ঘুষ লেনদেনের দরকষাকষির রেকর্ড ফাঁস
কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা ইটনার উজান শিমূল গৌরনদীর টুক জলমহালের ইজারা নিয়ে সাবলিজ প্রদান এবং সময়মত ইজারার টাকা জমা না দেয়া স্বত্ত্বেও বাতিল করা হয়নি ইজারা। লিখিত অভিযোগের পরও ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। বিষয়টি নিয়ে ঘুষ লেনদেনের অডিও রেকর্ডও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়েছে। এদিকে সমিতির বঞ্চিত সদস্যরা জলমহাল পুনর্দখলে ঘোষণা দিয়েছেন। এ নিয়ে বঞ্চিত সদস্য ও সাব লিজগ্রহীতাদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জেলার হাওর উপজেলা ইটনার উজান শিমূল গৌরনদীর টুক জলমহালটি বাংলা ১৪৩১-১৪৩৬ সন পর্যন্ত ছয় বছরের জন্য ইজারা দেয়া হয় বর্শিকুড়া গ্রামের সানমুন মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিকে। ইজারা নেয়ার পর সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুমন বর্মণ সমিতির সভাপতিসহ অন্য কাউকে না জানিয়ে আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতাকে সাবলিজ প্রদান করেন। এমনকি প্রতি বছরের ১৫ চৈত্রের মধ্যে পরবর্তী বছরের ইজারার টাকা জমা দেওয়ার বিধান থাকলেও মানা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের এক কর্মচারীর সঙ্গে ঘুষ লেনদেন সংক্রান্ত দরকষাকষির একটি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলেও রহস্যজনক কারণে বাতিল করা হয়নি ইজারা।
সমিতির সভাপতি জুলহাস মিয়া জানান, জলমহালটি ইজারা নেয়ার পরই কাউকে না জানিয়ে সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুমন বর্মণ আওয়ামী লীগের কতিপয় প্রভাবশালী নেতার কাছে তিনশত টাকার স্ট্যাম্পের মাধ্যমে সাবলিজ প্রদান করেন-যা জলমহাল নীতিমালার পরিপন্থি। এমনকি ইজারার পূর্ববর্তী বছরের ১ কোটি ৬৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা জমা দেওয়ার কথা থাকলেও সে টাকা জমা হয়নি। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে তিনি জানান। ইজারা নিয়ে জলমহাল ভোগ করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে প্রতি বছর ১৫ চৈত্রের মধ্যে জলমহালের ইজারার পরবর্তী বছরের টাকা জমা দেয়ার বিধান থাকলেও নির্ধারিত সময়ে জমা হয়নি ইজারার টাকা। কিন্তু রহস্যজনক কারণে ইজারা বাতিল করা হয়নি।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুমন বর্মণ সাবলিজ দেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, সাবলিজ প্রাপ্ত ইয়াসিন ইজারার টাকা জমা দেওয়ার কথা। কিন্তু কী কারণে টাকা জমা দেয়নি, সেটা তার জানা নেই। তবে সাবলিজ নেয়ার কথা অস্বীকার করে ইয়াসিন বলেন, তিনি শুধু ফিসিংয়ের কাজটি করে থাকেন। ১৫ চৈত্রের মধ্যে ইজারার টাকা জমা না দেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিষয়টি ডিসি সাহেব বুঝবেন বলে তিনি জানান।
বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের রাজস্ব শাখার সালাহ উদ্দিন নামে এক কর্মচারীর সঙ্গে জলমহাল সংশ্লিষ্ট একজনের ঘুষ লেনদেনের দরকষাকষির একটি অডিও রেকর্ড ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অডিও রেকর্ডের কণ্ঠটি নিজের নয় বলে দাবি করেন সালাহউদ্দিন। কণ্ঠটি নিজের না হলে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সম্পূর্ণ বিষয়টিই এডিসি রেভিনিউ স্যার জানেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান এ সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
ঘুষ লেনদেনের দরকষাকষির রেকর্ড ফাঁস
বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫
কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা ইটনার উজান শিমূল গৌরনদীর টুক জলমহালের ইজারা নিয়ে সাবলিজ প্রদান এবং সময়মত ইজারার টাকা জমা না দেয়া স্বত্ত্বেও বাতিল করা হয়নি ইজারা। লিখিত অভিযোগের পরও ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। বিষয়টি নিয়ে ঘুষ লেনদেনের অডিও রেকর্ডও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়েছে। এদিকে সমিতির বঞ্চিত সদস্যরা জলমহাল পুনর্দখলে ঘোষণা দিয়েছেন। এ নিয়ে বঞ্চিত সদস্য ও সাব লিজগ্রহীতাদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জেলার হাওর উপজেলা ইটনার উজান শিমূল গৌরনদীর টুক জলমহালটি বাংলা ১৪৩১-১৪৩৬ সন পর্যন্ত ছয় বছরের জন্য ইজারা দেয়া হয় বর্শিকুড়া গ্রামের সানমুন মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিকে। ইজারা নেয়ার পর সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুমন বর্মণ সমিতির সভাপতিসহ অন্য কাউকে না জানিয়ে আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতাকে সাবলিজ প্রদান করেন। এমনকি প্রতি বছরের ১৫ চৈত্রের মধ্যে পরবর্তী বছরের ইজারার টাকা জমা দেওয়ার বিধান থাকলেও মানা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের এক কর্মচারীর সঙ্গে ঘুষ লেনদেন সংক্রান্ত দরকষাকষির একটি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলেও রহস্যজনক কারণে বাতিল করা হয়নি ইজারা।
সমিতির সভাপতি জুলহাস মিয়া জানান, জলমহালটি ইজারা নেয়ার পরই কাউকে না জানিয়ে সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুমন বর্মণ আওয়ামী লীগের কতিপয় প্রভাবশালী নেতার কাছে তিনশত টাকার স্ট্যাম্পের মাধ্যমে সাবলিজ প্রদান করেন-যা জলমহাল নীতিমালার পরিপন্থি। এমনকি ইজারার পূর্ববর্তী বছরের ১ কোটি ৬৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা জমা দেওয়ার কথা থাকলেও সে টাকা জমা হয়নি। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে তিনি জানান। ইজারা নিয়ে জলমহাল ভোগ করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে প্রতি বছর ১৫ চৈত্রের মধ্যে জলমহালের ইজারার পরবর্তী বছরের টাকা জমা দেয়ার বিধান থাকলেও নির্ধারিত সময়ে জমা হয়নি ইজারার টাকা। কিন্তু রহস্যজনক কারণে ইজারা বাতিল করা হয়নি।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুমন বর্মণ সাবলিজ দেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, সাবলিজ প্রাপ্ত ইয়াসিন ইজারার টাকা জমা দেওয়ার কথা। কিন্তু কী কারণে টাকা জমা দেয়নি, সেটা তার জানা নেই। তবে সাবলিজ নেয়ার কথা অস্বীকার করে ইয়াসিন বলেন, তিনি শুধু ফিসিংয়ের কাজটি করে থাকেন। ১৫ চৈত্রের মধ্যে ইজারার টাকা জমা না দেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিষয়টি ডিসি সাহেব বুঝবেন বলে তিনি জানান।
বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের রাজস্ব শাখার সালাহ উদ্দিন নামে এক কর্মচারীর সঙ্গে জলমহাল সংশ্লিষ্ট একজনের ঘুষ লেনদেনের দরকষাকষির একটি অডিও রেকর্ড ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অডিও রেকর্ডের কণ্ঠটি নিজের নয় বলে দাবি করেন সালাহউদ্দিন। কণ্ঠটি নিজের না হলে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সম্পূর্ণ বিষয়টিই এডিসি রেভিনিউ স্যার জানেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান এ সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানান।