বিপুল অঙ্কের রাজস্ব বঞ্চিত জেলা প্রশাসন
চকরিয়া (কক্সবাজার) : মেধাকচ্ছপিয়া মৌজার লবণ মাঠ ও চিংড়ি জমি -সংবাদ
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও চকরিয়া উপজেলা থেকে বারবার প্রশাসনিক কর্মকর্তা রদবদল হলেও গেল ৭৩ বছর ধরে বেদখলমুক্ত করা সম্ভব হয়নি চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের মেধাকচ্ছপিয়াস্থ আলীমুদ্দীন ওয়াক্ফ এস্টেটের অবৈধ দখলে থাকা ৩০ কোটি টাকা মূল্যের ৫০৬ একর সরকারি খাসজমি।
এমন প্রেক্ষাপটে বিগত ৭৩ বছর ধরে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী চক্র সরকারি এসব খাসজমি নানা কায়দায় জবর দখলে রেখে চিংড়ি ও লবণ চাষ করে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা আয় উপার্জন করে চলছেন।
অবশ্য ২০০৭ সালে ত্বত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে যৌথ বাহিনীর সহযোগিতায় চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে খুটাখালীতে রুদ্ধদ্বার অভিযান চালিয়ে এসব খাসজমি উদ্ধার করে সেখানে লাল পতাকা উচিয়ে দিলেও পরবর্তী গত ১৮বছর ধরে উল্লেখিত জমি পুনরায় দখলে নিয়েছে ওয়াকফ এস্টেটের নামে কতিপয় দখলবাজ চক্র।
অভিযোগ উঠেছে, প্রভাবশালী চক্রের লোকজন উল্লেখিত খাসজমি দখলে রেখে প্রতিবছর লবণমাঠ ও চিংড়িজমি লাগিয়ত দিয়ে কোটি কোটি লুটে নিচ্ছে। পক্ষান্তরে বেদখল হওয়া এসব জমি উদ্ধারে প্রশাসন থেকে কার্যকর কোন ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় সচেতনমহল। এমন প্রেক্ষাপটে সরকারি ৫০৬ একর খাসজমি বেহাত হওয়ায় প্রতিবছর কক্সবাজার জেলা প্রশাসন বিপুল টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
তবে স্থানীয় ভুমি অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উল্লেখিত খাসজমি দখলে জড়িতরা ইতোপুর্বে উচ্চ আদালতে একটি আপীল মামলা দিয়েছেন। মুলত মামলাটির রায় নিষ্পত্তি না হওয়ায় সরকারি এসব খাসজমি উদ্ধারে রীতিমতো গতি পাচ্ছেনা স্থানীয় প্রশাসন।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, খুটাখালীতে ওয়াক্ফ এস্টেটের নামে সরকারী ভাবে ১০৫ একর ৪৬ শতক জমি রেকর্ডে উল্লেখ থাকলেও তৎকালীন মোতায়াল্লি নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও তার চাচাতো ভাই চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার প্রয়াত আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক এমপি সুলতানুল কবির চৌধুরীর পিতার ওয়ারিশরা মিলেমিশে বিগত ৭৩ বছর ধরে প্রশাসনের বিভিন্ন্ শ্রেণীর কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে এবং সরকারের বিরুদ্ধে কাল্পনিক মামলা দিয়ে সরকারি খাস খতিয়ানের ৫০৬ একর জমি ভূঁয়া ওয়াক্ফ এস্টেটের নাম ভাঙ্গিয়ে অবৈধভাবে জবরদখলে রেখেছে। বর্তমানে খুটাখালী মেধাকচ্ছপিয়া মৌজার ৫০৬ একর জমির (লবণ ও চিংড়ি জমি) বাজার মূল্য প্রায় ৩০ কোটি টাকার বেশি হবে বলে জানিয়েছেন ভূমি কর্মকর্তারা।
প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, চকরিয়া খুটাখালীতে সরকারের বিপুল পরিমাণ খাসজমি প্রভাবশালীদের অবৈধ দখলে থাকায় ১৯৯৫ সালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে বাদী হয়ে ৭৩ লাখ ৮০ হাজার ৫৬২ টাকা ও ২০০৭ সালে ১ কোটি ২৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয় জড়িত চক্রের বিরুদ্ধে।
তবে ওইসময় আগের মোতাওয়াল্লি নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও তার লোকজন এসব জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখলে থাকার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসনের ক্ষতিপূরণ মামলার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে (উচ্চ আদালতে) দুটি রিট পিটিশন মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাগুলো উচ্চ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এ অবস্থায় আইনি জটিলতার কারনে বেহাত হওয়া ৫০৬ একর সরকারি খাসজমি উদ্ধারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারছে না স্থানীয় প্রশাসন।
