শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) : নরিনায় এলজিইডির সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ হতেই ভাঙন -সংবাদ
শাহজাদপুর উপজেলার নরিনা ইউনিয়নে একটি হেরিং বন্ড (এইচবিবি) সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ হতেই বেশিরভাগ অংশে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। সদ্য নির্মিত ওই সড়কের গাইড ওয়ালের অনেকটাই ভেঙে গেছে। সড়কের বিভিন্ন স্থান দেবে গিয়ে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে সড়কে রিক্সা -ভ্যান চলাচল দূরের কথা পায়ে হেটে যাতায়াত করতেও এলাকাবাসীকে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে । স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার, সিডিউল মোতাবেক কাজ না, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাসহ নানা অনিয়মের কারণে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ওই সড়কের বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে । জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অর্থায়নে সিরাজগঞ্জ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-এর আওতায় উপজেলার নরিনা ইউনিয়নের নারায়নদহ গ্রামের জামাত খানের বাড়ি থেকে শহিদ মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত ৬০৭ মিটার এইচবিবি সড়ক নির্মাণের জন্য ৯৮ লাখ ৩৫ হাজার ৭৫০ টাকা ব্যয় ধরা হয়। যার চুক্তি মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৯৩ লাখ ৪৩ হাজার ৯৬২ টাকা। মেসার্স মোহাম্মদ আলী এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওই সড়ক নির্মাণের কাজ পায়। পরবর্তীতে জনৈক পান্না নামে এক ঠিকাদার কাজটি কিনে নেন । এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কটির বেশিরভাগ অংশে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হওয়ায় তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কের বিভিন্নস্থানে ধস দেখা দিয়েছে। সিডিউল অনুযায়ী সড়কের দুই পাশের শোল্ডারে ২ থেকে ৩ ফুট মাটি দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেয়া হয়নি। উপরন্তু রাস্তার পাশ থেকে মাটি কাটা, এজিং না থাকা এবং নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণে গাইড ওয়ালের অনেকটাই ভেঙে গেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ করেন , প্রায় ২৫০ মিটার গাইড ওয়ালের কাজ এখনো বাকি রয়েছে ।
এ বিষয়ে নরিনা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আলমগীর হোসেন জানান, রাস্তা নির্মাণের অনিময়ের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলেও কোন সুফল পাওয়া যায়নি। অপরদিকে স্থানীয় বাসিন্দা হযরত আলী, আব্দুর রশিদ ও শফিকুল ইসলাম জানান, নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে রাস্তা নির্মাণসহ অনিয়মের বিষয়ে কথা বলতে গেলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন তাদেরকে নানা ভয়-ভীতি দেখানো হয়। সূত্রমতে, সড়কে ১ নম্বর ইটের পরিবর্তে ২ নম্বর ইট ব্যবহার করা হয়েছে। সড়কে বালু-মাটি দিয়ে ভরাটের পর রোলার দিয়ে পেটানোর নিয়ম থাকলেও তা মানা হয়নি। ফলে সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ হতে না হতেই তা ভেঙে পড়তে শুরু করেছে
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার,(৭ আগস্ট ২০২৫) উপজেলা প্রকৌশলী এ.এইচ.এম. কামরুল হাসান রনির সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন ,ওই সড়কের কাজ এখনো চলমান রয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সড়কটির বেশ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি আরো জানান, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারণে সড়কের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করা সম্ভব হয়নি । তিনি জানান, ইতোমধ্যেই প্রকল্প পরিচালক সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সড়কটি সরজমিনে পরিদর্শন করেছেন। সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ ঠিকাদারকেই মেরামত করতে হবে। সিডিউল মোতাবেক কাজ বুঝে নেওয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, প্রকল্পের দরপত্র অনুযায়ী ডিজাইন ও নির্দেশিকা মেনে কাজ বাস্তবায়ন এবং সন্তোষজনক ল্যাব টেস্ট রিপোর্ট ছাড়া ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ করার প্রশ্নই ওঠেনা ।
শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) : নরিনায় এলজিইডির সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ হতেই ভাঙন -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫
শাহজাদপুর উপজেলার নরিনা ইউনিয়নে একটি হেরিং বন্ড (এইচবিবি) সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ হতেই বেশিরভাগ অংশে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। সদ্য নির্মিত ওই সড়কের গাইড ওয়ালের অনেকটাই ভেঙে গেছে। সড়কের বিভিন্ন স্থান দেবে গিয়ে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে সড়কে রিক্সা -ভ্যান চলাচল দূরের কথা পায়ে হেটে যাতায়াত করতেও এলাকাবাসীকে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে । স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার, সিডিউল মোতাবেক কাজ না, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাসহ নানা অনিয়মের কারণে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ওই সড়কের বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে । জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অর্থায়নে সিরাজগঞ্জ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-এর আওতায় উপজেলার নরিনা ইউনিয়নের নারায়নদহ গ্রামের জামাত খানের বাড়ি থেকে শহিদ মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত ৬০৭ মিটার এইচবিবি সড়ক নির্মাণের জন্য ৯৮ লাখ ৩৫ হাজার ৭৫০ টাকা ব্যয় ধরা হয়। যার চুক্তি মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৯৩ লাখ ৪৩ হাজার ৯৬২ টাকা। মেসার্স মোহাম্মদ আলী এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওই সড়ক নির্মাণের কাজ পায়। পরবর্তীতে জনৈক পান্না নামে এক ঠিকাদার কাজটি কিনে নেন । এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কটির বেশিরভাগ অংশে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হওয়ায় তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কের বিভিন্নস্থানে ধস দেখা দিয়েছে। সিডিউল অনুযায়ী সড়কের দুই পাশের শোল্ডারে ২ থেকে ৩ ফুট মাটি দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেয়া হয়নি। উপরন্তু রাস্তার পাশ থেকে মাটি কাটা, এজিং না থাকা এবং নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণে গাইড ওয়ালের অনেকটাই ভেঙে গেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ করেন , প্রায় ২৫০ মিটার গাইড ওয়ালের কাজ এখনো বাকি রয়েছে ।
এ বিষয়ে নরিনা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আলমগীর হোসেন জানান, রাস্তা নির্মাণের অনিময়ের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলেও কোন সুফল পাওয়া যায়নি। অপরদিকে স্থানীয় বাসিন্দা হযরত আলী, আব্দুর রশিদ ও শফিকুল ইসলাম জানান, নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে রাস্তা নির্মাণসহ অনিয়মের বিষয়ে কথা বলতে গেলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন তাদেরকে নানা ভয়-ভীতি দেখানো হয়। সূত্রমতে, সড়কে ১ নম্বর ইটের পরিবর্তে ২ নম্বর ইট ব্যবহার করা হয়েছে। সড়কে বালু-মাটি দিয়ে ভরাটের পর রোলার দিয়ে পেটানোর নিয়ম থাকলেও তা মানা হয়নি। ফলে সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ হতে না হতেই তা ভেঙে পড়তে শুরু করেছে
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার,(৭ আগস্ট ২০২৫) উপজেলা প্রকৌশলী এ.এইচ.এম. কামরুল হাসান রনির সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন ,ওই সড়কের কাজ এখনো চলমান রয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সড়কটির বেশ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি আরো জানান, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারণে সড়কের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করা সম্ভব হয়নি । তিনি জানান, ইতোমধ্যেই প্রকল্প পরিচালক সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সড়কটি সরজমিনে পরিদর্শন করেছেন। সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ ঠিকাদারকেই মেরামত করতে হবে। সিডিউল মোতাবেক কাজ বুঝে নেওয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, প্রকল্পের দরপত্র অনুযায়ী ডিজাইন ও নির্দেশিকা মেনে কাজ বাস্তবায়ন এবং সন্তোষজনক ল্যাব টেস্ট রিপোর্ট ছাড়া ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ করার প্রশ্নই ওঠেনা ।