alt

সারাদেশ

জলাশয় থেকে হারিয়ে যাচ্ছে অনিন্দ্য পাখি মাছরাঙা

প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা : বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫

চুয়াডাঙ্গা বিভিন্ন নদ-নদী ও জলাশায় থেকে হারিয়ে যাচ্ছে জনপ্রিয় অনিন্দ্য শিকারি পাখি মাছরাঙা। বিভিন্ন কারণে এদের আবাসস্থল ধ্বংস হওয়া এবং খাদ্য সংকট দেখা দেয়ায় এদের সংখ্যা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে।

এক সময় এ জেলার মাঠে-ঘাটে, পুকুরপাড়ে দেখা যেত মাছরাঙার অবাধ বিচরণ। বাঁশ ও ডালের খুঁটিতে ঘাপটি মেরে বসে থাকত মাছ শিকারি করার জন্য। সুযোগ মতো জলে ঝাঁপিয়ে পড়ে শিকার করে থাকে, বন্ধুকের গুলি মিস হলেও মাছরাঙার শিকার মিস হয় না। পরে গাছের ডালে শিকারকে আছড়ে গিলে ফেলার সেই দৃশ্য এখন আর আগের মতো চোখে পড়ে না। নানা কারণে দৃষ্টিনন্দন শিকারি এ পাখির সংখ্যা অনেকটাই হারিয়ে যেতে বসেছে।

মাছরাঙা পাখি খাটো পুচ্ছ, বড় মাথা ও সুচালো ঠোঁটের আঁটোসাঁটো পাখি। এরা পুকুর, বিল ও জলাধারের পাড়ে গর্ত করে বাসা তৈরি করে বসবাস করে। চুয়াডাঙ্গা জেলার গ্রামাঞ্চলে যে প্রজাতির মাছরাঙা বেশি দেখা যায়, যেমন পাতি , বুক সাদা ,পারকা,লাল সবুজ মাছরাঙা।

মাছরাঙার প্রধান খাদ্য মাছ হলেও নানা ধরনের পোকা-মাকড় খায় এরা। প্রজনন মৌসুম শুরু হয় শরৎকালে। তখন ৫-৭টি ডিম দেয় মা পাখি। সময়ের বিবর্তনে পরিবেশ দূষণ, জমিতে কীটনাশকের অতিরিক্ত ব্যবহার ও খাদ্য সংকটের ফলে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে রূপে-গুণে অনন্য এ পাখিও।

প্রকৃতি প্রেমী শিক্ষক সাইদুর রহমান জানান, জলাশায়ে আগে হরহামেশা মাছরাঙার মাছ শিকার দেখতে পেতাম। এখন আর দেখা যায় না মাছ শিকারের দৃশ্য।

এ বিষয়ে কথা হলে ‘ পাখি গবেষক ও চুয়াডাঙ্গা পানকৌড়ি সংগঠনের সভাপতি শিক্ষক হামিদ বখতিয়ার বলেন, মাছরাঙা দিনের দিনে গ্রামাঞ্চল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে, জলাশায়গুলোর ওপরে জাল বিছিয়ে দিচ্ছে মাছচাষীরা যার কারণে মাছরাঙা মাছ শিকার করতে গেলে জালে জড়িয়ে মারা যাচ্ছে। নানাভাবে আমাদের জলজ পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এ ছাড়া প্রাকৃতিক পরিবেশে মাছরাঙার বাসা তৈরির সুযোগ কমে যাওয়ায় এই ধরনের পাখির সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। দামুড়হুদা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নীলিমা আক্তার হ্যাপি বলেন, জলাভূমি কমে যাওয়ায় এবং বিভিন্ন দূষণের কারণে মাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় মাছরাঙা তাদের খাদ্য সংকটে পড়েছে। আবাসস্থল ধ্বংস হওয়া, নির্বিচারে গাছ কাটা এবং জমিতে কীটনাশকের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণেও মাছরাঙা দিন দিন গ্রামাঞ্চল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। যার কারণে প্রজনন ক্ষমতাও কমে যাচ্ছে।

