রাজধানীর গুলশানে সাবেক এমপির বাসায় চাঁদাবাজির মামলায় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপু ওরফে কাজী গৌরব অপু আদালতে ‘দোষ স্বীকার করে’ জবানবন্দী দিয়েছেন। চার দিনের রিমান্ড শেষে বুধবার,(৬ আগস্ট ২০২৫) তাকে আদালতে হাজির করা হয়। ‘স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিতে চাইলে’ ঢাকার মহানগর হাকিম মো. জামসেদ আলম সেটি রেকর্ড করেন।
এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয় বলে গুলশান থানার আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই মোক্তার হোসেন জানিয়েছেন। চাঁদাবাজির মামলাটিতে অপুর আগে প্রধান আসামি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ ‘স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী’ দেন।
মামলাটিতে রিয়াদ-অপু ছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক মো. ইব্রাহিম হোসেন, সদস্য সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাব এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক আরেকজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ ঘটনার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এ নেতাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া দেশের সব কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ‘সাংগঠনিক নীতিমালা ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার’ অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত ২৬ জুলাই সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফর বাদী হয়ে গুলশান থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১৭ জুলাই সকাল ১০টায় আসামি বৈষম্যবিরোধী নেতা রিয়াদ ও অপু গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে সাবেক এমপি শাম্মী আহম্মেদের বাসায় যান। তখন তারা হুমকি-ধামকি দিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার দাবি করেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আওয়ামী লীগের ‘দোসর’ আখ্যায়িত করে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানোর হুমকি দেন এবং টাকা চেয়ে চাপ দিতে থাকেন তারা।
একপর্যায়ে সিদ্দিক আবু জাফর বাধ্য হয়ে নিজের কাছে থাকা নগদ ৫ লাখ টাকা ও ভাইয়ের কাছে থেকে নিয়ে আরও ৫ লাখ টাকা দেন। এরপর ১৯ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে রিয়াদ ও অপু বাদীর বাসায় প্রবেশ করে তার ফ্ল্যাটের দরজায়
সজোরে ধাক্কা মারেন। বিষয়টি গুলশান থানা পুলিশকে মোবাইল ফোনে অবহিত করলে আসামিরা চলে যায়। গত ২৬ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫টায় আবার রিয়াদের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা বাদীর বাসার সামনে এসে তাকে খুঁজতে থাকেন। বাসার দারোয়ান মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাকে বিষয়টি জানান। তখন আসামিদের দাবি করা বাকি ৪০ লাখ টাকা না দিলে তাকে পুলিশে ধরিয়ে দিবেন বলে হুমকি দিতে থাকেন। পরবর্তীতে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করলে তাৎক্ষণিক গুলশান থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচজনকে হাতেনাতে আটক করে। ওই সময় অপু দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫
রাজধানীর গুলশানে সাবেক এমপির বাসায় চাঁদাবাজির মামলায় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপু ওরফে কাজী গৌরব অপু আদালতে ‘দোষ স্বীকার করে’ জবানবন্দী দিয়েছেন। চার দিনের রিমান্ড শেষে বুধবার,(৬ আগস্ট ২০২৫) তাকে আদালতে হাজির করা হয়। ‘স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিতে চাইলে’ ঢাকার মহানগর হাকিম মো. জামসেদ আলম সেটি রেকর্ড করেন।
এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয় বলে গুলশান থানার আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই মোক্তার হোসেন জানিয়েছেন। চাঁদাবাজির মামলাটিতে অপুর আগে প্রধান আসামি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ ‘স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী’ দেন।
মামলাটিতে রিয়াদ-অপু ছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক মো. ইব্রাহিম হোসেন, সদস্য সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাব এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক আরেকজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ ঘটনার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এ নেতাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া দেশের সব কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ‘সাংগঠনিক নীতিমালা ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার’ অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত ২৬ জুলাই সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফর বাদী হয়ে গুলশান থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১৭ জুলাই সকাল ১০টায় আসামি বৈষম্যবিরোধী নেতা রিয়াদ ও অপু গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে সাবেক এমপি শাম্মী আহম্মেদের বাসায় যান। তখন তারা হুমকি-ধামকি দিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার দাবি করেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আওয়ামী লীগের ‘দোসর’ আখ্যায়িত করে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানোর হুমকি দেন এবং টাকা চেয়ে চাপ দিতে থাকেন তারা।
একপর্যায়ে সিদ্দিক আবু জাফর বাধ্য হয়ে নিজের কাছে থাকা নগদ ৫ লাখ টাকা ও ভাইয়ের কাছে থেকে নিয়ে আরও ৫ লাখ টাকা দেন। এরপর ১৯ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে রিয়াদ ও অপু বাদীর বাসায় প্রবেশ করে তার ফ্ল্যাটের দরজায়
সজোরে ধাক্কা মারেন। বিষয়টি গুলশান থানা পুলিশকে মোবাইল ফোনে অবহিত করলে আসামিরা চলে যায়। গত ২৬ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫টায় আবার রিয়াদের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা বাদীর বাসার সামনে এসে তাকে খুঁজতে থাকেন। বাসার দারোয়ান মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাকে বিষয়টি জানান। তখন আসামিদের দাবি করা বাকি ৪০ লাখ টাকা না দিলে তাকে পুলিশে ধরিয়ে দিবেন বলে হুমকি দিতে থাকেন। পরবর্তীতে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করলে তাৎক্ষণিক গুলশান থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচজনকে হাতেনাতে আটক করে। ওই সময় অপু দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।