ডুমুরিয়া (খুলনা) : কাঁঠালতলা-চুকনগর আশ্রায়ন অভিমুখে ১৫ কিলোমিটার সৃজিত বনায়ন -সংবাদ
ডুমুরিয়ায় দৃশ্যমান হচ্ছে কাঁঠালতলা-চুকনগর আশ্রায়ন অভিমুখে নদীর তীরবর্তী ১৫ কিলোমিটার সৃজিত বনায়ন। এ বনায়নের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অনান্য ভূমিকা থাকবে এমনটি আশা স্থানীয়দের। আলাপকালে পরিবেশ নিয়ে কাজ করা কয়েকজনও বলেছেন, সবুজ এ বনায়নে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবে।
উপজেলা বনবিভাগ অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে উপজেলার বুড়িভদ্রা নদী খননের মাটি দ্বারা নদী তীরবর্তী গ্রামরক্ষা বাঁধের ওপর দিয়ে ১৫ কিলোমিটার সৃজিত বনায়ন করা হয়। সামাজিক বনায়নের আওতায় প্রতি কিলোমিটারে এক হাজার করে পনের হাজার আম, জাম, কাঁঠাল, মেহগনি, অর্জুন, জারুল, বাবলা, খয়ের, আকাশমণিসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ, বনজ ও ঔষধী গাছ লাগানো হয়। এলাকার ভূমিহীন ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সমন্বয়ে ৭১ জন উপকারভোগী নির্বাচন করে প্রতি ৬ ফুট অন্তর অন্তর এ চারাগুলো রোপণ করা হয় এবং ঝড়ে যাতে সহজে ভেঙে না পড়ে সেজন্য প্রতিটি চারার গোড়ায় খুঁটি স্থাপন করা হয়েছে। সঠিক পরিচর্যা ও তদারকিতে অতি অল্প সময়ে গাছগুলো বেড়ে এখন অনেকটা দৃশ্যমান বনায়নে রূপ নিয়েছে। দৃষ্টিনন্দন এ বনায়নটি খুলনা সাতক্ষীরা মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী হওয়ায় অনেক ভ্রমণপিপাসু ও বৃক্ষপ্রেমীরা ভিড় জমাবে বলে এমনটাই প্রত্যাশা করছেন এলাকাবাসী।
তারা বলেন, বনায়নে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য ও সৌন্দর্য রক্ষা পাবে তেমনি টেকসই গ্রামরক্ষা বাঁধেও সহায়তা করবে। এ বিষয়ে কথা হয় সামাজিক বনায়ন সমিতির সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান মালিসহ একাধিক উপকারভোগীর সঙ্গে।
তারা একই সুরে সুর মিলিয়ে বলেন, উপজেলা বনবিভাগের কর্মকর্তাসহ সব কর্মচারীদের সঠিক তদারকি ও দিক নির্দেশনায় গাছগুলো দ্রুত বেড়ে উঠছে। বাগানটি এখন অনেক দৃশ্যমান। স্যারেরা আমাদের প্রতিনিয়ত সার্বিক সহযোগিতা করে আসছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী খান বলেন, কাঁঠালতলা-চুকনগর আশ্রায়ন অভিমুখে নদীর তীরবর্তী ১৫ কিলোমিটার সৃজিত বনায়ন অনেক প্রতিকূলতা অতিক্রম করে এ পর্যন্ত নিয়ে আসছি। এখন বাগানটি অনেক দৃশ্যমান। আশা করি ডুমুরিয়ায় এটি একটি মডেল বনায়ন হিসেবে পরিচিতি পাবে।
ডুমুরিয়া (খুলনা) : কাঁঠালতলা-চুকনগর আশ্রায়ন অভিমুখে ১৫ কিলোমিটার সৃজিত বনায়ন -সংবাদ
বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫
ডুমুরিয়ায় দৃশ্যমান হচ্ছে কাঁঠালতলা-চুকনগর আশ্রায়ন অভিমুখে নদীর তীরবর্তী ১৫ কিলোমিটার সৃজিত বনায়ন। এ বনায়নের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অনান্য ভূমিকা থাকবে এমনটি আশা স্থানীয়দের। আলাপকালে পরিবেশ নিয়ে কাজ করা কয়েকজনও বলেছেন, সবুজ এ বনায়নে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবে।
উপজেলা বনবিভাগ অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে উপজেলার বুড়িভদ্রা নদী খননের মাটি দ্বারা নদী তীরবর্তী গ্রামরক্ষা বাঁধের ওপর দিয়ে ১৫ কিলোমিটার সৃজিত বনায়ন করা হয়। সামাজিক বনায়নের আওতায় প্রতি কিলোমিটারে এক হাজার করে পনের হাজার আম, জাম, কাঁঠাল, মেহগনি, অর্জুন, জারুল, বাবলা, খয়ের, আকাশমণিসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ, বনজ ও ঔষধী গাছ লাগানো হয়। এলাকার ভূমিহীন ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সমন্বয়ে ৭১ জন উপকারভোগী নির্বাচন করে প্রতি ৬ ফুট অন্তর অন্তর এ চারাগুলো রোপণ করা হয় এবং ঝড়ে যাতে সহজে ভেঙে না পড়ে সেজন্য প্রতিটি চারার গোড়ায় খুঁটি স্থাপন করা হয়েছে। সঠিক পরিচর্যা ও তদারকিতে অতি অল্প সময়ে গাছগুলো বেড়ে এখন অনেকটা দৃশ্যমান বনায়নে রূপ নিয়েছে। দৃষ্টিনন্দন এ বনায়নটি খুলনা সাতক্ষীরা মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী হওয়ায় অনেক ভ্রমণপিপাসু ও বৃক্ষপ্রেমীরা ভিড় জমাবে বলে এমনটাই প্রত্যাশা করছেন এলাকাবাসী।
তারা বলেন, বনায়নে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য ও সৌন্দর্য রক্ষা পাবে তেমনি টেকসই গ্রামরক্ষা বাঁধেও সহায়তা করবে। এ বিষয়ে কথা হয় সামাজিক বনায়ন সমিতির সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান মালিসহ একাধিক উপকারভোগীর সঙ্গে।
তারা একই সুরে সুর মিলিয়ে বলেন, উপজেলা বনবিভাগের কর্মকর্তাসহ সব কর্মচারীদের সঠিক তদারকি ও দিক নির্দেশনায় গাছগুলো দ্রুত বেড়ে উঠছে। বাগানটি এখন অনেক দৃশ্যমান। স্যারেরা আমাদের প্রতিনিয়ত সার্বিক সহযোগিতা করে আসছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী খান বলেন, কাঁঠালতলা-চুকনগর আশ্রায়ন অভিমুখে নদীর তীরবর্তী ১৫ কিলোমিটার সৃজিত বনায়ন অনেক প্রতিকূলতা অতিক্রম করে এ পর্যন্ত নিয়ে আসছি। এখন বাগানটি অনেক দৃশ্যমান। আশা করি ডুমুরিয়ায় এটি একটি মডেল বনায়ন হিসেবে পরিচিতি পাবে।