গাইবান্ধার ফুলছড়ির কাজিরভিটা
গাইবান্ধা : হাইড্রোফোনিক ও সিড ব্যাংকের কার্যক্রম দেখছেন গণউন্নয়ন কর্মকর্তারা -সংবাদ
গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম কাজিরভিটা। এখানে উঠেছে ক্লাস্টার ভিলেজ, এক অনন্য কৃষিনির্ভর কমিউনিটি। ২০টি পরিবার নিজেদের জীবন ও জীবিকার উন্নয়নে গ্রহণ করেছে দুটি উদ্ভাবনী উদ্যোগ-হাইড্রোফোনিক চাষ ও সীড ব্যাংক ব্যবস্থাপনা।
হাইড্রোফোনিক : মাটি ছাড়াই সবজি চাষ ও গবাদিপশুর খাবার-
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অনির্ভরযোগ্য হয়ে পড়েছে কৃষিজমি। মৌসুমের পরিবর্তনে গণউন্নয়ন কেন্দ্রের সহায়তায় গড়ে ওঠা ক্লাস্টার ভিলেজ। এর পরিবারগুলো ঝুঁকে পড়েছে হাইড্রোফোনিক প্রযুক্তির দিকে। এ পদ্বতিতে মাটি ছাড়াই পুষ্টিযুক্ত পানির মাধ্যমে সবজি উৎপাদন ও গবাদিপশু প্রাণীর খাদ্য তৈরি করা হয়। ঘরের বারান্দায় কম জায়গায়, কম পানি ব্যবহার করে প্রতিদিন তাজা শাকসবজি পাচ্ছেন আর গবাদিপশু প্রাণীর পুষ্টিকর খাদ্য তৈরি করছেন তারা।
সিড ব্যাংক : নিরাপদ ভবিষ্যতের বীজ ভান্ডার- এই ক্লাস্টারের প্রতিটি পরিবার এখন অংশ নিচ্ছে সিড ব্যাংক ব্যবস্থাপনায়, যেখানে স্থানীয় ও দেশীয় বীজ সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিনিময়ের ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। একদিকে যেমন কম খরচে কৃষিকাজ চালানো যাচ্ছে, তেমনি হারিয়ে যাওয়া জাতগুলোওর ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে। কৃষকদের মধ্যে এখন বীজ সংরক্ষণের সচেতনতা বেড়েছে এবং এটি গ্রামীণ নারী নেতৃত্বের একটি শক্তিশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে বন্যায় যখন বীজতলা বিনষ্ট হচ্ছে তখন এই সংরক্ষণ করা বীজ আপদ মোকাবিলায় কাজে লাগছে।
সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব : এই দুটি উদ্যোগ শুধু খাদ্য নিরাপত্তাই নিশ্চিত করেনি, বরং নারীর ভূমিকা, পারিবারিক আয় এবং পুষ্টির মান অনেক গুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এক সময় যারা শুধু ভোক্তা ছিল, আজ তারা উদ্যোক্তা।
গণউন্নয়ন কেন্দ্রের প্রসপারিটি প্রকল্প ফোকাল জয়া প্রসাদ জানান, এডব্লিও ও ইন্টারন্যাশনাল এর সহায়তায় ভূমিহীন ও নদী ভাঙনের শিকার পরিবারগুলোর জন্য ক্লাস্টার ভিলেজ নির্মাণ করা হয়েছে এবং এসব পরিবারের জীবনমানের উন্নয়নে কারিগরি প্রশিক্ষণ ও আয় বৃদ্ধিমূলক কাজে উপকরণ সহায়তাও প্রদান করা হচ্ছে। এ ক্লাস্টার ভিলেজের ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা আমাদের দেখায়-টেকসই কৃষি প্রযুক্তি ও স্থানীয় সম্পদের যথাযথ ব্যবহার করলে প্রত্যন্ত গ্রামগুলোও হয়ে উঠতে পারে উন্নয়নের দৃষ্টান্ত।
গাইবান্ধার ফুলছড়ির কাজিরভিটা
গাইবান্ধা : হাইড্রোফোনিক ও সিড ব্যাংকের কার্যক্রম দেখছেন গণউন্নয়ন কর্মকর্তারা -সংবাদ
মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫
গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম কাজিরভিটা। এখানে উঠেছে ক্লাস্টার ভিলেজ, এক অনন্য কৃষিনির্ভর কমিউনিটি। ২০টি পরিবার নিজেদের জীবন ও জীবিকার উন্নয়নে গ্রহণ করেছে দুটি উদ্ভাবনী উদ্যোগ-হাইড্রোফোনিক চাষ ও সীড ব্যাংক ব্যবস্থাপনা।
হাইড্রোফোনিক : মাটি ছাড়াই সবজি চাষ ও গবাদিপশুর খাবার-
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অনির্ভরযোগ্য হয়ে পড়েছে কৃষিজমি। মৌসুমের পরিবর্তনে গণউন্নয়ন কেন্দ্রের সহায়তায় গড়ে ওঠা ক্লাস্টার ভিলেজ। এর পরিবারগুলো ঝুঁকে পড়েছে হাইড্রোফোনিক প্রযুক্তির দিকে। এ পদ্বতিতে মাটি ছাড়াই পুষ্টিযুক্ত পানির মাধ্যমে সবজি উৎপাদন ও গবাদিপশু প্রাণীর খাদ্য তৈরি করা হয়। ঘরের বারান্দায় কম জায়গায়, কম পানি ব্যবহার করে প্রতিদিন তাজা শাকসবজি পাচ্ছেন আর গবাদিপশু প্রাণীর পুষ্টিকর খাদ্য তৈরি করছেন তারা।
সিড ব্যাংক : নিরাপদ ভবিষ্যতের বীজ ভান্ডার- এই ক্লাস্টারের প্রতিটি পরিবার এখন অংশ নিচ্ছে সিড ব্যাংক ব্যবস্থাপনায়, যেখানে স্থানীয় ও দেশীয় বীজ সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিনিময়ের ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। একদিকে যেমন কম খরচে কৃষিকাজ চালানো যাচ্ছে, তেমনি হারিয়ে যাওয়া জাতগুলোওর ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে। কৃষকদের মধ্যে এখন বীজ সংরক্ষণের সচেতনতা বেড়েছে এবং এটি গ্রামীণ নারী নেতৃত্বের একটি শক্তিশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে বন্যায় যখন বীজতলা বিনষ্ট হচ্ছে তখন এই সংরক্ষণ করা বীজ আপদ মোকাবিলায় কাজে লাগছে।
সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব : এই দুটি উদ্যোগ শুধু খাদ্য নিরাপত্তাই নিশ্চিত করেনি, বরং নারীর ভূমিকা, পারিবারিক আয় এবং পুষ্টির মান অনেক গুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এক সময় যারা শুধু ভোক্তা ছিল, আজ তারা উদ্যোক্তা।
গণউন্নয়ন কেন্দ্রের প্রসপারিটি প্রকল্প ফোকাল জয়া প্রসাদ জানান, এডব্লিও ও ইন্টারন্যাশনাল এর সহায়তায় ভূমিহীন ও নদী ভাঙনের শিকার পরিবারগুলোর জন্য ক্লাস্টার ভিলেজ নির্মাণ করা হয়েছে এবং এসব পরিবারের জীবনমানের উন্নয়নে কারিগরি প্রশিক্ষণ ও আয় বৃদ্ধিমূলক কাজে উপকরণ সহায়তাও প্রদান করা হচ্ছে। এ ক্লাস্টার ভিলেজের ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা আমাদের দেখায়-টেকসই কৃষি প্রযুক্তি ও স্থানীয় সম্পদের যথাযথ ব্যবহার করলে প্রত্যন্ত গ্রামগুলোও হয়ে উঠতে পারে উন্নয়নের দৃষ্টান্ত।