মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) : পৌরসভার থানা সংলগ্ন গার্ডার ব্রিজ -সংবাদ
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার থানা সংলগ্ন গার্ডার ব্রীজের কাজ বছরের পর বছর ঝুলে থাকা এবং এপ্রোস ও গাইডওয়াল না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন জনসাধারণ। ঠিকাদারের অবহেলা এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঠিক তদারকি ও তত্ত্বাবধানের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। জানা গেছে, মঠবাড়িয়া থেকে সাপলেজা বাবু বাজার সড়কে ৭টি গার্ডার ব্রীজের মধ্যে থানা সংলগ্ন ব্রীজটির কাজ প্রথম শুরু হয়। ওয়ার্ক অর্ডার অনুযায়ী ২০২২ সালের মার্চ মাসে ব্রীজটির কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালে।সঠিক তদারকির অভাবে ৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা বরাদ্দ থেকে নির্মাণ কাজ সিডিউল অনুযায়ী না করার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট অফিস ও ঠিকাদরের বিরূদ্ধে। কৃত্রিম অর্থ সংকটে নির্মাণ কাজ কিছু দিন বন্ধ থাকলেও একপর্যায়ে গত বছরের ১১ আগস্ট ২৫ লাখ টাকার অতিরিক্ত বরাদ্দ অনুমোদন দেওয়া হয়। এলজিইডি অফিস ও ঠিকাদার এ অতিরিক্ত বরাদ্দের কথা অস্বীকার করায় তথ্য অধিকারে আবেদন করে বরাদ্দের পরিমান নিশ্চিত হওয়া যায়।
ব্রীজটির নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জিয়াউল এ্যান্ড ব্রার্দার্স।স্বত্বাধিকারী ভান্ডারিয়া উপজেলার খন্দকার জিয়াউল হোসেন। তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকায় কাজটি ক্রয় করেন মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সেলিম মাতুব্বর।
৫ আগস্টের পর তিনি একাধিক মামলার আসামী হয়ে আত্মগোপনে থাকলেও তার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঐশী কনস্ট্রাকশনের ম্যানেজার সোহাগ মিয়া নির্মাণ কাজ দেখাশুনায় সক্রিয় রয়েছেন। কিন্তু অতিরিক্ত বরাদ্দের ২৫ লাখ টাকার কোন খবরই জানেন না তিনি। ব্রীজটির ২ পাশের এপ্রোস ও গাইডওয়াল না করায় প্রতিদিন দুর্ঘটনা সহ ভোগান্তিতে পড়েন পথচারী ও যাত্রীরা। প্রতিদিন শত শত মানুষ ওই ব্রীজ দিয়ে চলাচল করছেন। অথচ এপ্রোস ও গাইডওয়াল এর কাজ করার কোন উদ্যোগ নেই।
উপজেলা প্রকৌশলী জিয়ারুল ইসলাম জানান আগামী ৩/৪ মাসের মধ্যে বরাদ্ধ প্রাপ্তি সাপেক্ষে অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করা হবে। এর আগে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদর এর মাধ্যমে গাইড ওয়াল ও এপ্রোচ এর কিছু কাজ করা হয়েছে।
এ বিষয় পিরোজপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) : পৌরসভার থানা সংলগ্ন গার্ডার ব্রিজ -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার থানা সংলগ্ন গার্ডার ব্রীজের কাজ বছরের পর বছর ঝুলে থাকা এবং এপ্রোস ও গাইডওয়াল না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন জনসাধারণ। ঠিকাদারের অবহেলা এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঠিক তদারকি ও তত্ত্বাবধানের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। জানা গেছে, মঠবাড়িয়া থেকে সাপলেজা বাবু বাজার সড়কে ৭টি গার্ডার ব্রীজের মধ্যে থানা সংলগ্ন ব্রীজটির কাজ প্রথম শুরু হয়। ওয়ার্ক অর্ডার অনুযায়ী ২০২২ সালের মার্চ মাসে ব্রীজটির কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালে।সঠিক তদারকির অভাবে ৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা বরাদ্দ থেকে নির্মাণ কাজ সিডিউল অনুযায়ী না করার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট অফিস ও ঠিকাদরের বিরূদ্ধে। কৃত্রিম অর্থ সংকটে নির্মাণ কাজ কিছু দিন বন্ধ থাকলেও একপর্যায়ে গত বছরের ১১ আগস্ট ২৫ লাখ টাকার অতিরিক্ত বরাদ্দ অনুমোদন দেওয়া হয়। এলজিইডি অফিস ও ঠিকাদার এ অতিরিক্ত বরাদ্দের কথা অস্বীকার করায় তথ্য অধিকারে আবেদন করে বরাদ্দের পরিমান নিশ্চিত হওয়া যায়।
ব্রীজটির নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জিয়াউল এ্যান্ড ব্রার্দার্স।স্বত্বাধিকারী ভান্ডারিয়া উপজেলার খন্দকার জিয়াউল হোসেন। তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকায় কাজটি ক্রয় করেন মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সেলিম মাতুব্বর।
৫ আগস্টের পর তিনি একাধিক মামলার আসামী হয়ে আত্মগোপনে থাকলেও তার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঐশী কনস্ট্রাকশনের ম্যানেজার সোহাগ মিয়া নির্মাণ কাজ দেখাশুনায় সক্রিয় রয়েছেন। কিন্তু অতিরিক্ত বরাদ্দের ২৫ লাখ টাকার কোন খবরই জানেন না তিনি। ব্রীজটির ২ পাশের এপ্রোস ও গাইডওয়াল না করায় প্রতিদিন দুর্ঘটনা সহ ভোগান্তিতে পড়েন পথচারী ও যাত্রীরা। প্রতিদিন শত শত মানুষ ওই ব্রীজ দিয়ে চলাচল করছেন। অথচ এপ্রোস ও গাইডওয়াল এর কাজ করার কোন উদ্যোগ নেই।
উপজেলা প্রকৌশলী জিয়ারুল ইসলাম জানান আগামী ৩/৪ মাসের মধ্যে বরাদ্ধ প্রাপ্তি সাপেক্ষে অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করা হবে। এর আগে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদর এর মাধ্যমে গাইড ওয়াল ও এপ্রোচ এর কিছু কাজ করা হয়েছে।
এ বিষয় পিরোজপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।