চুয়াডাঙ্গা বিভিন্ন নদ-নদী ও জলাশায় থেকে হারিয়ে যাচ্ছে জনপ্রিয় অনিন্দ্য শিকারি পাখি মাছরাঙা। বিভিন্ন কারণে এদের আবাসস্থল ধ্বংস হওয়া এবং খাদ্য সংকট দেখা দেয়ায় এদের সংখ্যা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে।
এক সময় এ জেলার মাঠে-ঘাটে, পুকুরপাড়ে দেখা যেত মাছরাঙার অবাধ বিচরণ। বাঁশ ও ডালের খুঁটিতে ঘাপটি মেরে বসে থাকত মাছ শিকারি করার জন্য। সুযোগ মতো জলে ঝাঁপিয়ে পড়ে শিকার করে থাকে, বন্ধুকের গুলি মিস হলেও মাছরাঙার শিকার মিস হয় না। পরে গাছের ডালে শিকারকে আছড়ে গিলে ফেলার সেই দৃশ্য এখন আর আগের মতো চোখে পড়ে না। নানা কারণে দৃষ্টিনন্দন শিকারি এ পাখির সংখ্যা অনেকটাই হারিয়ে যেতে বসেছে।
মাছরাঙা পাখি খাটো পুচ্ছ, বড় মাথা ও সুচালো ঠোঁটের আঁটোসাঁটো পাখি। এরা পুকুর, বিল ও জলাধারের পাড়ে গর্ত করে বাসা তৈরি করে বসবাস করে। চুয়াডাঙ্গা জেলার গ্রামাঞ্চলে যে প্রজাতির মাছরাঙা বেশি দেখা যায়, যেমন পাতি , বুক সাদা ,পারকা,লাল সবুজ মাছরাঙা।
মাছরাঙার প্রধান খাদ্য মাছ হলেও নানা ধরনের পোকা-মাকড় খায় এরা। প্রজনন মৌসুম শুরু হয় শরৎকালে। তখন ৫-৭টি ডিম দেয় মা পাখি। সময়ের বিবর্তনে পরিবেশ দূষণ, জমিতে কীটনাশকের অতিরিক্ত ব্যবহার ও খাদ্য সংকটের ফলে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে রূপে-গুণে অনন্য এ পাখিও।
প্রকৃতি প্রেমী শিক্ষক সাইদুর রহমান জানান, জলাশায়ে আগে হরহামেশা মাছরাঙার মাছ শিকার দেখতে পেতাম। এখন আর দেখা যায় না মাছ শিকারের দৃশ্য।
এ বিষয়ে কথা হলে ‘ পাখি গবেষক ও চুয়াডাঙ্গা পানকৌড়ি সংগঠনের সভাপতি শিক্ষক হামিদ বখতিয়ার বলেন, মাছরাঙা দিনের দিনে গ্রামাঞ্চল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে, জলাশায়গুলোর ওপরে জাল বিছিয়ে দিচ্ছে মাছচাষীরা যার কারণে মাছরাঙা মাছ শিকার করতে গেলে জালে জড়িয়ে মারা যাচ্ছে। নানাভাবে আমাদের জলজ পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এ ছাড়া প্রাকৃতিক পরিবেশে মাছরাঙার বাসা তৈরির সুযোগ কমে যাওয়ায় এই ধরনের পাখির সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। দামুড়হুদা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নীলিমা আক্তার হ্যাপি বলেন, জলাভূমি কমে যাওয়ায় এবং বিভিন্ন দূষণের কারণে মাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় মাছরাঙা তাদের খাদ্য সংকটে পড়েছে। আবাসস্থল ধ্বংস হওয়া, নির্বিচারে গাছ কাটা এবং জমিতে কীটনাশকের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণেও মাছরাঙা দিন দিন গ্রামাঞ্চল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। যার কারণে প্রজনন ক্ষমতাও কমে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫
চুয়াডাঙ্গা বিভিন্ন নদ-নদী ও জলাশায় থেকে হারিয়ে যাচ্ছে জনপ্রিয় অনিন্দ্য শিকারি পাখি মাছরাঙা। বিভিন্ন কারণে এদের আবাসস্থল ধ্বংস হওয়া এবং খাদ্য সংকট দেখা দেয়ায় এদের সংখ্যা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে।
এক সময় এ জেলার মাঠে-ঘাটে, পুকুরপাড়ে দেখা যেত মাছরাঙার অবাধ বিচরণ। বাঁশ ও ডালের খুঁটিতে ঘাপটি মেরে বসে থাকত মাছ শিকারি করার জন্য। সুযোগ মতো জলে ঝাঁপিয়ে পড়ে শিকার করে থাকে, বন্ধুকের গুলি মিস হলেও মাছরাঙার শিকার মিস হয় না। পরে গাছের ডালে শিকারকে আছড়ে গিলে ফেলার সেই দৃশ্য এখন আর আগের মতো চোখে পড়ে না। নানা কারণে দৃষ্টিনন্দন শিকারি এ পাখির সংখ্যা অনেকটাই হারিয়ে যেতে বসেছে।
মাছরাঙা পাখি খাটো পুচ্ছ, বড় মাথা ও সুচালো ঠোঁটের আঁটোসাঁটো পাখি। এরা পুকুর, বিল ও জলাধারের পাড়ে গর্ত করে বাসা তৈরি করে বসবাস করে। চুয়াডাঙ্গা জেলার গ্রামাঞ্চলে যে প্রজাতির মাছরাঙা বেশি দেখা যায়, যেমন পাতি , বুক সাদা ,পারকা,লাল সবুজ মাছরাঙা।
মাছরাঙার প্রধান খাদ্য মাছ হলেও নানা ধরনের পোকা-মাকড় খায় এরা। প্রজনন মৌসুম শুরু হয় শরৎকালে। তখন ৫-৭টি ডিম দেয় মা পাখি। সময়ের বিবর্তনে পরিবেশ দূষণ, জমিতে কীটনাশকের অতিরিক্ত ব্যবহার ও খাদ্য সংকটের ফলে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে রূপে-গুণে অনন্য এ পাখিও।
প্রকৃতি প্রেমী শিক্ষক সাইদুর রহমান জানান, জলাশায়ে আগে হরহামেশা মাছরাঙার মাছ শিকার দেখতে পেতাম। এখন আর দেখা যায় না মাছ শিকারের দৃশ্য।
এ বিষয়ে কথা হলে ‘ পাখি গবেষক ও চুয়াডাঙ্গা পানকৌড়ি সংগঠনের সভাপতি শিক্ষক হামিদ বখতিয়ার বলেন, মাছরাঙা দিনের দিনে গ্রামাঞ্চল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে, জলাশায়গুলোর ওপরে জাল বিছিয়ে দিচ্ছে মাছচাষীরা যার কারণে মাছরাঙা মাছ শিকার করতে গেলে জালে জড়িয়ে মারা যাচ্ছে। নানাভাবে আমাদের জলজ পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এ ছাড়া প্রাকৃতিক পরিবেশে মাছরাঙার বাসা তৈরির সুযোগ কমে যাওয়ায় এই ধরনের পাখির সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। দামুড়হুদা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নীলিমা আক্তার হ্যাপি বলেন, জলাভূমি কমে যাওয়ায় এবং বিভিন্ন দূষণের কারণে মাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় মাছরাঙা তাদের খাদ্য সংকটে পড়েছে। আবাসস্থল ধ্বংস হওয়া, নির্বিচারে গাছ কাটা এবং জমিতে কীটনাশকের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণেও মাছরাঙা দিন দিন গ্রামাঞ্চল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। যার কারণে প্রজনন ক্ষমতাও কমে যাচ্ছে।