দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সীমান্ত এলাকা কুলানন্দপুরে করতোয়া নদীর চরে প্রকাশ্যে চলছে জুয়ার আসর। এতে এলাকায় বেড়েছে চুরি, ডাকাতি ও মাদকদ্রব্যের বিস্তার। আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে শালিকাদহ ও কুলানন্দপুরসহ আশপাশের গ্রামের সাধারণ মানুষের।
জানা গেছে, এ আসরের মূল হোতা রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের ধর্মদাশপুর উচাপাড়া গ্রামের আতাউর রহমান আতোয়ার। তার বিরুদ্ধে রংপুর ও দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন থানায় চুরি, মাদক, মারামারি এমনকি ধর্ষণ চেষ্টার মতো একাধিক মামলা থাকা সত্ত্বেও রহস্যজনক কারণে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়েছ সে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আতাউর দীর্ঘদিন ধরে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিদেরকে সঙ্গে নিয়ে কুলানন্দপুর এলাকায় মাদক ও জুয়ার আসর চালাচ্ছে। প্রতিদিন ইজিবাইক, মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসযোগে বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত মানুষ এসে এই জুয়ার আড্ডায় অংশ নিচ্ছে। এতে করে যুবসমাজ মাদকের জালে জড়িয়ে পড়ছে, সৃষ্টি হয়েছে এক বিপজ্জনক সামাজিক অবক্ষয়।
জানা গেছে, আতাউরের পাশাপাশি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলর শিমুলবাড়ী এলাকার মেহেদুল ইসলামও এই অপরাধ চক্রের সঙ্গে জড়িত। শুধু জুয়াই নয়, কুলানন্দপুর এলাকায় ইয়াবা ট্যাবলেটসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্যের অবাধ বিক্রি বেড়ে গেছে। এ ছাড়াও নদীর বালু অবৈধভাবে উত্তোলন, জুয়ার টাকার ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষ এবং কখনও কখনও খুন-জখমের ঘটনাও ঘটছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, জুয়া ও মাদকের কারণে আমাদের এলাকার কিশোর ও যুবকরা ধ্বংসের পথে যাচ্ছে। প্রশাসনের নীরবতা আমাদের হতাশ করেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করলে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার সীমানায় গিয়ে আসর বসে। আবার পীরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করলে ঘোড়াঘাট উপজেলার সীমানায় আসর বসে। এ বিষয়ে ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমূল হক বলেন, জুয়ারিরা মূলত অন্য জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় জুয়ার আসর বসায়। আমরা অভিযান চালাতে গেলে তারা পীরগঞ্জ এলাকায় পালিয়ে যায়। তবুও আমরা বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিবো।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, নদী ও সীমান্ত এলাকা হওয়ার কারণে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই অপরাধের সঙ্গে জড়িতরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। আমি বিষয়গুলো নিয়ে জেলা আইনশৃঙ্খলা মিটিং এ আলোচনা করেছি। এ বিষয়ে খুব দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সীমান্ত এলাকা কুলানন্দপুরে করতোয়া নদীর চরে প্রকাশ্যে চলছে জুয়ার আসর। এতে এলাকায় বেড়েছে চুরি, ডাকাতি ও মাদকদ্রব্যের বিস্তার। আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে শালিকাদহ ও কুলানন্দপুরসহ আশপাশের গ্রামের সাধারণ মানুষের।
জানা গেছে, এ আসরের মূল হোতা রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের ধর্মদাশপুর উচাপাড়া গ্রামের আতাউর রহমান আতোয়ার। তার বিরুদ্ধে রংপুর ও দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন থানায় চুরি, মাদক, মারামারি এমনকি ধর্ষণ চেষ্টার মতো একাধিক মামলা থাকা সত্ত্বেও রহস্যজনক কারণে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়েছ সে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আতাউর দীর্ঘদিন ধরে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিদেরকে সঙ্গে নিয়ে কুলানন্দপুর এলাকায় মাদক ও জুয়ার আসর চালাচ্ছে। প্রতিদিন ইজিবাইক, মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসযোগে বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত মানুষ এসে এই জুয়ার আড্ডায় অংশ নিচ্ছে। এতে করে যুবসমাজ মাদকের জালে জড়িয়ে পড়ছে, সৃষ্টি হয়েছে এক বিপজ্জনক সামাজিক অবক্ষয়।
জানা গেছে, আতাউরের পাশাপাশি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলর শিমুলবাড়ী এলাকার মেহেদুল ইসলামও এই অপরাধ চক্রের সঙ্গে জড়িত। শুধু জুয়াই নয়, কুলানন্দপুর এলাকায় ইয়াবা ট্যাবলেটসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্যের অবাধ বিক্রি বেড়ে গেছে। এ ছাড়াও নদীর বালু অবৈধভাবে উত্তোলন, জুয়ার টাকার ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষ এবং কখনও কখনও খুন-জখমের ঘটনাও ঘটছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, জুয়া ও মাদকের কারণে আমাদের এলাকার কিশোর ও যুবকরা ধ্বংসের পথে যাচ্ছে। প্রশাসনের নীরবতা আমাদের হতাশ করেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করলে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার সীমানায় গিয়ে আসর বসে। আবার পীরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করলে ঘোড়াঘাট উপজেলার সীমানায় আসর বসে। এ বিষয়ে ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমূল হক বলেন, জুয়ারিরা মূলত অন্য জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় জুয়ার আসর বসায়। আমরা অভিযান চালাতে গেলে তারা পীরগঞ্জ এলাকায় পালিয়ে যায়। তবুও আমরা বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিবো।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, নদী ও সীমান্ত এলাকা হওয়ার কারণে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই অপরাধের সঙ্গে জড়িতরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। আমি বিষয়গুলো নিয়ে জেলা আইনশৃঙ্খলা মিটিং এ আলোচনা করেছি। এ বিষয়ে খুব দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।