গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) : চারা রোপণে ব্যস্ত কৃষক -সংবাদ
গোবিন্দগঞ্জে গত ৩ দিনের পর্যাপ্ত বৃষ্টিতে আমন ধানের চারা রোপনের ধুম পড়ে গেছে। মাঠে মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক। জমিতে হাল চাষ দিয়ে কাদা করে বীজতলা থেকে চারা তুলে জমিতে আমন চারা রোপন করছেন কৃষকরা। উপজেলার গ্রামে গ্রামে এখন আমন চারা রোপণের দ্যশ্য চোখে পড়ছে।
সময়মতো আমন ধানের চারা রোপণ না করলে ফসল ভালো হবে না। ভালো ফলনের জন্যই আমরা মাঠে নেমে পড়েছি। চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে এবার ৩১ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে
জানা গেছে, আমন আবাদের ভরা মৌসুম শ্রাবণ মাসের প্রথম দুই সপ্তাহ বৃষ্টির দেখা মেলেনি। প্রয়োজনীয় পানির অভাবে চাষিরা আমন চারা রোপন করতে পারছিল না। গভীর ও অগভীর নলকূপের মাধ্যমে সেচ দিয়ে অনেকেই যেটুকু চারা রোপন করেছিল সেটুকুও পানির অভাবে শুকিয়ে যাচ্ছিল। যেন পরিষ্কার মেঘমুক্ত আকাশ তেকে ঠিকরে পড়ছিল তপ্ত রোদ। অস্বাভাবিক ভ্যাপসা গরমে তাতিয়ে উঠেছিল প্রকৃতি। মাঝেমধ্যে আকাশে বিক্ষিপ্ত মেঘ দেখা গেলেও ছিটেফোঁটা বৃষ্টি ছাড়া তেমন কিছুই হচ্ছিল না। আমন আবাদ বৃষ্টির ওপর নির্ভরশীল। তাই বৃষ্টি না হওয়ায় আমন আবাদ নিয়ে চিন্তায় পড়েছিল কৃষকরা। কিন্তু মাঝ শ্রাবণ গত তিন দিন আগে থেকে শ্রাবণের অঝোর ধারা ঝরছে ঝর ঝর। মাঝে মধ্যে ভারী বৃষ্টিপাতও হচ্ছে। এতে এখন মাঠে মাঠে পর্যাপ্ত পানি জমেছে। এই পানিতে কৃষকরা আমন চারা রোপণ কোমড় বেঁধে নেমে পড়েছেন। তাই তো, মাঠে মাঠে এখন আমন ধানের চারা রোপণের ধুম পড়ে গেছে। উপজেলার পশ্চিম পান্থা পাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গত তিন দিনের বৃষ্টিতে জমিতে পানি জমে গেছে। আর কয়েকদিন বৃষ্টি না হলেও চলবে। আমার ৩ বিঘা জমিতে আমান চারা রোপণে কামলা লাগিয়েছে। অন্য কৃষকরা জানান, মাঠে ব্যাপক হারে আমন ধানের চারা রোপণ শুরু হয়েছে। বৃষ্টির মধ্যেও কষ্ট করে কাহ করতে হচ্ছে। এতে কষ্ট হলেও সময়ের মধ্যেই চারা রোপণ শেষ করতে হবে। সময়মতো আমন ধানের চারা রোপণ না করলে ফসল ভালো হবে না।
ভালো ফলনের জন্যই আমরা মাঠে নেমে পড়েছি। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার পৌরসভাসহ ১৭টি ইউনিয়নে এবার ৩১ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, শ্রাবণের প্রথর দুই সপ্তাহ অনাবৃষ্টির কারণে কৃষকরা সেচের মাধ্যমে আমন চারা রোপণ করতে বাদ্য হয়েছে। কিন্তু গত ৩-৪ দিন আগে থেকে পর্যাপ্ত বৃষ্টিতে কৃষকের ক্ষেত্রে পানি জমেছে এবং কৃষকরা এখন মাঠে মাঠে আমন চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আমরা কৃষকদের আধুনিক পদ্ধতিতে চারা রোপণ ও সার প্রয়োগ বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছি।
গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) : চারা রোপণে ব্যস্ত কৃষক -সংবাদ
বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫
গোবিন্দগঞ্জে গত ৩ দিনের পর্যাপ্ত বৃষ্টিতে আমন ধানের চারা রোপনের ধুম পড়ে গেছে। মাঠে মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক। জমিতে হাল চাষ দিয়ে কাদা করে বীজতলা থেকে চারা তুলে জমিতে আমন চারা রোপন করছেন কৃষকরা। উপজেলার গ্রামে গ্রামে এখন আমন চারা রোপণের দ্যশ্য চোখে পড়ছে।
সময়মতো আমন ধানের চারা রোপণ না করলে ফসল ভালো হবে না। ভালো ফলনের জন্যই আমরা মাঠে নেমে পড়েছি। চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে এবার ৩১ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে
জানা গেছে, আমন আবাদের ভরা মৌসুম শ্রাবণ মাসের প্রথম দুই সপ্তাহ বৃষ্টির দেখা মেলেনি। প্রয়োজনীয় পানির অভাবে চাষিরা আমন চারা রোপন করতে পারছিল না। গভীর ও অগভীর নলকূপের মাধ্যমে সেচ দিয়ে অনেকেই যেটুকু চারা রোপন করেছিল সেটুকুও পানির অভাবে শুকিয়ে যাচ্ছিল। যেন পরিষ্কার মেঘমুক্ত আকাশ তেকে ঠিকরে পড়ছিল তপ্ত রোদ। অস্বাভাবিক ভ্যাপসা গরমে তাতিয়ে উঠেছিল প্রকৃতি। মাঝেমধ্যে আকাশে বিক্ষিপ্ত মেঘ দেখা গেলেও ছিটেফোঁটা বৃষ্টি ছাড়া তেমন কিছুই হচ্ছিল না। আমন আবাদ বৃষ্টির ওপর নির্ভরশীল। তাই বৃষ্টি না হওয়ায় আমন আবাদ নিয়ে চিন্তায় পড়েছিল কৃষকরা। কিন্তু মাঝ শ্রাবণ গত তিন দিন আগে থেকে শ্রাবণের অঝোর ধারা ঝরছে ঝর ঝর। মাঝে মধ্যে ভারী বৃষ্টিপাতও হচ্ছে। এতে এখন মাঠে মাঠে পর্যাপ্ত পানি জমেছে। এই পানিতে কৃষকরা আমন চারা রোপণ কোমড় বেঁধে নেমে পড়েছেন। তাই তো, মাঠে মাঠে এখন আমন ধানের চারা রোপণের ধুম পড়ে গেছে। উপজেলার পশ্চিম পান্থা পাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গত তিন দিনের বৃষ্টিতে জমিতে পানি জমে গেছে। আর কয়েকদিন বৃষ্টি না হলেও চলবে। আমার ৩ বিঘা জমিতে আমান চারা রোপণে কামলা লাগিয়েছে। অন্য কৃষকরা জানান, মাঠে ব্যাপক হারে আমন ধানের চারা রোপণ শুরু হয়েছে। বৃষ্টির মধ্যেও কষ্ট করে কাহ করতে হচ্ছে। এতে কষ্ট হলেও সময়ের মধ্যেই চারা রোপণ শেষ করতে হবে। সময়মতো আমন ধানের চারা রোপণ না করলে ফসল ভালো হবে না।
ভালো ফলনের জন্যই আমরা মাঠে নেমে পড়েছি। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার পৌরসভাসহ ১৭টি ইউনিয়নে এবার ৩১ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, শ্রাবণের প্রথর দুই সপ্তাহ অনাবৃষ্টির কারণে কৃষকরা সেচের মাধ্যমে আমন চারা রোপণ করতে বাদ্য হয়েছে। কিন্তু গত ৩-৪ দিন আগে থেকে পর্যাপ্ত বৃষ্টিতে কৃষকের ক্ষেত্রে পানি জমেছে এবং কৃষকরা এখন মাঠে মাঠে আমন চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আমরা কৃষকদের আধুনিক পদ্ধতিতে চারা রোপণ ও সার প্রয়োগ বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছি।