যশোর অফিস : নাটক মঞ্চস্থ করেন জুলাই যোদ্ধারা -সংবাদ
যশোরে ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের পটভূমি নিয়ে রচিত জুলাই জ্বলে উঠুক নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকালে যশোর শহরের দড়াটানা ভৈরব নদের পাদদেশে পার্কে এই নাটকটি মঞ্চস্থ করেন জেলার জুলাই আন্দোলনের যোদ্ধারা।
যশোর জিলা পরিষদের আয়োজনে আইডিয়া প্রতিযোগিতার ১৭ মিনিটের এই নাটকে ফ্যাসিবাদের ভয়াবহতা ফুটিয়ে তোলা হয়। নাটকটির নির্দেশক জানান, ২০২৪ সালের জুনের শুাংতে বৈষম্যের শেকল ছেঁড়ার আকূলতা, সমতার দাবিতে বুকের ভেতর যে সঞ্চিত অগ্নি; সেই আগুনই জুলাইয়ে দাবানলে রূপ নেয়ার চিত্র উঠে আসে। শহরের রাজপথের ঝাঁকে ঝাঁকে মিছিল, গলিতে গলিতে স্লোগান।
শিক্ষার্থীদের চোখে শুধু ক্ষুধার্ত চাকরির আশ্বাস নয়, একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজের স্বপ্ন জ্বলে ওঠে। অন্যদিকে রাষ্ট্রও নির্বিকার ছিল না। আন্দোলন দমাতে পুলিশ বাহনী যে লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস ও গ্রেপ্তার করেছে সেই চিত্রও উঠে আসে। ছাত্র জনতার ওপর হামলার এক পর্যায়ে ডাক আসে এক দফার। তৎকালীন ফ্যাসিবাদ সরকার হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে ফুঁসে উঠে সারা বাংলা।
সেই আন্দোলনের মুখেই হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। আন্দোলন পরবর্তী সেই জুলাই স্মৃতি রোমন্থন করে গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে এই নাটকটি রচিত হয়েছে। নাটকটি দেখতে সাধারণ মানুষও পার্কে ভিড় জমান। অনেকেই মুঠোফোনে সেসব দৃশ্য ধারণ করতেও দেখা যায়।
নাটকটির নিদের্শক সোহানুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে জেলা পরিষদের আয়োজনে তারুণ্যের ভাবনায় আইডিয়া প্রতিযোগিতার ‘জুলাই জ্বলে উঠুক’ নাটকটি নির্বাচিত হয়। নাটকটিতে আমরা দেখিয়েছি ২৪ জুলাই-আগস্টে ঘটে যাওয়া ঘটনা। সেই সময়ে কিভাবে লাখ লাখ ছাত্র জনতা তাদের ন্যায্য আন্দোলনে এক হয়েছিল।
কীভাবে তারা সংগঠিত হয়েছে। আন্দোলনে শহরে গলিতে কিভাবে স্লোগান স্লোগানে মুখরিত হয়। এক পর্যায়ে স্বেরাচারী শেখ হাসিনার সরকারের পুলিশ বাহিনী ও আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ কিভাবে ছাত্রজনত তার ওপর হামলা চায়। হাজার হাজার ছাত্রজনতা কীভাবে তাদের জীবন উৎসর্গ করেছে। তারপর আন্দোলনের একপর্যায়ে আমাদের সফলতা দৃশ্য উঠে এসেছে। তিনি বলেন, গত এক মাস ধরে যশোরের স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও ৮ উপজেলার ১১টি স্থানে জুলাই জ্বলে উঠুক নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে।
যশোর অফিস : নাটক মঞ্চস্থ করেন জুলাই যোদ্ধারা -সংবাদ
মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫
যশোরে ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের পটভূমি নিয়ে রচিত জুলাই জ্বলে উঠুক নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকালে যশোর শহরের দড়াটানা ভৈরব নদের পাদদেশে পার্কে এই নাটকটি মঞ্চস্থ করেন জেলার জুলাই আন্দোলনের যোদ্ধারা।
যশোর জিলা পরিষদের আয়োজনে আইডিয়া প্রতিযোগিতার ১৭ মিনিটের এই নাটকে ফ্যাসিবাদের ভয়াবহতা ফুটিয়ে তোলা হয়। নাটকটির নির্দেশক জানান, ২০২৪ সালের জুনের শুাংতে বৈষম্যের শেকল ছেঁড়ার আকূলতা, সমতার দাবিতে বুকের ভেতর যে সঞ্চিত অগ্নি; সেই আগুনই জুলাইয়ে দাবানলে রূপ নেয়ার চিত্র উঠে আসে। শহরের রাজপথের ঝাঁকে ঝাঁকে মিছিল, গলিতে গলিতে স্লোগান।
শিক্ষার্থীদের চোখে শুধু ক্ষুধার্ত চাকরির আশ্বাস নয়, একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজের স্বপ্ন জ্বলে ওঠে। অন্যদিকে রাষ্ট্রও নির্বিকার ছিল না। আন্দোলন দমাতে পুলিশ বাহনী যে লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস ও গ্রেপ্তার করেছে সেই চিত্রও উঠে আসে। ছাত্র জনতার ওপর হামলার এক পর্যায়ে ডাক আসে এক দফার। তৎকালীন ফ্যাসিবাদ সরকার হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে ফুঁসে উঠে সারা বাংলা।
সেই আন্দোলনের মুখেই হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। আন্দোলন পরবর্তী সেই জুলাই স্মৃতি রোমন্থন করে গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে এই নাটকটি রচিত হয়েছে। নাটকটি দেখতে সাধারণ মানুষও পার্কে ভিড় জমান। অনেকেই মুঠোফোনে সেসব দৃশ্য ধারণ করতেও দেখা যায়।
নাটকটির নিদের্শক সোহানুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে জেলা পরিষদের আয়োজনে তারুণ্যের ভাবনায় আইডিয়া প্রতিযোগিতার ‘জুলাই জ্বলে উঠুক’ নাটকটি নির্বাচিত হয়। নাটকটিতে আমরা দেখিয়েছি ২৪ জুলাই-আগস্টে ঘটে যাওয়া ঘটনা। সেই সময়ে কিভাবে লাখ লাখ ছাত্র জনতা তাদের ন্যায্য আন্দোলনে এক হয়েছিল।
কীভাবে তারা সংগঠিত হয়েছে। আন্দোলনে শহরে গলিতে কিভাবে স্লোগান স্লোগানে মুখরিত হয়। এক পর্যায়ে স্বেরাচারী শেখ হাসিনার সরকারের পুলিশ বাহিনী ও আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ কিভাবে ছাত্রজনত তার ওপর হামলা চায়। হাজার হাজার ছাত্রজনতা কীভাবে তাদের জীবন উৎসর্গ করেছে। তারপর আন্দোলনের একপর্যায়ে আমাদের সফলতা দৃশ্য উঠে এসেছে। তিনি বলেন, গত এক মাস ধরে যশোরের স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও ৮ উপজেলার ১১টি স্থানে জুলাই জ্বলে উঠুক নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে।