ঢাকার অদুরে আশুলিয়া বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাইপাইলে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নিয়ে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে দীর্ঘদিন হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে বাড়ি ফিরলেও সম্পূর্ণ স্মৃতি ফিরে পাননি মো. ইমরান (২২)। এখনও শুকায়নি ইমরানের মাথায় গুলির ক্ষতচিহ্ন। ফিরতে পারেননি স্বাভাবিক জীবনে।
জানা যায়, জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার বালিজুড়ী ইউনিয়নের মধ্য তারতাপাড়া গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে মো. ইমরান। ইমরান এইচএসসি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। ইমরানের পরিবারে মা-বাবা, দুই ভাই-বোন ও বৃদ্ধা দাদি রয়েছে। ইমরান তার ভাই-বোনদের মধ্যে বড়। তার বাবা বিল্লাল পেশায় রিকশাচালক।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নিয়ে মাথায় গুলিবিদ্ধ ইমরানদের বসতঘরের জায়গা ছাড়া চাষযোগ্য কোনো জমি নেই। অভাব-অনটনে পড়ে সংসারের প্রয়োজনে তিনি স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনে শিক্ষকতা শুরু করেন।
গুলিবিদ্ধ ইমরানের পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে পাড়ি জমাতে চেয়েছিলেন ইতালিতে। এজন্য স্থানীয় এক আদম ব্যবসায়ীর কাছে টাকা ও পাসপোর্ট জমা দিয়েছিলেন। ইতালি যেতে আরও বেশ কয়েক মাস সময় লাগবে বিধায় জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনের শুরুতে তিনি আশুলিয়ার বাইপাইল একটি কুরিয়ার সার্ভিসে চাকরি নেন এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেন।
জানা গেছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত বছর ৪ আগস্ট বিকালে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় পুলিশ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছাত্র-জনতার ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সে সময় পুলিশ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট, কাঁদানো গ্যাসের শেল ছোড়ে। এতে ইমরান মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫
ঢাকার অদুরে আশুলিয়া বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাইপাইলে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নিয়ে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে দীর্ঘদিন হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে বাড়ি ফিরলেও সম্পূর্ণ স্মৃতি ফিরে পাননি মো. ইমরান (২২)। এখনও শুকায়নি ইমরানের মাথায় গুলির ক্ষতচিহ্ন। ফিরতে পারেননি স্বাভাবিক জীবনে।
জানা যায়, জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার বালিজুড়ী ইউনিয়নের মধ্য তারতাপাড়া গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে মো. ইমরান। ইমরান এইচএসসি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। ইমরানের পরিবারে মা-বাবা, দুই ভাই-বোন ও বৃদ্ধা দাদি রয়েছে। ইমরান তার ভাই-বোনদের মধ্যে বড়। তার বাবা বিল্লাল পেশায় রিকশাচালক।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নিয়ে মাথায় গুলিবিদ্ধ ইমরানদের বসতঘরের জায়গা ছাড়া চাষযোগ্য কোনো জমি নেই। অভাব-অনটনে পড়ে সংসারের প্রয়োজনে তিনি স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনে শিক্ষকতা শুরু করেন।
গুলিবিদ্ধ ইমরানের পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে পাড়ি জমাতে চেয়েছিলেন ইতালিতে। এজন্য স্থানীয় এক আদম ব্যবসায়ীর কাছে টাকা ও পাসপোর্ট জমা দিয়েছিলেন। ইতালি যেতে আরও বেশ কয়েক মাস সময় লাগবে বিধায় জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনের শুরুতে তিনি আশুলিয়ার বাইপাইল একটি কুরিয়ার সার্ভিসে চাকরি নেন এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেন।
জানা গেছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত বছর ৪ আগস্ট বিকালে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় পুলিশ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছাত্র-জনতার ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সে সময় পুলিশ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট, কাঁদানো গ্যাসের শেল ছোড়ে। এতে ইমরান মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।