গণ-অভ্যুত্থান-২০২৪’ স্মরণে আয়োজিত সম্মেলনে এক আহত জুলাইযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করে অনুষ্ঠানস্থল থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিকেলে নগরীতে বিক্ষোভ করেছে জুলাই যোদ্ধারা।
লাঞ্ছিত আহত যোদ্ধা সেলিম আহমদ (৪০) ইমজা জানান, সকালে জেলা প্রশাসনের আমন্ত্রণে তিনি অনুষ্ঠানস্থলে যান। অনুষ্ঠানস্থলে বসা অবস্থায় পাশের একজন যুবক ‘জুলাইযোদ্ধা’ নিয়ে তীর্যক মন্তব্য করছিলেন।
তিনি তাকে এমন মন্তব্য বন্ধ করতে বললে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। এ সময় এনসিপির নেতা আবু জাফর মো. জাবুর সেখানে উপস্থিত হয়ে কোনো কিছু না শুনেই সেলিম আহমদকে তার আসন থেকে উঠিয়ে, ধাক্কাতে ধাক্কাতে হল থেকে বের করে দেন।
পরে আহত যোদ্ধাকে লাঞ্ছিত ও অনুষ্ঠানস্থল থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে সন্ধ্যায় নগরীর শিবগঞ্জে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে স্বেচ্ছাসেবক দল। তারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করেন।
এ বিষয়ে আবু জাফর মো. জাবুর জানান, তিনি অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবারের সদস্য হিসেবে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন। ঘটনার সময় দুপক্ষের মধ্যে মারামারির পরিস্থিতি তৈরি হলে তিনি পরিবেশ শান্ত রাখতে একজনকে বের করে দেন। তাঁর দাবি, এতে তাঁর কোনো দোষ নেই।
এদিকে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে যোগাযোগ করা হলে, তাঁর সরকারি নম্বরে ফোন রিসিভ করেন সিলেটের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক সুবর্ণা সরকার।
তিনি জানান, ঘটনাটি তাৎক্ষণিকভাবে চোখে পড়েছে এবং পুরো ঘটনা তিন-চার মিনিটের মধ্যেই ঘটে যায়। আয়োজকদের পক্ষ থেকে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, বিকেলে এ ঘটনায় যে প্রতিবাদ হয়েছে, সে বিষয়টি তাঁরা জেনেছেন এবং বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা জেলা প্রশাসন নেবেন বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত আবু জাফর মো. জাবুর সিলেটে জুলাই আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারানো শহীদ আবু তাহের মো. তুরাবের ভাই।
অন্যদিকে লাঞ্ছিত সেলিম আহমদ সিলেট স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং ‘জুলাই-২৪’ এর আহত ৩১ যোদ্ধার একজন। তিনি ওই আন্দোলনে চোখে গুলিবিদ্ধ হয়ে দৃষ্টিশক্তি হারান এবং জেলা প্রশাসনের আমন্ত্রণে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫
গণ-অভ্যুত্থান-২০২৪’ স্মরণে আয়োজিত সম্মেলনে এক আহত জুলাইযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করে অনুষ্ঠানস্থল থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিকেলে নগরীতে বিক্ষোভ করেছে জুলাই যোদ্ধারা।
লাঞ্ছিত আহত যোদ্ধা সেলিম আহমদ (৪০) ইমজা জানান, সকালে জেলা প্রশাসনের আমন্ত্রণে তিনি অনুষ্ঠানস্থলে যান। অনুষ্ঠানস্থলে বসা অবস্থায় পাশের একজন যুবক ‘জুলাইযোদ্ধা’ নিয়ে তীর্যক মন্তব্য করছিলেন।
তিনি তাকে এমন মন্তব্য বন্ধ করতে বললে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। এ সময় এনসিপির নেতা আবু জাফর মো. জাবুর সেখানে উপস্থিত হয়ে কোনো কিছু না শুনেই সেলিম আহমদকে তার আসন থেকে উঠিয়ে, ধাক্কাতে ধাক্কাতে হল থেকে বের করে দেন।
পরে আহত যোদ্ধাকে লাঞ্ছিত ও অনুষ্ঠানস্থল থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে সন্ধ্যায় নগরীর শিবগঞ্জে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে স্বেচ্ছাসেবক দল। তারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করেন।
এ বিষয়ে আবু জাফর মো. জাবুর জানান, তিনি অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবারের সদস্য হিসেবে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন। ঘটনার সময় দুপক্ষের মধ্যে মারামারির পরিস্থিতি তৈরি হলে তিনি পরিবেশ শান্ত রাখতে একজনকে বের করে দেন। তাঁর দাবি, এতে তাঁর কোনো দোষ নেই।
এদিকে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে যোগাযোগ করা হলে, তাঁর সরকারি নম্বরে ফোন রিসিভ করেন সিলেটের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক সুবর্ণা সরকার।
তিনি জানান, ঘটনাটি তাৎক্ষণিকভাবে চোখে পড়েছে এবং পুরো ঘটনা তিন-চার মিনিটের মধ্যেই ঘটে যায়। আয়োজকদের পক্ষ থেকে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, বিকেলে এ ঘটনায় যে প্রতিবাদ হয়েছে, সে বিষয়টি তাঁরা জেনেছেন এবং বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা জেলা প্রশাসন নেবেন বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত আবু জাফর মো. জাবুর সিলেটে জুলাই আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারানো শহীদ আবু তাহের মো. তুরাবের ভাই।
অন্যদিকে লাঞ্ছিত সেলিম আহমদ সিলেট স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং ‘জুলাই-২৪’ এর আহত ৩১ যোদ্ধার একজন। তিনি ওই আন্দোলনে চোখে গুলিবিদ্ধ হয়ে দৃষ্টিশক্তি হারান এবং জেলা প্রশাসনের আমন্ত্রণে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।