এলাকাবাসি অভিযোগ তুলেছেন, সরকারি ৫০৬ একর খাসজমি জবরদখলে রাখার পাশাপাশি অভিযুক্ত প্রভাবশালী চক্রটি একই এলাকার ১১৪টি পরিবারের মালিকাধীন মেধাকচ্ছপিয়া মৌজার বিএস ৭৬ খতিয়ানের ১২৫ একর ১১ শতক চিংড়িজমি ও লবণমাঠ দখলে নিয়ে লুটপাটে মেতেছে। তাদের অব্যাহত হামলা, মিথ্যা মামলায় নানাবিধ হয়রানি ও হুমকির কারণে ভুক্তভোগী ওই ১১৪টি পরিবারের নারী-পুরুষ সদস্যরা প্রতিনিয়ত তটস্থ রয়েছেন।
খুটাখালী ইউনিয়নের মেধাকচ্ছপিয়া গ্রামের লোকজন জানিয়েছেন, প্রায় ৭৩ বছর ধরে ওয়াক্ফ এস্টেটের নাম ভাঙ্গিয়ে রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় প্রভাবশালী নজরুল ইসলাম চৌধুরী গং সরকারি এসব খাসজমি এভাবে অবৈধভাবে দখলে রাখলেও ইতিপূর্বে প্রশাসন এসব জমি উদ্ধারে কোন প্রদক্ষেপ নেয়নি। উল্টো অতীতে প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তারা আর্থিক সুবিধা নিয়ে গোপনে দখলবাজ চক্রকে নানাভাবে সহায়তা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুমি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা- কর্মচারীর এমন উদারতার সুযোগে সংশ্লিষ্ট দখলবাজ চক্র বছরের পর বছর সরকারি এসব খাস জমি দখলে রেখে লবণ ও চিংড়ি চাষের জন্য লাগিয়ত দিয়ে বেসুমার বাণিজ্য চালাচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রুপায়ন দেব বলেন, খুটাখালীতে বিপুল পরিমাণ সরকারি খাসজমি বেদখলে থাকার বিষয়টি আমার জানা ছিল না, আপনার কাছ থেকেই অবগত হলাম। কীভাবে ৫০৬ একর সরকারি খাসজমি বেহাত হচ্ছে, তা অবশ্যই ঘটনাস্থলে ইউনিয়ন ভূমি তহসিলদারকে পাঠিয়ে যাছাই করা হবে।
তারপর উল্লেখিত বিষয়ের আলোকে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে রিপোর্ট জানিয়ে তাদের নির্দেশনায় এসব খাসজমি উদ্ধারে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিপুল অঙ্কের রাজস্ব বঞ্চিত জেলা প্রশাসন
চকরিয়া (কক্সবাজার) : মেধাকচ্ছপিয়া মৌজার লবণ মাঠ ও চিংড়ি জমি -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও চকরিয়া উপজেলা থেকে বারবার প্রশাসনিক কর্মকর্তা রদবদল হলেও গেল ৭৩ বছর ধরে বেদখলমুক্ত করা সম্ভব হয়নি চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের মেধাকচ্ছপিয়াস্থ আলীমুদ্দীন ওয়াক্ফ এস্টেটের অবৈধ দখলে থাকা ৩০ কোটি টাকা মূল্যের ৫০৬ একর সরকারি খাসজমি।
এমন প্রেক্ষাপটে বিগত ৭৩ বছর ধরে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী চক্র সরকারি এসব খাসজমি নানা কায়দায় জবর দখলে রেখে চিংড়ি ও লবণ চাষ করে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা আয় উপার্জন করে চলছেন।
অবশ্য ২০০৭ সালে ত্বত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে যৌথ বাহিনীর সহযোগিতায় চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে খুটাখালীতে রুদ্ধদ্বার অভিযান চালিয়ে এসব খাসজমি উদ্ধার করে সেখানে লাল পতাকা উচিয়ে দিলেও পরবর্তী গত ১৮বছর ধরে উল্লেখিত জমি পুনরায় দখলে নিয়েছে ওয়াকফ এস্টেটের নামে কতিপয় দখলবাজ চক্র।
অভিযোগ উঠেছে, প্রভাবশালী চক্রের লোকজন উল্লেখিত খাসজমি দখলে রেখে প্রতিবছর লবণমাঠ ও চিংড়িজমি লাগিয়ত দিয়ে কোটি কোটি লুটে নিচ্ছে। পক্ষান্তরে বেদখল হওয়া এসব জমি উদ্ধারে প্রশাসন থেকে কার্যকর কোন ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় সচেতনমহল। এমন প্রেক্ষাপটে সরকারি ৫০৬ একর খাসজমি বেহাত হওয়ায় প্রতিবছর কক্সবাজার জেলা প্রশাসন বিপুল টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
