কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ) : আগরপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পর্যন্ত রাস্তার বেহাল অবস্থা -সংবাদ
কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার ভাগলপুরের শেষ মাথা জামতলীর মোড় থেকে কুলিয়ারচর আগরপুর রামদী ফিড মিল পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। এই রাস্তাটি বাজিতপুর ও কুলিয়ারচর উপজেলাবাসীর অন্যতম প্রধান চলাচলের পথ হলেও দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার কাজের নামে গর্ত ও ভাঙাচোরা অবস্থায় ফেলে রাখায় জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবৎ ঠিকাদারের গাফিলতিতে সড়কটির ঢালাই ভেঙে ফেলে রাখা হয়েছে। এতে রাস্তায় বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে, যা বর্ষাকালে আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়া শত শত রোগী, স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, চাকরিজীবীসহ হাজারো যাত্রী মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
রাস্তাটিতে বড় বড় গর্তের কারণে প্রায়শই সিএনজি, অটোরিকশা, রিকশা উল্টে দুর্ঘটনা ঘটছে- যান চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। অনেক সময় বিকল্প পথে প্রায় ১২ কিলোমিটার ঘুরে যানবাহনগুলো বাজিতপুরে প্রবেশ করছে। কেউ কেউ আবার কুলিয়ারচর হয়ে বাজিতপুরে পৌঁছাতে বাধ্য হচ্ছেন। স্থানীয় আজিজুল হক জানান, আমরা প্রায় চার মাস যাবত চরম কষ্টে এই রাস্তা ব্যবহার করছি। অথচ কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেই। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি সত্বেও সংস্কারকাজে গতি আসছে না।
এ বিষয়ে কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিহা ফাতেমাতুজ-জোহরা বলেন, দীর্ঘদিন যাবত আমার উপজেলার মানুষজন চরম কষ্ট করছে। ঠিকাদারকে খুঁজে পাচ্ছি না। আমরা বিষয়টি সিরিয়াসলি নিচ্ছি। তবে টানা বৃষ্টির কারণে কাজ শুরু করতে দেরি হচ্ছে। আবহাওয়া ভালো হলে দ্রুতই কাজ শুরু হবে। এই সড়কটি দিয়ে ভৈরব, বেলাবো, মনোহরদী, কটিয়াদি, কুলিয়ারচরসহ আশপাশের উপজেলার হাজারো মানুষ প্রতিদিন চলাচল করেন। সড়কটি দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে জেলা এলজিইডি (স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর)। জনস্বার্থে এলাকাবাসী দ্রুত সংস্কার কাজ শুরুর দাবি জানিয়েছেন এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ) : আগরপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পর্যন্ত রাস্তার বেহাল অবস্থা -সংবাদ
মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫
কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার ভাগলপুরের শেষ মাথা জামতলীর মোড় থেকে কুলিয়ারচর আগরপুর রামদী ফিড মিল পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। এই রাস্তাটি বাজিতপুর ও কুলিয়ারচর উপজেলাবাসীর অন্যতম প্রধান চলাচলের পথ হলেও দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার কাজের নামে গর্ত ও ভাঙাচোরা অবস্থায় ফেলে রাখায় জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবৎ ঠিকাদারের গাফিলতিতে সড়কটির ঢালাই ভেঙে ফেলে রাখা হয়েছে। এতে রাস্তায় বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে, যা বর্ষাকালে আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়া শত শত রোগী, স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, চাকরিজীবীসহ হাজারো যাত্রী মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
রাস্তাটিতে বড় বড় গর্তের কারণে প্রায়শই সিএনজি, অটোরিকশা, রিকশা উল্টে দুর্ঘটনা ঘটছে- যান চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। অনেক সময় বিকল্প পথে প্রায় ১২ কিলোমিটার ঘুরে যানবাহনগুলো বাজিতপুরে প্রবেশ করছে। কেউ কেউ আবার কুলিয়ারচর হয়ে বাজিতপুরে পৌঁছাতে বাধ্য হচ্ছেন। স্থানীয় আজিজুল হক জানান, আমরা প্রায় চার মাস যাবত চরম কষ্টে এই রাস্তা ব্যবহার করছি। অথচ কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেই। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি সত্বেও সংস্কারকাজে গতি আসছে না।
এ বিষয়ে কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিহা ফাতেমাতুজ-জোহরা বলেন, দীর্ঘদিন যাবত আমার উপজেলার মানুষজন চরম কষ্ট করছে। ঠিকাদারকে খুঁজে পাচ্ছি না। আমরা বিষয়টি সিরিয়াসলি নিচ্ছি। তবে টানা বৃষ্টির কারণে কাজ শুরু করতে দেরি হচ্ছে। আবহাওয়া ভালো হলে দ্রুতই কাজ শুরু হবে। এই সড়কটি দিয়ে ভৈরব, বেলাবো, মনোহরদী, কটিয়াদি, কুলিয়ারচরসহ আশপাশের উপজেলার হাজারো মানুষ প্রতিদিন চলাচল করেন। সড়কটি দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে জেলা এলজিইডি (স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর)। জনস্বার্থে এলাকাবাসী দ্রুত সংস্কার কাজ শুরুর দাবি জানিয়েছেন এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।