ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার উত্তর বঠিনা কলোনীপাড়া রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জব্বারের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, সেচ্ছাচারিতা, নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেছে।
জানা যায়, ২০১৫ সালে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক এনামুল বদলি হয়ে অন্যত্র চলে গেলে সে পদটি শুন্যই থেকে যায় এবং ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ওই বিদ্যালয়েরই শিক্ষক মো. জব্বার । এর পর থেকেই তিনি শুরু করেন নানা অনিয়ম-দুর্নীতি আর স্বেচ্ছাচারিতা।
অভিযোগ রয়েছে, তিনি বছরের পর বছর নিজে নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থেকেও সহকর্মী শিক্ষকদের ন্যায্য ছুটি অনুমোদন না করে অনুপস্থিত দেখিয়ে দমনমূলক আচরণ করেন । কোনো প্রশাসনিক অনুমোদন ছাড়াই তিনি সহকারী শিক্ষকদের বার্ষিক গোপন প্রতিবেদন (এসিআর)-এ স্বাক্ষরও করে থাকেন। এছাড়াও ১৪ থেকে ১৫ ভুয়া শিক্ষার্থীর নামে উপবৃত্তির টাকা উত্তোলন করে সেই অর্থ নিজের আত্মীয়স্বজনের মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে গ্রহণ করারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের কয়েকজন ভুক্তভোগী শিক্ষক জানান, গত কয়েক বছরে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার মান নিম্নমুখী হয়েছে। প্রতি বছরেই কমছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। আমরা অনেক প্রতিকুলতার মধ্য দিয়েই এখানে চাকরি করছি। আমরা প্রয়োজনে কোন ছুটি পাইনা আবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জব্বার সাহেব তার পছন্দের ক’জন শিক্ষকদের তিনি সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকেন। বিদ্যালয় সংষ্কারের বরাদ্দ এলেও দীর্ঘদিন ধরে আমাদের এখানে কোন উন্নয়নমূলক কাজ বা কোন সংষ্কার কাজ হয়নি। উপবৃত্তির টাকা নিয়েও তিনি গোপনীয়তা বজায় চলেন যা কোনভাবেই কাম্য না।
অভিভাবকরা জানান, ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানটি এখন টিকে থাকাই মুশকিল। শিক্ষার মান নিম্মমুখী হওয়ায় এ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী পাঠাতেই ভাবতে হচ্ছে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির ফলে আজ এ অবস্থা। শিক্ষকদের ওপর নির্যাতন, দমনমূলক আচরণে জর্জরিত প্রতিষ্ঠানটিকে বাঁচাতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জব্বারকে অপসারণ এখন সময়ের দাবি।
অভিযুক্ত শিক্ষক জব্বার সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে এ পদে রয়েছি জন্য আমার নামে এসব মিথ্যে অভিযোগ ছড়ানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ফজলুল করিম জানান, উল্লেখিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে সুনিদৃষ্ট অভিযোগ এলে আমরা অবশ্যই গুরুত্বের সাথে বিষয়টি অনুসন্ধান করবো এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার উত্তর বঠিনা কলোনীপাড়া রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জব্বারের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, সেচ্ছাচারিতা, নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেছে।
জানা যায়, ২০১৫ সালে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক এনামুল বদলি হয়ে অন্যত্র চলে গেলে সে পদটি শুন্যই থেকে যায় এবং ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ওই বিদ্যালয়েরই শিক্ষক মো. জব্বার । এর পর থেকেই তিনি শুরু করেন নানা অনিয়ম-দুর্নীতি আর স্বেচ্ছাচারিতা।
অভিযোগ রয়েছে, তিনি বছরের পর বছর নিজে নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থেকেও সহকর্মী শিক্ষকদের ন্যায্য ছুটি অনুমোদন না করে অনুপস্থিত দেখিয়ে দমনমূলক আচরণ করেন । কোনো প্রশাসনিক অনুমোদন ছাড়াই তিনি সহকারী শিক্ষকদের বার্ষিক গোপন প্রতিবেদন (এসিআর)-এ স্বাক্ষরও করে থাকেন। এছাড়াও ১৪ থেকে ১৫ ভুয়া শিক্ষার্থীর নামে উপবৃত্তির টাকা উত্তোলন করে সেই অর্থ নিজের আত্মীয়স্বজনের মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে গ্রহণ করারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের কয়েকজন ভুক্তভোগী শিক্ষক জানান, গত কয়েক বছরে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার মান নিম্নমুখী হয়েছে। প্রতি বছরেই কমছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। আমরা অনেক প্রতিকুলতার মধ্য দিয়েই এখানে চাকরি করছি। আমরা প্রয়োজনে কোন ছুটি পাইনা আবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জব্বার সাহেব তার পছন্দের ক’জন শিক্ষকদের তিনি সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকেন। বিদ্যালয় সংষ্কারের বরাদ্দ এলেও দীর্ঘদিন ধরে আমাদের এখানে কোন উন্নয়নমূলক কাজ বা কোন সংষ্কার কাজ হয়নি। উপবৃত্তির টাকা নিয়েও তিনি গোপনীয়তা বজায় চলেন যা কোনভাবেই কাম্য না।
অভিভাবকরা জানান, ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানটি এখন টিকে থাকাই মুশকিল। শিক্ষার মান নিম্মমুখী হওয়ায় এ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী পাঠাতেই ভাবতে হচ্ছে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির ফলে আজ এ অবস্থা। শিক্ষকদের ওপর নির্যাতন, দমনমূলক আচরণে জর্জরিত প্রতিষ্ঠানটিকে বাঁচাতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জব্বারকে অপসারণ এখন সময়ের দাবি।
অভিযুক্ত শিক্ষক জব্বার সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে এ পদে রয়েছি জন্য আমার নামে এসব মিথ্যে অভিযোগ ছড়ানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ফজলুল করিম জানান, উল্লেখিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে সুনিদৃষ্ট অভিযোগ এলে আমরা অবশ্যই গুরুত্বের সাথে বিষয়টি অনুসন্ধান করবো এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।