তবে স্থানীয় ভুমি অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উল্লেখিত খাসজমি দখলে জড়িতরা ইতোপুর্বে উচ্চ আদালতে একটি আপীল মামলা দিয়েছেন। মুলত মামলাটির রায় নিষ্পত্তি না হওয়ায় সরকারি এসব খাসজমি উদ্ধারে রীতিমতো গতি পাচ্ছেনা স্থানীয় প্রশাসন।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, খুটাখালীতে ওয়াক্ফ এস্টেটের নামে সরকারী ভাবে ১০৫ একর ৪৬ শতক জমি রেকর্ডে উল্লেখ থাকলেও তৎকালীন মোতায়াল্লি নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও তার চাচাতো ভাই চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার প্রয়াত আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক এমপি সুলতানুল কবির চৌধুরীর পিতার ওয়ারিশরা মিলেমিশে বিগত ৭৩ বছর ধরে প্রশাসনের বিভিন্ন্ শ্রেণীর কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে এবং সরকারের বিরুদ্ধে কাল্পনিক মামলা দিয়ে সরকারি খাস খতিয়ানের ৫০৬ একর জমি ভূঁয়া ওয়াক্ফ এস্টেটের নাম ভাঙ্গিয়ে অবৈধভাবে জবরদখলে রেখেছে। বর্তমানে খুটাখালী মেধাকচ্ছপিয়া মৌজার ৫০৬ একর জমির (লবণ ও চিংড়ি জমি) বাজার মূল্য প্রায় ৩০ কোটি টাকার বেশি হবে বলে জানিয়েছেন ভূমি কর্মকর্তারা।
প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, চকরিয়া খুটাখালীতে সরকারের বিপুল পরিমাণ খাসজমি প্রভাবশালীদের অবৈধ দখলে থাকায় ১৯৯৫ সালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে বাদী হয়ে ৭৩ লাখ ৮০ হাজার ৫৬২ টাকা ও ২০০৭ সালে ১ কোটি ২৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয় জড়িত চক্রের বিরুদ্ধে।
তবে ওইসময় আগের মোতাওয়াল্লি নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও তার লোকজন এসব জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখলে থাকার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসনের ক্ষতিপূরণ মামলার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে (উচ্চ আদালতে) দুটি রিট পিটিশন মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাগুলো উচ্চ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এ অবস্থায় আইনি জটিলতার কারনে বেহাত হওয়া ৫০৬ একর সরকারি খাসজমি উদ্ধারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারছে না স্থানীয় প্রশাসন।
এলাকাবাসি অভিযোগ তুলেছেন, সরকারি ৫০৬ একর খাসজমি জবরদখলে রাখার পাশাপাশি অভিযুক্ত প্রভাবশালী চক্রটি একই এলাকার ১১৪টি পরিবারের মালিকাধীন মেধাকচ্ছপিয়া মৌজার বিএস ৭৬ খতিয়ানের ১২৫ একর ১১ শতক চিংড়িজমি ও লবণমাঠ দখলে নিয়ে লুটপাটে মেতেছে। তাদের অব্যাহত হামলা, মিথ্যা মামলায় নানাবিধ হয়রানি ও হুমকির কারণে ভুক্তভোগী ওই ১১৪টি পরিবারের নারী-পুরুষ সদস্যরা প্রতিনিয়ত তটস্থ রয়েছেন।
খুটাখালী ইউনিয়নের মেধাকচ্ছপিয়া গ্রামের লোকজন জানিয়েছেন, প্রায় ৭৩ বছর ধরে ওয়াক্ফ এস্টেটের নাম ভাঙ্গিয়ে রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় প্রভাবশালী নজরুল ইসলাম চৌধুরী গং সরকারি এসব খাসজমি এভাবে অবৈধভাবে দখলে রাখলেও ইতিপূর্বে প্রশাসন এসব জমি উদ্ধারে কোন প্রদক্ষেপ নেয়নি। উল্টো অতীতে প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তারা আর্থিক সুবিধা নিয়ে গোপনে দখলবাজ চক্রকে নানাভাবে সহায়তা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুমি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা- কর্মচারীর এমন উদারতার সুযোগে সংশ্লিষ্ট দখলবাজ চক্র বছরের পর বছর সরকারি এসব খাস জমি দখলে রেখে লবণ ও চিংড়ি চাষের জন্য লাগিয়ত দিয়ে বেসুমার বাণিজ্য চালাচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রুপায়ন দেব বলেন, খুটাখালীতে বিপুল পরিমাণ সরকারি খাসজমি বেদখলে থাকার বিষয়টি আমার জানা ছিল না, আপনার কাছ থেকেই অবগত হলাম। কীভাবে ৫০৬ একর সরকারি খাসজমি বেহাত হচ্ছে, তা অবশ্যই ঘটনাস্থলে ইউনিয়ন ভূমি তহসিলদারকে পাঠিয়ে যাছাই করা হবে।
তারপর উল্লেখিত বিষয়ের আলোকে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে রিপোর্ট জানিয়ে তাদের নির্দেশনায় এসব খাসজমি উদ্ধারে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।