ছবি

‘জামালপুর এক্সপ্রেস’-এর ইঞ্জিনে আগুন, ৩ ঘণ্টা পর যাত্রা

ছবি

সৈয়দপুরে বেওয়ারিশ কুকুরের হামলায় আহত ১১ পথচারী

ছবি

শ্রীপুরে তুচ্ছ ঘটনায় যুবক খুন

ছবি

সিলেটে ছাদ থেকে ফেলে প্রবাসীকে হত্যা: গ্রেপ্তার দুই

ছবি

এমআরটি লাইনের রামপুরা স্টেশন বাতিলসহ উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দাবি

ছবি

রাতে অনিরাপদ চকরিয়ার তিনটি রেলস্টেশন

ছবি

হবিগঞ্জ আলিয়াছড়া খাসিয়াপুঞ্জীতে এখন পান তোলার ব্যস্ততা

ছবি

মৌলভীবাজারে বিশ্ব আদিবাসি দিবসে দাবি, পাহাড়, নদী, বন, প্রকৃতি-আদিবাসিদের সংস্কৃতি

ছবি

ফরিদপুরে হাউজিং স্টেট থেকে এক তরুণীর লাশ উদ্ধার

ছবি

কিন্ডারগার্টেনের বৃত্তি পরীক্ষা বাতিল করে বৈষম্য করেছে আমলারা : শিক্ষক সমাবেশে গিয়াস উদ্দিন

ছবি

সাতক্ষীরায় কীটনাশক ব্যবহারে অসুস্থ হচ্ছেন কৃষকরা

সিলেটে চোরাকারবারী ধরতে গিয়ে নৌকাডুবিতে বিজিবি সদস্য নিখোঁজ

ছবি

শেরপুরে করতোয়ার ভাঙনে নদীতে বাড়ি-আবাদি জমি

ছবি

মাদারগঞ্জে ৬ শিক্ষকের এক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নেই কেউ

ছবি

চিতলমারীতে চুরি যাওয়া ৫০ লাখ টাকার স্বর্ণ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩

ছবি

অসহায় রোগীদের পাশে ভাসমান হাসপাতাল ‘জীবন তরী’

ছবি

শাজাহানপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

ছবি

‘বিএনপির পরিচয়ে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির স্থান নাই’

ছবি

গোয়ালন্দে দুই তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩

ছবি

সাতক্ষীরায় আদার দাম বেড়েছে কেজিতে ৬০-৬৫ টাকা

ছবি

ধামইরহাটে ১৪ বাংলাদেশিকে পুশইন

ছবি

দাদন ব্যবসায়ীর রোষানলে নিঃস্ব এলাকাবাসীর মানববন্ধন

ছবি

নবাবগঞ্জে ট্রিপল মার্ডার মামলায় দুজন গ্রেপ্তার

ছবি

রামপালে ৫০ লাখ টাকার স্বর্ণসহ গ্রেপ্তার ৩

ছবি

কুমিল্লা ৯২ এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মিলনমেলা

চাটখিলে ৪ মাদকসেবী দণ্ডিত

ছবি

নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ভৈরবে তদারকি নেই পাখির হাটে

ছবি

সাটুরিয়ায় শহীদ সাদের প্রথমমৃত্যু বার্ষিকী পালিত

ছবি

শাল্লায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য নৌকা বাইচ

ছবি

শ্রীমঙ্গলে অজগর সাপ উদ্ধার

ছবি

সেতুর পাশ থেকে বালু উত্তোলন, ১৪ কর্মকর্তাকে লিগ্যাল নোটিস

ছবি

রংপুরে সাবেক পুলিশ কমিশনারের প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের অভিযোগ

