গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) : ঝুঁকিপূর্ণ নলেয়া স্লুইসগেট -সংবাদ
গোবিন্দগঞ্জের নাকাই-তালুককানুপুর সীমানায় স্থাপিত শত বছরের পুরানা নলেয়া নদীর ওপর নির্মিত নলেয়া স্লুইসগেট সংস্কার অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ও ভেঙে পরার উপক্রম হয়েছে।
গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে গোবিন্দগঞ্জের তালুককানুপুর ও নাকাই ইউনিয়নের সীমানায় সুন্দইল নামক স্থানে প্রায় একশ বছর আগে তৎকালীন সরকার এই স্লুইস গেট নির্মাণ করে
পানির চাপ সামলাতে যে কোন সময় স্লইজগেটটি ভেঙে পরে প্রাণহানির মত দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। এলাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী সাদুল্লাপুর ও পলাশবাড়ী উপজেলা হয়ে প্রায় একশ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা হয়ে নলেয়া নদী বড়দহ এলাকায় করতোয়া নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে গোবিন্দগঞ্জের তালুককানুপুর ও নাকাই ইউনিয়নের সীমানায় সুন্দইল নামক স্থানে প্রায় একশ বছর আগে ততকালীণ সরকার এই স্লুইস গেট নির্মাণ করে। বর্তমানে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড স্লুইস গেটটি তদারকির দাফিত্বে রয়েছে। আগে গেটটি বর্ষার সময় পনি নিষ্কাশন ও খরার সময় পানি ধারণ করা হত। এ কারণে গোবিন্দগঞ্জ, সাদুল্লাপুর, পলাশবাড়ী উপজেলার বিস্তৃর্ণ এলাকার ফসলি জমির কৃষকরা চাষাবাদে সেচ কাজ সহ অন্যান্য সুবিধা ভোগ করে আসছিল। কিন্তু এর উজান দিকে পলি পড়ায় নদীর নাব্যতার কারণে গভীরতা না থাকায় পানি ধারণ ক্ষমতা কার্যকর না থাকায় সেচ কাজের জন্য আর পানি ধারণ করতে পারে না। যে কারণে এর পানিতে সেচ কাজ বন্ধ হয়েছে অনেক আগে। এখন কেবল মাত্র বর্ষাকালে উজানের পানি নিষ্কাশন হয়। আর নাকাই ও তালুককানুপুর ইউনিয়নের মানুষ ছাড়াও অন্যান্য এলাকার মানুষ এর উপর দিয়ে অটোভ্যান, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন হালকা যানবানে চলাচল করে। তাও আবার দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার ও মেরামত না হওয়ায় স্লুইস গেটটির বিভিন্ন স্থানে বিপদজ্জনক ফাটল ধরেছে। কোনো কোনো স্থান থেকে এর অংশ ভেঙে পরায় ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে পরেছে। যেকোনো সময় ভেঙে পরে ঘটে যেতে বড় কোন দুর্ঘটনা। গণমাধ্যমকর্মী আব্দুল হান্নান বলেন এলাকাবাসী স্বার্থে বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করেছি।
নাকাই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ওয়াহেদুন ন্নবী বলেন বিভিন্ন সময় এলাকাবাসীর সুবিধার জন্য এবং যে কোন দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে স্লইস গেটটির স্থানে নতুন স্লুইস গেট অথবা যানবাহন চলাচল উপযোগি ব্রিজ নির্মাণের জন্য দীর্ঘ দিন ধরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু এখনও কোনো সারা পাওয়া যায়নি।
গাইবান্ধার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা আছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের একজন কর্মকর্তা ইতোমধ্যেই সরেজমিনে দেখে এসেছে। এর পশ্চিমপ্রান্তে যে ভাঙন দেখা দিয়েছে তা বালির বস্তা ফেলে ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অন্যান্য বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) : ঝুঁকিপূর্ণ নলেয়া স্লুইসগেট -সংবাদ
বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫
গোবিন্দগঞ্জের নাকাই-তালুককানুপুর সীমানায় স্থাপিত শত বছরের পুরানা নলেয়া নদীর ওপর নির্মিত নলেয়া স্লুইসগেট সংস্কার অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ও ভেঙে পরার উপক্রম হয়েছে।
গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে গোবিন্দগঞ্জের তালুককানুপুর ও নাকাই ইউনিয়নের সীমানায় সুন্দইল নামক স্থানে প্রায় একশ বছর আগে তৎকালীন সরকার এই স্লুইস গেট নির্মাণ করে
পানির চাপ সামলাতে যে কোন সময় স্লইজগেটটি ভেঙে পরে প্রাণহানির মত দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। এলাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী সাদুল্লাপুর ও পলাশবাড়ী উপজেলা হয়ে প্রায় একশ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা হয়ে নলেয়া নদী বড়দহ এলাকায় করতোয়া নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে গোবিন্দগঞ্জের তালুককানুপুর ও নাকাই ইউনিয়নের সীমানায় সুন্দইল নামক স্থানে প্রায় একশ বছর আগে ততকালীণ সরকার এই স্লুইস গেট নির্মাণ করে। বর্তমানে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড স্লুইস গেটটি তদারকির দাফিত্বে রয়েছে। আগে গেটটি বর্ষার সময় পনি নিষ্কাশন ও খরার সময় পানি ধারণ করা হত। এ কারণে গোবিন্দগঞ্জ, সাদুল্লাপুর, পলাশবাড়ী উপজেলার বিস্তৃর্ণ এলাকার ফসলি জমির কৃষকরা চাষাবাদে সেচ কাজ সহ অন্যান্য সুবিধা ভোগ করে আসছিল। কিন্তু এর উজান দিকে পলি পড়ায় নদীর নাব্যতার কারণে গভীরতা না থাকায় পানি ধারণ ক্ষমতা কার্যকর না থাকায় সেচ কাজের জন্য আর পানি ধারণ করতে পারে না। যে কারণে এর পানিতে সেচ কাজ বন্ধ হয়েছে অনেক আগে। এখন কেবল মাত্র বর্ষাকালে উজানের পানি নিষ্কাশন হয়। আর নাকাই ও তালুককানুপুর ইউনিয়নের মানুষ ছাড়াও অন্যান্য এলাকার মানুষ এর উপর দিয়ে অটোভ্যান, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন হালকা যানবানে চলাচল করে। তাও আবার দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার ও মেরামত না হওয়ায় স্লুইস গেটটির বিভিন্ন স্থানে বিপদজ্জনক ফাটল ধরেছে। কোনো কোনো স্থান থেকে এর অংশ ভেঙে পরায় ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে পরেছে। যেকোনো সময় ভেঙে পরে ঘটে যেতে বড় কোন দুর্ঘটনা। গণমাধ্যমকর্মী আব্দুল হান্নান বলেন এলাকাবাসী স্বার্থে বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করেছি।
নাকাই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ওয়াহেদুন ন্নবী বলেন বিভিন্ন সময় এলাকাবাসীর সুবিধার জন্য এবং যে কোন দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে স্লইস গেটটির স্থানে নতুন স্লুইস গেট অথবা যানবাহন চলাচল উপযোগি ব্রিজ নির্মাণের জন্য দীর্ঘ দিন ধরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু এখনও কোনো সারা পাওয়া যায়নি।
গাইবান্ধার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা আছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের একজন কর্মকর্তা ইতোমধ্যেই সরেজমিনে দেখে এসেছে। এর পশ্চিমপ্রান্তে যে ভাঙন দেখা দিয়েছে তা বালির বস্তা ফেলে ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অন্যান্য বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।