হুমকিতে শহররক্ষা বাঁধ
চকরিয়া (কক্সবাজার) : মাতামুহুরী নদীর ভাঙনে বিলীন বসতবাড়ি -সংবাদ
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বুকচিড়ে প্রবাহিত খরগ্রোতা মাতামুহুরী নদীর ভাঙনে আবারও চরম হুমকির মুখে পড়েছে নদীর তীরবর্তী জনপদের একাধিক গ্রাম। বিশেষ করে চলতি বর্ষা মৌসুমে অতিবৃষ্টির কারণে নদীতে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের তীব্রতায় ভাঙনের তাণ্ডব শুরু হয়েছে বিভিন্ন এলাকাজুড়ে। এমন পরিস্থিতিতে নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বেসুমার ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় উপাসনালয়, কবরস্থানসহ অনেক স্থাপনা।
নদীতে পাহাড়ি ঢলের তীব্রতায় জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে চকরিয়া শহররক্ষা বাঁধ এবং পাশের এলাকা সোসাইটি মজিদিয়া মাদ্রাসা পয়েন্ট, মামা-ভাগিনার মাজার, নামার চিরিঙ্গা, বাঁশঘাট ও স্টেশনপাড়া এলাকার অনেক পরিবারের বসতবাড়ি নদীভাঙনের কবলে পড়েছে। ইতোমধ্যে নদীতে তলিয়ে গেছে চিরিঙ্গা মাতামুহুরী ব্রিজের পূর্ব অংশে বাধাখাল লাগোয়া অন্তত বারো পরিবারের ঘরবাড়ি। এ ছাড়া নদীতে যেকোনো সময় বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে ওই গ্রামের আরও একাধিক বসতবাড়ি।
এই অবস্থায় ঘরবাড়ি বাড়িভিটা হারিয়ে ওই এলাকার বিপন্ন পরিবারগুলোর জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বর্তমানে নদীর তীরে বসবাসরত পরিবারগুলোর মাঝে ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে।
চকরিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদ্য সাবেক কাউন্সিলর মুজিবুল হক মুজিব বলেন, ইতোমধ্যে নদীভাঙনের কবলে পড়ে চকরিয়া মাতামুহুরি ব্রিজসংলগ্ন দক্ষিণ সাইডের ১০-১২টি বাড়ি-ঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে ৫-৬টি বাড়ি হুমকিতে রয়েছে।
একইভাবে চিরিঙ্গা মাতামুহুরী ব্রিজের পুর্বপাশে বাধাখাল লাগোয়া বেশকিছু বসতঘর নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এসব পরিবারের বাড়িগুলো অর্ধেক ভিটায়, আর অর্ধেক নদীতে ভেঙে পড়েছে। পাশের হাজিয়ান বিলের বিপুল পরিমাণ কৃষিজমি নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নদীর তীরে ফসলের জমিতে একাধিক ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। ক্রমান্বয়ে হাজিয়ান বিলের কৃষি জমির একটি বড় অংশ নদীতে তলিয়ে যাবে এমন উপক্রম দেখা দিয়েছে।
এ অবস্থায় তিনি নদীভাঙনের কবল থেকে এলাকার গরিব পরিবারের বাড়িভিটা ও কৃষিজমি রক্ষার্থে জরুরি ভিত্তিতে সেখানে বালুর বস্তা ডাম্পিং কিংবা সিসি ব্লক বসানোর জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ প্রশাসনের কাছে জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সরেজমিনে চকরিয়া উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে গিয়ে দেখা গেছে, মাতামুহুরী নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনে তীরবর্তী গ্রামের বেশিরভাগ পরিবারের ঘরবাড়ি, ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তার মধ্যে বিএমচর ইউনিয়নের কন্যারকুম এলাকার অধিক ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টে ইতোমধ্যে বালু সিমেন্ট মিশ্রিত বস্তা ডাম্পিং কাজ শুরু করেছেন।
বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ ইসমাইল মানিক বলেন, কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড বর্তমানে বিএমচর ইউনিয়নের কন্যারকুম এলাকায় নদীভাঙন টেকাতে কাজ শুরু করেছে। তবে আরও কয়েকটি পয়েন্টে নদীভাঙন জিইয়ে রয়েছে। আমি এসব পয়েন্টেও সংস্কার কাজ করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে সহযোগিতা চেয়েছি।
কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার বলেন, মাতামুহুরী নদী কোনাখালী ইউনিয়নের বিকেল একটি এলাকাকে ঘিরে রেখেছে। বিশেষ করে ইউনিয়নের বাংলাবাজার, কাইজ্জারদ্বিয়া ও পুরুত্যাখালী অংশে প্রতি বছর বর্ষাকালে নদী ভাঙ্গন নিয়মে পরিণত হয়েছে। অবশ্য গত দুই মাস ধরে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনাখালী ইউনিয়নের বেশি ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্ট বাংলাবাজার এবং কাইজ্জারদ্বিয়া এলাকায় ভাঙন তাণ্ডব টেকাতে বালু সিমেন্ট মিশ্রিত বস্তা ডাম্পিং কাজ করে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় কিছুটা হলেও কোনাখালীবাসি নদীভাঙনের কবল থেকে নিস্তার পেতে যাচ্ছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে অবিরাম বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল নামলে নদীতে স্রোতের গতি বেড়ে যায়। তাতে করে নদীতে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করে। এমন প্রেক্ষাপটে মাতামুহুরী নদী ভাঙন রোধকল্পে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ এবং বালুর বস্তা ডাম্পিং এর পরিবর্তে সিসি ব্লক বসানোর দাবি জানিয়েছেন নদীর তীরের বাসিন্দা চকরিয়া উপজেলা পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মাহামুদুর রহমান মাহমুদ। তিনি নদীভাঙন প্রতিরোধে সরকারি টাকার সাশ্রয় করতে পাউবোর বস্তা ডাম্পিং প্রকল্প বাতিলেরও দাবি তুলেছেন।
মাতামুহুরী নদীর ভাঙন রোধকল্পে পাউবোর ভূমিকা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের চকরিয়া উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডি) মো. জামাল মোরশেদ বলেন, পাহাড়ি ঢলের তীব্রতায় চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাতামুহুরী নদীর তীরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রতি বছর অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে জরুরি ভিত্তিতে নদীভাঙন রোধকল্পে সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, একইভাবে এ বছরও চকরিয়ার বিভিন্ন এলাকায় বালু সিমেন্ট মিশ্রিত বস্তা ডাম্পিং কাজ চলমান রয়েছে। তবে নতুন করে ভাঙন তৈরি হওয়া চকরিয়া পৌরশহর রক্ষা বাঁধ এবং আশপাশ এলাকায় যাতে মানুষের বাড়িঘরগুলো রক্ষা করা যায়, সেইজন্য কক্সবাজার পাউবো ইতোমধ্যে ঢাকায় চাহিদাপত্র পাঠিয়েছে। এ বিষয়ে অফিস আদেশ পাওয়া গেলে সহসা কাজ শুরু করা হবে।
অন্যদিকে চিরিঙ্গা মাতামুহুরী ব্রিজের পূর্বপাশে বাধাখাল লাগোয়া গ্রামের বাড়িঘর ও হাজিয়ান বিলের কৃষিজমি রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বান্দরবান পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী অরুপ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ওই এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে বালুর বস্তা ডাম্পিং কিংবা সিসি ব্লক বসানোর জন্য ৬০০ মিটার কাজের বিপরীতে অর্থবরাদ্দ চেয়ে পাউবোর কেন্দ্রীয় দপ্তরে চাহিদাপত্র পাঠিয়েছি। পাশাপাশি ওই কাজের বরাদ্দ নিশ্চিত করতে আমি ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগও অব্যাহত রেখেছি।
তিনি বলেন, চাহিদার বিপরীতে অর্থবরাদ্দের বিষয়টি নিশ্চিত হলেই আমরা ওই এলাকায় কাজ শুরু করব। সেই পর্যন্ত ভুক্তভোগী জনসাধারণকে একটু অপেক্ষা করতে হবে।
হুমকিতে শহররক্ষা বাঁধ
চকরিয়া (কক্সবাজার) : মাতামুহুরী নদীর ভাঙনে বিলীন বসতবাড়ি -সংবাদ
বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বুকচিড়ে প্রবাহিত খরগ্রোতা মাতামুহুরী নদীর ভাঙনে আবারও চরম হুমকির মুখে পড়েছে নদীর তীরবর্তী জনপদের একাধিক গ্রাম। বিশেষ করে চলতি বর্ষা মৌসুমে অতিবৃষ্টির কারণে নদীতে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের তীব্রতায় ভাঙনের তাণ্ডব শুরু হয়েছে বিভিন্ন এলাকাজুড়ে। এমন পরিস্থিতিতে নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বেসুমার ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় উপাসনালয়, কবরস্থানসহ অনেক স্থাপনা।
নদীতে পাহাড়ি ঢলের তীব্রতায় জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে চকরিয়া শহররক্ষা বাঁধ এবং পাশের এলাকা সোসাইটি মজিদিয়া মাদ্রাসা পয়েন্ট, মামা-ভাগিনার মাজার, নামার চিরিঙ্গা, বাঁশঘাট ও স্টেশনপাড়া এলাকার অনেক পরিবারের বসতবাড়ি নদীভাঙনের কবলে পড়েছে। ইতোমধ্যে নদীতে তলিয়ে গেছে চিরিঙ্গা মাতামুহুরী ব্রিজের পূর্ব অংশে বাধাখাল লাগোয়া অন্তত বারো পরিবারের ঘরবাড়ি। এ ছাড়া নদীতে যেকোনো সময় বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে ওই গ্রামের আরও একাধিক বসতবাড়ি।
এই অবস্থায় ঘরবাড়ি বাড়িভিটা হারিয়ে ওই এলাকার বিপন্ন পরিবারগুলোর জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বর্তমানে নদীর তীরে বসবাসরত পরিবারগুলোর মাঝে ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে।
চকরিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদ্য সাবেক কাউন্সিলর মুজিবুল হক মুজিব বলেন, ইতোমধ্যে নদীভাঙনের কবলে পড়ে চকরিয়া মাতামুহুরি ব্রিজসংলগ্ন দক্ষিণ সাইডের ১০-১২টি বাড়ি-ঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে ৫-৬টি বাড়ি হুমকিতে রয়েছে।
একইভাবে চিরিঙ্গা মাতামুহুরী ব্রিজের পুর্বপাশে বাধাখাল লাগোয়া বেশকিছু বসতঘর নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এসব পরিবারের বাড়িগুলো অর্ধেক ভিটায়, আর অর্ধেক নদীতে ভেঙে পড়েছে। পাশের হাজিয়ান বিলের বিপুল পরিমাণ কৃষিজমি নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নদীর তীরে ফসলের জমিতে একাধিক ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। ক্রমান্বয়ে হাজিয়ান বিলের কৃষি জমির একটি বড় অংশ নদীতে তলিয়ে যাবে এমন উপক্রম দেখা দিয়েছে।
এ অবস্থায় তিনি নদীভাঙনের কবল থেকে এলাকার গরিব পরিবারের বাড়িভিটা ও কৃষিজমি রক্ষার্থে জরুরি ভিত্তিতে সেখানে বালুর বস্তা ডাম্পিং কিংবা সিসি ব্লক বসানোর জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ প্রশাসনের কাছে জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সরেজমিনে চকরিয়া উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে গিয়ে দেখা গেছে, মাতামুহুরী নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনে তীরবর্তী গ্রামের বেশিরভাগ পরিবারের ঘরবাড়ি, ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তার মধ্যে বিএমচর ইউনিয়নের কন্যারকুম এলাকার অধিক ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টে ইতোমধ্যে বালু সিমেন্ট মিশ্রিত বস্তা ডাম্পিং কাজ শুরু করেছেন।
বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ ইসমাইল মানিক বলেন, কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড বর্তমানে বিএমচর ইউনিয়নের কন্যারকুম এলাকায় নদীভাঙন টেকাতে কাজ শুরু করেছে। তবে আরও কয়েকটি পয়েন্টে নদীভাঙন জিইয়ে রয়েছে। আমি এসব পয়েন্টেও সংস্কার কাজ করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে সহযোগিতা চেয়েছি।
কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার বলেন, মাতামুহুরী নদী কোনাখালী ইউনিয়নের বিকেল একটি এলাকাকে ঘিরে রেখেছে। বিশেষ করে ইউনিয়নের বাংলাবাজার, কাইজ্জারদ্বিয়া ও পুরুত্যাখালী অংশে প্রতি বছর বর্ষাকালে নদী ভাঙ্গন নিয়মে পরিণত হয়েছে। অবশ্য গত দুই মাস ধরে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনাখালী ইউনিয়নের বেশি ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্ট বাংলাবাজার এবং কাইজ্জারদ্বিয়া এলাকায় ভাঙন তাণ্ডব টেকাতে বালু সিমেন্ট মিশ্রিত বস্তা ডাম্পিং কাজ করে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় কিছুটা হলেও কোনাখালীবাসি নদীভাঙনের কবল থেকে নিস্তার পেতে যাচ্ছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে অবিরাম বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল নামলে নদীতে স্রোতের গতি বেড়ে যায়। তাতে করে নদীতে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করে। এমন প্রেক্ষাপটে মাতামুহুরী নদী ভাঙন রোধকল্পে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ এবং বালুর বস্তা ডাম্পিং এর পরিবর্তে সিসি ব্লক বসানোর দাবি জানিয়েছেন নদীর তীরের বাসিন্দা চকরিয়া উপজেলা পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মাহামুদুর রহমান মাহমুদ। তিনি নদীভাঙন প্রতিরোধে সরকারি টাকার সাশ্রয় করতে পাউবোর বস্তা ডাম্পিং প্রকল্প বাতিলেরও দাবি তুলেছেন।
মাতামুহুরী নদীর ভাঙন রোধকল্পে পাউবোর ভূমিকা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের চকরিয়া উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডি) মো. জামাল মোরশেদ বলেন, পাহাড়ি ঢলের তীব্রতায় চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাতামুহুরী নদীর তীরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রতি বছর অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে জরুরি ভিত্তিতে নদীভাঙন রোধকল্পে সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, একইভাবে এ বছরও চকরিয়ার বিভিন্ন এলাকায় বালু সিমেন্ট মিশ্রিত বস্তা ডাম্পিং কাজ চলমান রয়েছে। তবে নতুন করে ভাঙন তৈরি হওয়া চকরিয়া পৌরশহর রক্ষা বাঁধ এবং আশপাশ এলাকায় যাতে মানুষের বাড়িঘরগুলো রক্ষা করা যায়, সেইজন্য কক্সবাজার পাউবো ইতোমধ্যে ঢাকায় চাহিদাপত্র পাঠিয়েছে। এ বিষয়ে অফিস আদেশ পাওয়া গেলে সহসা কাজ শুরু করা হবে।
অন্যদিকে চিরিঙ্গা মাতামুহুরী ব্রিজের পূর্বপাশে বাধাখাল লাগোয়া গ্রামের বাড়িঘর ও হাজিয়ান বিলের কৃষিজমি রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বান্দরবান পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী অরুপ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ওই এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে বালুর বস্তা ডাম্পিং কিংবা সিসি ব্লক বসানোর জন্য ৬০০ মিটার কাজের বিপরীতে অর্থবরাদ্দ চেয়ে পাউবোর কেন্দ্রীয় দপ্তরে চাহিদাপত্র পাঠিয়েছি। পাশাপাশি ওই কাজের বরাদ্দ নিশ্চিত করতে আমি ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগও অব্যাহত রেখেছি।
তিনি বলেন, চাহিদার বিপরীতে অর্থবরাদ্দের বিষয়টি নিশ্চিত হলেই আমরা ওই এলাকায় কাজ শুরু করব। সেই পর্যন্ত ভুক্তভোগী জনসাধারণকে একটু অপেক্ষা করতে হবে।