alt

সারাদেশ

অনুমোদন ছাড়াই গাছ কেটে বিক্রি করে দিলেন কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার

প্রতিনিধি, বান্দরবান : বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫

বান্দরবানে সদর উপজেলার টংকাবতী ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের অভ্যন্তরে ৮টি সেগুন গাছ অনুমোদন ছাড়াই কেটে বিক্রি করে দিয়েছে টংকাবতী ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপসহকারী কমিনিটি মেডিকেল অফিসার মিজানুর রহমান। গেলো ২৯ মার্চ যেই কোনো এক সময় সবার অজান্তে গাছগুলো কেটে স্থানীয় একটি কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দেন। কেটে ফেলা গাছগুলোর বাজার মূল্য প্রায় ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা হবে বলে ধারন করেন স্থানীয়রা। তবে কোনো ধরনে অনুমতি ছাড়া সরকারি নীতিমালা না মেনে অসৎ উদ্দেশ্যে গোপনে পুরাতন বিকেল আকৃতির মূল্যবান গাছগুলো বিক্রিয় করে দেন।

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ জানান যায় অফিসের কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের যোগসূত্র থাকতে পারে। কারণ রমজান মাসে সবার অজান্তে সরকারি স্থাপনা থেকে গাছগুলো কেটে বিক্রিয় দেয়। তবে জেলা ও উপজেলা কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে এই এই ঘটনাটি ঘটেছে মনে করেন স্থানীয়রা। গত এক দেড় বছরে দেখা যায়নি এই অফিস পরিদর্শনে কোনো কর্মকর্তাকে। ফলে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা এই সুযোগটি কাছে লাগিয়েছে। এদিকে কর্মরত কর্মচারীদের তথ্য মতে, কেন্দ্রের উপসহকারী কমিনিটি মেডিকেল অফিসার মিজানুর রহমান গাছগুলো বিক্রি করে দিয়েছে। গাছ কেন কাটা হচ্ছে এই বিষয় জানতে চাইলে মিজানুর রহমান বলেন অফিসের অনুমতি নিয়ে গাছ কাটা হচ্ছে। এ বিষয় তোমাদের মাথা গামানোর প্রয়োজন নেই।

অফিসের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে এবং অফিসের অনুমতি নিয়ে গাছ কাটছি। আর সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. রাশেদ নিজাম বলছেন মিজানের ভাষ্যমতে, স্থানীয় একটি কোম্পানির কাছে গাছগুলো বিক্রি করে দিয়েছে এবং ওই কোম্পানি গাছগুলো কেটে নিয়েছে। তবে গাছকাটার জন্য কোন ধরণের অফিস অনুমতি নেয়া হয়নি। কিন্তু সেই নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে গাছ বিক্রি করে দেয়। বিষয় মিজানুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া। ফলে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব্য হয়নি।

অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দা মো. রফিক বলেন, প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা সবার দায়িত্ব। টংকাবতী ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের সীমানার অভ্যন্তেরে গাছগুলো বহু বছর আগের পুরানো গাছ। এ ছাড়া বিভিন্ন ফলের গাছও রয়েছে অভ্যন্তের এলাকায়। তবে গাছগুলো কাটার প্রায় ৪ মাসের মাথায় কর্তকর্তারা হঠাৎ

তদন্ত টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন আসেন। গত এক দেড় বছরের জেলা ও উপজেলার কোন কর্মকর্তাকে অফিস পরিদর্শনে দেখা যায়নি। এতে মনে হচ্ছে দায়িত্ব অবহেলা এবং এসব অপকর্মে কর্মকর্তা-কর্মচরীরা জড়িত থাকতে পারে বরে মনে করেন একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা। সুত্রে জানা যায়, বান্দরবান সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো.রাশেদ নিজাম যোগদানের দেড় বছরের মধ্যে একদিনের জন্য টংকাবতী ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে পরিদর্শনে আসেনি।

অন্যদিকে টংকাবতী ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের অভ্যন্তরে গাছকাটার বিষয় জানতে চাইলে সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রাশেদ নিজাম বলেন ৮টি গাছ কাটা হয়েছে। তবে গাছগুলো কাটার জন্য কোনো ধরনে অফিস বা প্রশাসনিক অনুমতি নেয়নি উপসহকারী কমিনিটি মেডিকেল অফিসার মিজানুর রহমান। এ বিষয় জেলার উপপরিচালক কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্ত কাজ চলছে। গাছ বিক্রিয়ের বিষয় জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রের উপসহকারী কমিনিটি মেডিকেল অফিসার জিনি দায়িত্বে ছিলেন তিনি আমাকে জানিয়েছে স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি গাছগুলো কেটে নিয়ে গেছে এবং কিছু টাকাও দিয়েছে। কাউকে না জানিয়ে এবং বন বিভাগ থেকে কোনো ধরনের অনুমতি না নেয়ায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে কেন্দ্রে অন্য যারা দায়িত্বে ছিলেন তার আমাকে কেউ বিষয়টি জানায়নি যার কারণে বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এই কর্মকর্তা আরও বলেন, যারা কেন্দ্রের দায়িত্বে রয়েছে তার ঠিকভাবে দায়িত্ব পাল করছে না। বিষয়গুলো জেলা অফিসকে জানানোর পর কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নাই। তবে আমি চাই যারা অপরাধি তাদের শাস্তি হোক।

অন্যদিকে টংকাবতী রেঞ্জ অফিসার মো. রাফি-উদ-দৌলা সরদার বলেন, গাছ কাটার নীতি মালা রয়েছে। সরকারি স্থাপনা থেকে গাছ কাটার নিয়ম হলো আবেদনের মাধ্যমে গাছ কাটার অনুমতি নিতে হয়। আমাদের অফিসে গাছ কাটার কোনো আবেদন করা হয়নি। বিষয়টি আমাদের নজরেও আসেনি এবং কেউ অভিযোগও করেন নাই। বান্দরবান বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বলেন, নিয়ম অনুযায়ী সরকারি কোনো অফিসের গাছ কাটতে গেলে বন বিভাগে লিখিত আবেদন করতে হয় সেখান থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর গাছ কাটা যায় এবং তা টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিক্রি করা হয়।

তিনি আরও বলেন, গাছ কাটা নিয়ে একটি কমিটি রয়েছে কমিটির মাধ্যমে যাছাই-বাছাই করে অনুমোদন দেয়া হয়। অন্যদিকে জেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের কাছে গাছকাটার বিষয় জানতে জাইলে তিনি বলেন, আমি সরজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছে, সেখান ৮টি সেগুন গাছ কাটার প্রমাণ পেয়েছি এবং গাছগুলো গোড়ালি পাওয়া গেছে। তবে গত রমজান মাসে সবার অজান্তে গাছগুলো কাটা হয়েছে। তবে গাছ কাটার জন্য প্রশাসনিক অনুমতি নেয়া হয়নি।

জেলার উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. লেনিন তালুকদার বলেন, স্থানীয়ভাবে একটি অভিযোগ পেয়েছি এটা নিয়ে একটা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তদন্ত কমিটির রিপোট পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ছবি

যশোরে থানায় ঢুকে হুমকি, জামায়াত নেতা গ্রেপ্তার

পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকায় ভাঙন থামছেই না, বিলীন হচ্ছে মসজিদ, বসতবাড়ি, দোকান ও সড়ক

টাঙ্গাইলে পিকআপ ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ১

ছবি

চট্টগ্রামে সেতু ভেঙে যোগাযোগ ব্যাহত, যানজটে ভোগান্তি

ছবি

গুলশানে চাঁদাবাজি: ‘দোষ স্বীকার করে’ অপুর জবানবন্দী

ছবি

মাতামুহুরী নদীর ভয়াবহ ভাঙনে বিলীন ঘরবাড়ি, ফসলি জমি

ছবি

জলমহালের নীতিমালা অমান্য করলেও বাতিল হয়নি ইজারা

ছবি

দূর্গাপুরে পানির নিচে ৫০০ বিঘা জমি

ছবি

মসজিদের রাস্তা না থাকায় মুসল্লিরা দুর্ভোগে

ছবি

ডুমুরিয়ায় নদীর তীরবর্তী সৃজিত বনায়ন দৃশ্যমান

ছবি

টিনের চাল কেটে স্বর্ণের দোকানে চুরি

ছবি

চা বিক্রেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, ঘাতক আটক

ছবি

আক্কেলপুরে বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার

ছবি

মোহনগঞ্জ পৌর রাস্তায় জনভোগান্তি

ছবি

ভাঙনের মুখে গোবিন্দগঞ্জের নলেয়া নদীর স্লুইসগেট, দুর্ঘটনার আশংকা

ছবি

বাজিতপুরে ঝুঁকিপূর্ণ মরা গাছ, দুর্ঘটনার আশঙ্কা

ছবি

আমন চারা রোপণে ব্যস্ত কৃষক

ছবি

সিদ্ধিরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ২৮ হত্যা ও ২৬টি হত্যা চেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার ৬৮

