যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় দুর্দশা চরমে পৌঁছেছে। স্থানীয়রা দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সুবিদখালী কলেজরোড ব্রিজ থেকে পায়রাকুঞ্জ পর্যন্ত সড়কের কপালভেড়া, গোলদারবাড়ি, গাবতলা, মির্জাগঞ্জ থানার সামনে ও মাজার এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় কার্পেটিং উঠে ইটের খোয়া বের হয়ে কাঁচা মাটির সড়কে পরিণত হয়েছে। সড়কটির দুই পাশে এবং মাঝ বরাবর ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এর উপর দিয়েই বিভিন্ন ভারী যানবাহন, অটোরিকশা, ভ্যান, রিকশা, অ্যাম্বুলেঞ্চ চলছে করছে। তবে সড়কে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্ত ভরাট করতে সড়ক বিভাগ ইট বিছিয়ে বা হেরিংবন করে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা করছে। কিন্তু এতে ছোট যানবাহন গুলো (রিকশা, মোটরসাইকেল) চলাচল করতে বেগ পেতে হচ্ছে।
পটুয়াখালী সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রকৌশলী মো. জামিল আক্তার লিমন বেহাল অবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, ২-৩ বছরের মধ্য এই সড়কে কোন বড় ধরনের মেরামতের কাজ হয়নি। পটুয়াখালী চৌরাস্তা থেকে মির্জাগঞ্জের সুবিদখালী পর্যন্ত ৯ কিমি. সড়কের সংস্কারের জন্য ২১ কোটি টাকার কর্মসূচি দরপত্র আহ্বানের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
অনুমোদন পেলে আশা রাখি বর্ষা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাজ ধরতে পারবো।