ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) : এয়ারপোর্টের সামনে আফতাব হ্যাচারি সংলগ্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে দাঁড়িয়ে আছে দুটি গাছ
কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার সরারচর-ভাগলপুর সড়কে, সরারচর এয়ারপোর্টের সামনে আফতাব হ্যাচারি সংলগ্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে দাঁড়িয়ে আছে দুটি বিশালাকৃতির মৃত গাছ। পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতে, গাছ দুটি দীর্ঘ সময় ধরে মরে গিয়ে এখন কেবল শুকনো কাঠ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, যা যেকোনো সময় ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ ইউনুস মিয়া বলেন, প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে শত শত মানুষ, অটো, ভ্যান ও মোটরসাইকেল বাস ট্রাক অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে। মৃত গাছগুলো হঠাৎ ভেঙে পড়লে বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটতে পারে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আশরাফুল আলম বলেন, গাছ দুটি আর জীবিত নেই। এদের মূল শুকিয়ে গেছে। এখন এগুলো পরিবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। শিশু সংগঠক সোহেল সাশ্রু বলেন, কয়েক বছর আগে এরকম মরা শুকনো গাছের ডাল পড়ে ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক সড়কের গাজিরটেক এলাকায় এক মাইক্রোবাসের উপড় পড়লে ঘটনাস্থলে ৩ জনের প্রাণহানি ঘটে। এ ছাড়া মিরারচর এলাকায় শুকনো গাছের ডাল ভেঙে সিএনজিচালিত অটোরিকশার ওপর পড়লে ওই সিএনজিচালিত অটোরিকশায় থাকা চালকসহ ৬ জন যাত্রী নিহত হয়। এই গাছসহ রাস্তার পাশে যতধরণের মৃত গাছ আছে সবগুলো অপসারণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। এগুলো কেটে নতুন করে আবারও গাছ রোপণ করলে পরিবেশের ভারসাম্যতা রক্ষা পাবে।
বিষয়টি নিয়ে পরিবেশবিদ মো. ওসিম উদ্দিন ভূঞা বলেন, মৃত গাছ দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকলে তা পরিবেশগত ভারসাম্য তো নষ্ট করেই, বরং মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়ায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারাসিদ বিন এনাম বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। সংশ্লিষ্ট বন বিভাগ ও বিদ্যুৎ বিভাগকে জানানো হয়েছে। দ্রুত ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো অপসারণে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) : এয়ারপোর্টের সামনে আফতাব হ্যাচারি সংলগ্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে দাঁড়িয়ে আছে দুটি গাছ
বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫
কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার সরারচর-ভাগলপুর সড়কে, সরারচর এয়ারপোর্টের সামনে আফতাব হ্যাচারি সংলগ্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে দাঁড়িয়ে আছে দুটি বিশালাকৃতির মৃত গাছ। পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতে, গাছ দুটি দীর্ঘ সময় ধরে মরে গিয়ে এখন কেবল শুকনো কাঠ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, যা যেকোনো সময় ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ ইউনুস মিয়া বলেন, প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে শত শত মানুষ, অটো, ভ্যান ও মোটরসাইকেল বাস ট্রাক অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে। মৃত গাছগুলো হঠাৎ ভেঙে পড়লে বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটতে পারে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আশরাফুল আলম বলেন, গাছ দুটি আর জীবিত নেই। এদের মূল শুকিয়ে গেছে। এখন এগুলো পরিবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। শিশু সংগঠক সোহেল সাশ্রু বলেন, কয়েক বছর আগে এরকম মরা শুকনো গাছের ডাল পড়ে ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক সড়কের গাজিরটেক এলাকায় এক মাইক্রোবাসের উপড় পড়লে ঘটনাস্থলে ৩ জনের প্রাণহানি ঘটে। এ ছাড়া মিরারচর এলাকায় শুকনো গাছের ডাল ভেঙে সিএনজিচালিত অটোরিকশার ওপর পড়লে ওই সিএনজিচালিত অটোরিকশায় থাকা চালকসহ ৬ জন যাত্রী নিহত হয়। এই গাছসহ রাস্তার পাশে যতধরণের মৃত গাছ আছে সবগুলো অপসারণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। এগুলো কেটে নতুন করে আবারও গাছ রোপণ করলে পরিবেশের ভারসাম্যতা রক্ষা পাবে।
বিষয়টি নিয়ে পরিবেশবিদ মো. ওসিম উদ্দিন ভূঞা বলেন, মৃত গাছ দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকলে তা পরিবেশগত ভারসাম্য তো নষ্ট করেই, বরং মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়ায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারাসিদ বিন এনাম বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। সংশ্লিষ্ট বন বিভাগ ও বিদ্যুৎ বিভাগকে জানানো হয়েছে। দ্রুত ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো অপসারণে পদক্ষেপ নেয়া হবে।