দীর্ঘদিন ধরাছোয়ার বাইরে থাকা সীমান্তের রাঘববোয়াল খ্যাত শাহিনুর রহমান (প্রকাশ ডাকাত শাহিন) যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারের পর একে একে ধরা পড়ছে বিভিন্ন শাখা-উপশাখার সদস্যরা। তাদের থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-গোলাবারুদ। এছাড়াও জব্দ করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক মিয়ানমারের অবৈধ গরু। এখনো চলছে অভিযান। তবে এবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সেই অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানান অপতৎপরতা শুরু করেছে সীমান্তের চোরাকারবারী দলের অধরা সদস্যরা। নতুন করে সীমান্ত চোরাচালান শুরুর লক্ষ্যে ইতিমধ্যে একাধিক বৈঠক হয়েছে বলে আইন শৃংখলাবাহিনীর দাবি। সরেজমিন ঘুরে স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপে জানা যায়, চোরাচালানের জন্য সবচেয়ে বেশি আলোচিত রামুর গর্জনিয়া, কচ্ছপিয়া ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকা। স্থানীয় রাজনীতিক ও প্রশাসনের লোকজন ছাড়াও দেশের কয়েকটি শীর্ষ মাফিয়া গ্রুপ মিলেমিশে এই কারবারে জড়িত। চলতি বছরের ৫ জুন সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র্যাবের যৌথ অভিযানে শাহীনুর রহমান (প্রকাশ ডাকাত শাহিন) অস্ত্র ৩১ টি গরু ও একটি ছাগলসহ আইন শৃংখলা বাহিনীর যৌথ অভিযানে আটক হয়।
এরপর থেকে চক্রটির বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। যার কারনে সিন্ডিকেটটি প্রশাসনের উপর বেশ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। চক্রটি আইন শৃংখলা বাহিনীর অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এর অংশ হিসেবে চক্রটি আইন শৃংখলা বাহিনীর মামলাকে দুর্বল ও প্রশ্নবিদ্ধ করার নিমিত্তে সাপোর্টিং নথিপত্র প্রস্তুত করা এবং আভিযানিক দলের সদস্যদের হয়রানি শুরু করেছে। যদিওবা আইন শৃংখলা বাহিনী এই ষড়যন্ত্রকে পাত্তা দিচ্ছেনা। জানা গেছে, যৌথ অভিযানে জব্দ করা ৩১টি চোরাই পথে আসা মিয়ানমারের গরু নিজের দাবি করে অভিযানের প্রায় একমাস পর অতি গোপনে বিজিবির ৬ সদস্য এবং আভিযানিক কার্যক্রমের প্রধান তথ্যদাতার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলার আবেদন করে ডাকাত শাহিনের ক্যাশিয়ার খ্যাত বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সমন্বয়ক ও একাধিক মামলার আসামী নুরুল আবছার ডাকাত। তার বিরুদ্ধে পূর্বে হত্যা, সশস্ত্র চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্য হিসেবে একাধিক মামলা রয়েছে। মামলার আবেদনে উল্লেখ্য করা দুই সাক্ষীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ‘জেলে থাকা শাহিন ডাকাত নিরুপম শর্মা ও তার অন্যতম হাতিয়ার আবছার ডাকাতকে ব্যবহার করে মামলাটির আবেদন করেছে। তাদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে। এ সম্পর্কে তারা কিছুই জানেন না। শাহিনকে গ্রেপ্তারের দিনই এসব গরু জব্দ করে বলেও জানায় তারা।
আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর তথ্য বলছে, চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে আবারো মিয়ানমার সীমান্তে সক্রিয় হয়ে উঠছে তালিকাভুক্ত ২২ চোরাকারবারি। আসছে গবাদি পশুও। যাদের মধ্যে শাহিনের পরে সবচেয়ে আলোচিত আবছার ডাকাত। নতুন করে এসব চোরাকাবারিকে সক্রিয় করতে সংগঠিত করছে শাহিন ডাকাত। যাতে জেলে বসেই নিয়ন্ত্রণ করা যায় সীমান্ত চোরাচালান। ‘দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমার বাংলাদেশ সীমান্ত নিয়ে কাজ করেছেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর এমাদাদুল হক। তারমতে, চোরাচালান বন্ধ হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে অনেক সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেই বিতর্কে ফেলেন অসাধুচক্র। তাদের এই অপতৎপরতার ফাঁদে বাধাগ্রস্ত হয়ে অনেক কর্মকর্তাই চোরাচালান বিরোধী অভিযানে নিরুৎসাহিত হয়ে যান। ফলে, এ ধরনের চোরাচালান এবং অপরাধপ্রবণ এলাকায় পুনরায় চোরাকারবারি, সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং সুবিধাভোগী গোষ্ঠী আবার রাজত্ব কায়েম করে।
বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫
দীর্ঘদিন ধরাছোয়ার বাইরে থাকা সীমান্তের রাঘববোয়াল খ্যাত শাহিনুর রহমান (প্রকাশ ডাকাত শাহিন) যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারের পর একে একে ধরা পড়ছে বিভিন্ন শাখা-উপশাখার সদস্যরা। তাদের থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-গোলাবারুদ। এছাড়াও জব্দ করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক মিয়ানমারের অবৈধ গরু। এখনো চলছে অভিযান। তবে এবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সেই অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানান অপতৎপরতা শুরু করেছে সীমান্তের চোরাকারবারী দলের অধরা সদস্যরা। নতুন করে সীমান্ত চোরাচালান শুরুর লক্ষ্যে ইতিমধ্যে একাধিক বৈঠক হয়েছে বলে আইন শৃংখলাবাহিনীর দাবি। সরেজমিন ঘুরে স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপে জানা যায়, চোরাচালানের জন্য সবচেয়ে বেশি আলোচিত রামুর গর্জনিয়া, কচ্ছপিয়া ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকা। স্থানীয় রাজনীতিক ও প্রশাসনের লোকজন ছাড়াও দেশের কয়েকটি শীর্ষ মাফিয়া গ্রুপ মিলেমিশে এই কারবারে জড়িত। চলতি বছরের ৫ জুন সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র্যাবের যৌথ অভিযানে শাহীনুর রহমান (প্রকাশ ডাকাত শাহিন) অস্ত্র ৩১ টি গরু ও একটি ছাগলসহ আইন শৃংখলা বাহিনীর যৌথ অভিযানে আটক হয়।
এরপর থেকে চক্রটির বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। যার কারনে সিন্ডিকেটটি প্রশাসনের উপর বেশ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। চক্রটি আইন শৃংখলা বাহিনীর অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এর অংশ হিসেবে চক্রটি আইন শৃংখলা বাহিনীর মামলাকে দুর্বল ও প্রশ্নবিদ্ধ করার নিমিত্তে সাপোর্টিং নথিপত্র প্রস্তুত করা এবং আভিযানিক দলের সদস্যদের হয়রানি শুরু করেছে। যদিওবা আইন শৃংখলা বাহিনী এই ষড়যন্ত্রকে পাত্তা দিচ্ছেনা। জানা গেছে, যৌথ অভিযানে জব্দ করা ৩১টি চোরাই পথে আসা মিয়ানমারের গরু নিজের দাবি করে অভিযানের প্রায় একমাস পর অতি গোপনে বিজিবির ৬ সদস্য এবং আভিযানিক কার্যক্রমের প্রধান তথ্যদাতার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলার আবেদন করে ডাকাত শাহিনের ক্যাশিয়ার খ্যাত বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সমন্বয়ক ও একাধিক মামলার আসামী নুরুল আবছার ডাকাত। তার বিরুদ্ধে পূর্বে হত্যা, সশস্ত্র চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্য হিসেবে একাধিক মামলা রয়েছে। মামলার আবেদনে উল্লেখ্য করা দুই সাক্ষীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ‘জেলে থাকা শাহিন ডাকাত নিরুপম শর্মা ও তার অন্যতম হাতিয়ার আবছার ডাকাতকে ব্যবহার করে মামলাটির আবেদন করেছে। তাদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে। এ সম্পর্কে তারা কিছুই জানেন না। শাহিনকে গ্রেপ্তারের দিনই এসব গরু জব্দ করে বলেও জানায় তারা।
আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর তথ্য বলছে, চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে আবারো মিয়ানমার সীমান্তে সক্রিয় হয়ে উঠছে তালিকাভুক্ত ২২ চোরাকারবারি। আসছে গবাদি পশুও। যাদের মধ্যে শাহিনের পরে সবচেয়ে আলোচিত আবছার ডাকাত। নতুন করে এসব চোরাকাবারিকে সক্রিয় করতে সংগঠিত করছে শাহিন ডাকাত। যাতে জেলে বসেই নিয়ন্ত্রণ করা যায় সীমান্ত চোরাচালান। ‘দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমার বাংলাদেশ সীমান্ত নিয়ে কাজ করেছেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর এমাদাদুল হক। তারমতে, চোরাচালান বন্ধ হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে অনেক সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেই বিতর্কে ফেলেন অসাধুচক্র। তাদের এই অপতৎপরতার ফাঁদে বাধাগ্রস্ত হয়ে অনেক কর্মকর্তাই চোরাচালান বিরোধী অভিযানে নিরুৎসাহিত হয়ে যান। ফলে, এ ধরনের চোরাচালান এবং অপরাধপ্রবণ এলাকায় পুনরায় চোরাকারবারি, সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং সুবিধাভোগী গোষ্ঠী আবার রাজত্ব কায়েম করে।