নেত্রকোনায় ৬৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে বিতর্ক

ছবি

সরিষাবাড়ীতে বেহাল রাস্তায় জনদুর্ভোগ

ছবি

সিলেটে ছিনতাইকারীদের হাতে যুবক খুন

ছবি

জনবহুল জনপদ আবুতোরাব স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেই কোন চিকিৎসক-ঔষধ

tab

সারাদেশ

জলাশয় থেকে হারিয়ে যাচ্ছে অনিন্দ্য পাখি মাছরাঙা

প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা

বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫

চুয়াডাঙ্গা বিভিন্ন নদ-নদী ও জলাশায় থেকে হারিয়ে যাচ্ছে জনপ্রিয় অনিন্দ্য শিকারি পাখি মাছরাঙা। বিভিন্ন কারণে এদের আবাসস্থল ধ্বংস হওয়া এবং খাদ্য সংকট দেখা দেয়ায় এদের সংখ্যা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে।

এক সময় এ জেলার মাঠে-ঘাটে, পুকুরপাড়ে দেখা যেত মাছরাঙার অবাধ বিচরণ। বাঁশ ও ডালের খুঁটিতে ঘাপটি মেরে বসে থাকত মাছ শিকারি করার জন্য। সুযোগ মতো জলে ঝাঁপিয়ে পড়ে শিকার করে থাকে, বন্ধুকের গুলি মিস হলেও মাছরাঙার শিকার মিস হয় না। পরে গাছের ডালে শিকারকে আছড়ে গিলে ফেলার সেই দৃশ্য এখন আর আগের মতো চোখে পড়ে না। নানা কারণে দৃষ্টিনন্দন শিকারি এ পাখির সংখ্যা অনেকটাই হারিয়ে যেতে বসেছে।

মাছরাঙা পাখি খাটো পুচ্ছ, বড় মাথা ও সুচালো ঠোঁটের আঁটোসাঁটো পাখি। এরা পুকুর, বিল ও জলাধারের পাড়ে গর্ত করে বাসা তৈরি করে বসবাস করে। চুয়াডাঙ্গা জেলার গ্রামাঞ্চলে যে প্রজাতির মাছরাঙা বেশি দেখা যায়, যেমন পাতি , বুক সাদা ,পারকা,লাল সবুজ মাছরাঙা।

মাছরাঙার প্রধান খাদ্য মাছ হলেও নানা ধরনের পোকা-মাকড় খায় এরা। প্রজনন মৌসুম শুরু হয় শরৎকালে। তখন ৫-৭টি ডিম দেয় মা পাখি। সময়ের বিবর্তনে পরিবেশ দূষণ, জমিতে কীটনাশকের অতিরিক্ত ব্যবহার ও খাদ্য সংকটের ফলে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে রূপে-গুণে অনন্য এ পাখিও।

প্রকৃতি প্রেমী শিক্ষক সাইদুর রহমান জানান, জলাশায়ে আগে হরহামেশা মাছরাঙার মাছ শিকার দেখতে পেতাম। এখন আর দেখা যায় না মাছ শিকারের দৃশ্য।

এ বিষয়ে কথা হলে ‘ পাখি গবেষক ও চুয়াডাঙ্গা পানকৌড়ি সংগঠনের সভাপতি শিক্ষক হামিদ বখতিয়ার বলেন, মাছরাঙা দিনের দিনে গ্রামাঞ্চল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে, জলাশায়গুলোর ওপরে জাল বিছিয়ে দিচ্ছে মাছচাষীরা যার কারণে মাছরাঙা মাছ শিকার করতে গেলে জালে জড়িয়ে মারা যাচ্ছে। নানাভাবে আমাদের জলজ পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এ ছাড়া প্রাকৃতিক পরিবেশে মাছরাঙার বাসা তৈরির সুযোগ কমে যাওয়ায় এই ধরনের পাখির সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। দামুড়হুদা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নীলিমা আক্তার হ্যাপি বলেন, জলাভূমি কমে যাওয়ায় এবং বিভিন্ন দূষণের কারণে মাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় মাছরাঙা তাদের খাদ্য সংকটে পড়েছে। আবাসস্থল ধ্বংস হওয়া, নির্বিচারে গাছ কাটা এবং জমিতে কীটনাশকের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণেও মাছরাঙা দিন দিন গ্রামাঞ্চল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। যার কারণে প্রজনন ক্ষমতাও কমে যাচ্ছে।

back to top