কক্সবাজারের রামুতে হত্যা চেষ্টা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন অনুকূলে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক পুলিশ সদস্যের ১ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করার অডিও রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা চিরঞ্জীব বড়ুয়া। তিনি রামু থানায় সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত আছেন এদিকে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ভয়েস রেকর্ডটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়ভাবে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই পুলিশের নৈতিকতা ও পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
জানা যায়, বিগত ৭ মাস পূর্বে রামুর হাইটুপী শ্রীকুল এলাকায় সেফটিক ট্যাংকে ধাক্কা দিয়ে হত্যা চেষ্টার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে সর্বত্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে এ ঘটনায় রুপনা বড়ুয়া বাদী হয়ে রামু থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন।
এদিকে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় উক্ত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন (সার্জশিট) প্রেরণ সংক্রান্ত কথোপকথনের ৬ মিনিটের একটি অডিও ক্লিপ ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
রেকর্ডকৃত কথোপকথনে তদন্ত কর্মকর্তা চিরঞ্জীব বড়ুয়া মামলার বাদী রুপনা বড়ুয়ার দেবর সোহেল বড়ুয়াকে বলতে শোনা যাচ্ছে, তোমাদের মামলার বিষয়টি নিয়ে আমি স্যারদের সঙ্গে কথা বলেছি। ১ জনের জন্য হলে ৭০ হাজার, ২ জন হলে ১ লাখ, এটা কিন্তু তোমাকে কালকে সকালের মধ্যে দিতে হবে, তোমার সঙ্গে যেরকম কথা হবে সেরকমই হবে।
চিরঞ্জীব এ সময় সোহেলের উদ্দেশ্যে বলেন, বিবাদীরা কিন্তু শিক্ষিত, অনেক টাকা পয়সা আছে। তাদের আসামী যদি এদিক-সেদিক করে দিই তোমার থেকে টাকা এরা আরও বেশি দিবে, তুমি ১ লাখ দিলে ওরা ৩ লাখ দিবে।
বাদীর আইনজীবী শিপ্ত বড়ুয়া বলেন, ৭-৮ মাস আগে রামুতে সেফটিক ট্যাংকের ছাদ থেকে এক যুবককে হত্যাচেষ্টার উদ্দেশ্যে ফেলে দেয়া হয়। পরে তার স্ত্রী রুপনা বড়ুয়া বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
শিপ্ত জানান, রুপনার দেবর সোহেলের কাছে মামলার প্রতিবেদনে প্রকৃত আসামিদের অপরাধ লিখতে ঘুষ চান সেই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চিরঞ্জীব। ঘটনাটি নেক্কারজনক উল্লেখ করে চিরঞ্জীবের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন তিনি।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, অভিযুক্ত এসআইকে রামু থানা থেকে প্রত্যাহার করে নিয়ে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ তৈয়বুর রহমান বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত বিব্রতকর। বিষয়টি শোনার পরপরই তাকে থানার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছি।
চিরঞ্জীবের মুঠোফোনে এ বিষয়ে জানতে চেয়ে বারবার ফোন দেয়া হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫
কক্সবাজারের রামুতে হত্যা চেষ্টা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন অনুকূলে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক পুলিশ সদস্যের ১ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করার অডিও রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা চিরঞ্জীব বড়ুয়া। তিনি রামু থানায় সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত আছেন এদিকে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ভয়েস রেকর্ডটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়ভাবে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই পুলিশের নৈতিকতা ও পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
জানা যায়, বিগত ৭ মাস পূর্বে রামুর হাইটুপী শ্রীকুল এলাকায় সেফটিক ট্যাংকে ধাক্কা দিয়ে হত্যা চেষ্টার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে সর্বত্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে এ ঘটনায় রুপনা বড়ুয়া বাদী হয়ে রামু থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন।
এদিকে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় উক্ত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন (সার্জশিট) প্রেরণ সংক্রান্ত কথোপকথনের ৬ মিনিটের একটি অডিও ক্লিপ ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
রেকর্ডকৃত কথোপকথনে তদন্ত কর্মকর্তা চিরঞ্জীব বড়ুয়া মামলার বাদী রুপনা বড়ুয়ার দেবর সোহেল বড়ুয়াকে বলতে শোনা যাচ্ছে, তোমাদের মামলার বিষয়টি নিয়ে আমি স্যারদের সঙ্গে কথা বলেছি। ১ জনের জন্য হলে ৭০ হাজার, ২ জন হলে ১ লাখ, এটা কিন্তু তোমাকে কালকে সকালের মধ্যে দিতে হবে, তোমার সঙ্গে যেরকম কথা হবে সেরকমই হবে।
চিরঞ্জীব এ সময় সোহেলের উদ্দেশ্যে বলেন, বিবাদীরা কিন্তু শিক্ষিত, অনেক টাকা পয়সা আছে। তাদের আসামী যদি এদিক-সেদিক করে দিই তোমার থেকে টাকা এরা আরও বেশি দিবে, তুমি ১ লাখ দিলে ওরা ৩ লাখ দিবে।
বাদীর আইনজীবী শিপ্ত বড়ুয়া বলেন, ৭-৮ মাস আগে রামুতে সেফটিক ট্যাংকের ছাদ থেকে এক যুবককে হত্যাচেষ্টার উদ্দেশ্যে ফেলে দেয়া হয়। পরে তার স্ত্রী রুপনা বড়ুয়া বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
শিপ্ত জানান, রুপনার দেবর সোহেলের কাছে মামলার প্রতিবেদনে প্রকৃত আসামিদের অপরাধ লিখতে ঘুষ চান সেই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চিরঞ্জীব। ঘটনাটি নেক্কারজনক উল্লেখ করে চিরঞ্জীবের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন তিনি।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, অভিযুক্ত এসআইকে রামু থানা থেকে প্রত্যাহার করে নিয়ে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ তৈয়বুর রহমান বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত বিব্রতকর। বিষয়টি শোনার পরপরই তাকে থানার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছি।
চিরঞ্জীবের মুঠোফোনে এ বিষয়ে জানতে চেয়ে বারবার ফোন দেয়া হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।