ছবি

বিজয় মিছিলে যোগ দিতে এসে যুবদল নেতার মৃত্যু

ছবি

চাঁদপুরে যৌথবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ভ্রাম্যমাণ আদালত

ছবি

নাসিরনগর প্যানেল চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

ছবি

মাধবদীতে আগুনে পুড়ল ৭ দোকান

ছবি

পটিয়ায় যাত্রীবাহী বাস উল্টে খাদে, আহত ১০

ছবি

বোয়ালখালীতে সাপের কামড়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ছবি

‘’৭১ স্বাধীনতা অর্জনের, ২০২৪ রক্ষার যুদ্ধ’ বললেন তারেক রহমান

ছবি

নানা সমস্যায় জর্জরিত রায়পুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল

ছবি

ঘোড়াঘাটে প্রকাশ্যে চলছে জুয়ার আসর, প্রশাসন নির্বিকার

ছবি

জন্মনিবন্ধন না পাওয়ায় ভর্তি বঞ্চিত ৫০ শিক্ষার্থী

ছবি

সিরাজগঞ্জে রোপা আমন চাষে ব্যস্ত কৃষক

ছবি

রাস্তা সংস্কারের অভাবে জনদুর্ভোগ চরমে

ছবি

গাংনীতে ডাকাতি লাখ টাকা লুট

ছবি

মা-ছেলেসহ চার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

ছবি

ঘোড়াশালে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু

ছবি

সারাদেশে গণঅভ্যুত্থান দিবসে সমাবেশ বিজয় মিছিল

ছবি

ভোলায় দুই ভাই হত্যায় তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড

জয় বাংলা স্লোগানে বক্তব্য শেষ করলেন ‘রিকশাচালক দলে’র নেতা

tab

সারাদেশ

অনুমোদন ছাড়াই গাছ কেটে বিক্রি করে দিলেন কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার

প্রতিনিধি, বান্দরবান

বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫

বান্দরবানে সদর উপজেলার টংকাবতী ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের অভ্যন্তরে ৮টি সেগুন গাছ অনুমোদন ছাড়াই কেটে বিক্রি করে দিয়েছে টংকাবতী ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপসহকারী কমিনিটি মেডিকেল অফিসার মিজানুর রহমান। গেলো ২৯ মার্চ যেই কোনো এক সময় সবার অজান্তে গাছগুলো কেটে স্থানীয় একটি কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দেন। কেটে ফেলা গাছগুলোর বাজার মূল্য প্রায় ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা হবে বলে ধারন করেন স্থানীয়রা। তবে কোনো ধরনে অনুমতি ছাড়া সরকারি নীতিমালা না মেনে অসৎ উদ্দেশ্যে গোপনে পুরাতন বিকেল আকৃতির মূল্যবান গাছগুলো বিক্রিয় করে দেন।

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ জানান যায় অফিসের কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের যোগসূত্র থাকতে পারে। কারণ রমজান মাসে সবার অজান্তে সরকারি স্থাপনা থেকে গাছগুলো কেটে বিক্রিয় দেয়। তবে জেলা ও উপজেলা কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে এই এই ঘটনাটি ঘটেছে মনে করেন স্থানীয়রা। গত এক দেড় বছরে দেখা যায়নি এই অফিস পরিদর্শনে কোনো কর্মকর্তাকে। ফলে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা এই সুযোগটি কাছে লাগিয়েছে। এদিকে কর্মরত কর্মচারীদের তথ্য মতে, কেন্দ্রের উপসহকারী কমিনিটি মেডিকেল অফিসার মিজানুর রহমান গাছগুলো বিক্রি করে দিয়েছে। গাছ কেন কাটা হচ্ছে এই বিষয় জানতে চাইলে মিজানুর রহমান বলেন অফিসের অনুমতি নিয়ে গাছ কাটা হচ্ছে। এ বিষয় তোমাদের মাথা গামানোর প্রয়োজন নেই।

অফিসের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে এবং অফিসের অনুমতি নিয়ে গাছ কাটছি। আর সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. রাশেদ নিজাম বলছেন মিজানের ভাষ্যমতে, স্থানীয় একটি কোম্পানির কাছে গাছগুলো বিক্রি করে দিয়েছে এবং ওই কোম্পানি গাছগুলো কেটে নিয়েছে। তবে গাছকাটার জন্য কোন ধরণের অফিস অনুমতি নেয়া হয়নি। কিন্তু সেই নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে গাছ বিক্রি করে দেয়। বিষয় মিজানুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া। ফলে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব্য হয়নি।

অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দা মো. রফিক বলেন, প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা সবার দায়িত্ব। টংকাবতী ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের সীমানার অভ্যন্তেরে গাছগুলো বহু বছর আগের পুরানো গাছ। এ ছাড়া বিভিন্ন ফলের গাছও রয়েছে অভ্যন্তের এলাকায়। তবে গাছগুলো কাটার প্রায় ৪ মাসের মাথায় কর্তকর্তারা হঠাৎ

তদন্ত টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন আসেন। গত এক দেড় বছরের জেলা ও উপজেলার কোন কর্মকর্তাকে অফিস পরিদর্শনে দেখা যায়নি। এতে মনে হচ্ছে দায়িত্ব অবহেলা এবং এসব অপকর্মে কর্মকর্তা-কর্মচরীরা জড়িত থাকতে পারে বরে মনে করেন একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা। সুত্রে জানা যায়, বান্দরবান সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো.রাশেদ নিজাম যোগদানের দেড় বছরের মধ্যে একদিনের জন্য টংকাবতী ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে পরিদর্শনে আসেনি।

অন্যদিকে টংকাবতী ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের অভ্যন্তরে গাছকাটার বিষয় জানতে চাইলে সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রাশেদ নিজাম বলেন ৮টি গাছ কাটা হয়েছে। তবে গাছগুলো কাটার জন্য কোনো ধরনে অফিস বা প্রশাসনিক অনুমতি নেয়নি উপসহকারী কমিনিটি মেডিকেল অফিসার মিজানুর রহমান। এ বিষয় জেলার উপপরিচালক কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্ত কাজ চলছে। গাছ বিক্রিয়ের বিষয় জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রের উপসহকারী কমিনিটি মেডিকেল অফিসার জিনি দায়িত্বে ছিলেন তিনি আমাকে জানিয়েছে স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি গাছগুলো কেটে নিয়ে গেছে এবং কিছু টাকাও দিয়েছে। কাউকে না জানিয়ে এবং বন বিভাগ থেকে কোনো ধরনের অনুমতি না নেয়ায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে কেন্দ্রে অন্য যারা দায়িত্বে ছিলেন তার আমাকে কেউ বিষয়টি জানায়নি যার কারণে বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এই কর্মকর্তা আরও বলেন, যারা কেন্দ্রের দায়িত্বে রয়েছে তার ঠিকভাবে দায়িত্ব পাল করছে না। বিষয়গুলো জেলা অফিসকে জানানোর পর কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নাই। তবে আমি চাই যারা অপরাধি তাদের শাস্তি হোক।

অন্যদিকে টংকাবতী রেঞ্জ অফিসার মো. রাফি-উদ-দৌলা সরদার বলেন, গাছ কাটার নীতি মালা রয়েছে। সরকারি স্থাপনা থেকে গাছ কাটার নিয়ম হলো আবেদনের মাধ্যমে গাছ কাটার অনুমতি নিতে হয়। আমাদের অফিসে গাছ কাটার কোনো আবেদন করা হয়নি। বিষয়টি আমাদের নজরেও আসেনি এবং কেউ অভিযোগও করেন নাই। বান্দরবান বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বলেন, নিয়ম অনুযায়ী সরকারি কোনো অফিসের গাছ কাটতে গেলে বন বিভাগে লিখিত আবেদন করতে হয় সেখান থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর গাছ কাটা যায় এবং তা টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিক্রি করা হয়।

তিনি আরও বলেন, গাছ কাটা নিয়ে একটি কমিটি রয়েছে কমিটির মাধ্যমে যাছাই-বাছাই করে অনুমোদন দেয়া হয়। অন্যদিকে জেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের কাছে গাছকাটার বিষয় জানতে জাইলে তিনি বলেন, আমি সরজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছে, সেখান ৮টি সেগুন গাছ কাটার প্রমাণ পেয়েছি এবং গাছগুলো গোড়ালি পাওয়া গেছে। তবে গত রমজান মাসে সবার অজান্তে গাছগুলো কাটা হয়েছে। তবে গাছ কাটার জন্য প্রশাসনিক অনুমতি নেয়া হয়নি।

জেলার উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. লেনিন তালুকদার বলেন, স্থানীয়ভাবে একটি অভিযোগ পেয়েছি এটা নিয়ে একটা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তদন্ত কমিটির রিপোট পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

back to top