২৪’শের আগস্টের পর ভৈরব পৌর শহরে ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে হঠাৎ করে ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে গেলেও এলাকাভিত্তিক সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রতিরোধের চেষ্টা করছে কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।
পুলিশ ও র্যাবের সূত্রমতে, ভৈরবে ছিনতাই যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। মাসে ঘটছে অর্ধশতাধিক ঘটনা। সব ঘটনা আবার জানাজানিও হয় না। ভৈরবের ২০টি স্পট এখন ছিনতাইকারীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। আতঙ্ক বেড়েছে পথচারীদের মনে। আগে রাতে ছিনতাই হলেও এখন দিন দুপুরেই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। পৌর শহরের অনেক স্থানেই লোক চলাচল কমে গেছে। ভয় আর অনিশ্চয়তার মধ্যে বসবাস করছেন এখানকার বাসিন্দারা। বিশেষ করে একটু রাত করে যাদের বাড়ি ফিরতে হয়, তারা ভোগেন ভীষণ টেনশনে। পুলিশ বলছে, সেনা, র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযান চলছে পুরো ভৈরব শহরে। এর মধ্যে গত তিন দিনে ৪৬ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যাচ্ছে না।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ভৈরবে দুই শতাধিক ছিনতাইকারীর উপদ্রবে অতিষ্ট জনগণ। ছিনতাইকারীদের আক্রমণের শিকার হয়ে গত কয়েক বছরে নিহত হয়েছেন তৎকালীন ভৈরব থানার একজন এসআই ও ব্রীজ ঘাটের এসএসএফ কনস্টেবল। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে নিহত হয়েছেন একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবি পলাশসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার আরো বেশ কয়েকজন। ছিনতাইকারীদের হাতে গুরুতর জখমও হয়েছেন অনেকে। ভৈরব উপজেলাকে ছিনতাই মুক্ত করতে প্রশাসনের জোরদার পদক্ষেপ কামনা করছেন সাধারণ মানুষ। গত ২ মাসে অন্তত ২শ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন এবং বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বললেন ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী। চুরি-ছিনতাই রোধ করতে হলে প্রশাসনকে এলাকাবাসীরও সহযোগিতা করতে হবে।
ভৈরব থানা, ভৈরব শহর পুলিশ ফাঁড়ি, ভৈরব হাইওয়ে থানা, ভৈরব জলথানা, ভৈরব রেলওয়ে থানা, র?্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্প, সেনা ক্যাম্প ও সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয় থাকার পরও ঘটেই চলেছে একের পর এক ছিনতাইয়ের ঘটনা। ব্যাপক হারে বেড়েছে ছিনতাইকারীদের উপদ্রব। মানুষের মনে সারাক্ষণ বিরাজ করে ছিনতাই আতঙ্ক। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র বন্দরনগরী ভৈরব বাজার। এক সময়ের ব্যবসা বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র বন্দরনগরী ভৈরব এখন পরিণত হয়েছে ছিনতাইয়ের নগরীতে। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল থাকায় মালামাল পরিবহণ ও অসংখ্য যাত্রীদের চলাচল এই উপজেলায়। অথচ ভৈরব থেকে যাতায়াতকালেই পড়তে হচ্ছে ছিনতাইকারীদের খপ্পড়ে। তাদের হাতে আক্রমনের শিকার হয়ে মালামাল রক্ষা করতে গিয়ে অকালে হারিয়েছে মূল্যবান প্রাণ। কেউবা হয়েছে গুরুতর জখমী। রেল স্টেশন রোডের পলাশের মোড় থেকে পৌর কবরস্থান, নাটাল মোড় থেকে ফেরিঘাট, রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয় থেকে রেলওয়ে কলোনী মন্দির, মেঘনা ডিপো ঘাট থেকে মনামরা ব্রীজ, ভৈরব বাজারের হলুদপট্টি থেকে লালপুর ঘাট, উপজেলা পরিষদ থেকে শম্ভুপুর রেল গেইট, শহীদ আইভি রহমান পৌর স্টেডিয়াম থেকে চ-িবের শহীদ আইভি রহমান চত্বর, পুলতাকান্দি হতে বাশঁগাড়ি সড়ককে ছিনতাইয়ের নিরাপদ স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছে ছিনতাইকারীরা। যদিও ছিনতাইকারীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েও পুলিশি হয়রানির ভয়ে অধিকাংশ মানুষ থানায় অভিযোগ করেন না। গত কয়েক মাস ধরে ছিনতাইকারীদের এমন দৌরাত্ম বেড়ে যাওয়ায় ছিনতাই আতঙ্কে এখন উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ। ভৈরবকে ছিনতাইমুক্ত শহর করতে প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃৃন্দ। এছাড়া শাড়ি, চুড়ি নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় যুব সমাজের নেতৃবৃন্দ।
স্থানীয়রা জানান, আগে রাতে ছিনতাই হলেও এখন দিনে দুপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। এতে করে রাস্তায় চলাচল করা দূর-দূরান্ত থেকে আগত যাত্রী, ব্যবসায়ী ও স্থানীয় জনগণ আতঙ্কে রয়েছে।
রিকশাচালক জাহাঙ্গির মিয়া বলেন, আগে রাতেও ভাড়া মারতাম। ছিনতাইকারীদের ভয়ে এখন সন্ধ্যা হলেই রিকশা চালানো বাদ দেই। বেশি টাকা না থাকলে ছিনতাইকারীরা মারধর করে আবার গাড়ির ব্যাটারীও খুলে নিয়ে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেঘনা ডিপো ঘাট এলাকার কয়েকজন বলেন, আমাদের ব্রীজ ঘাট এলাকাটি একটি দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনই এখানে শত শত দর্শনার্থী প্রকৃতিকে অনুভব করতে আসেন। আমরা প্রায় দেখি ছিনতাইকারীরা দর্শনার্থীদের আটকিয়ে তাদের সাথে থাকা মোবাইল, টাকা পয়সা নিয়ে যায়। নিজেদের উপর ঝুঁকি মনে করে প্রতিবাদ করতে সাহস পাইনা। আগে এখানে ডিউটির পুলিশ থাকতো এখন নেই। পুলিশ থাকলে জায়গাটা দর্শনার্থীরা নিরাপদ থাকতো। আমরা আশা করব প্রশাসন যেন এখানে নিয়মিত পুলিশের ডিউটি দেয়।
এ বিষয়ে ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানি বলেন, আল্টিমেটাম আমার জন্য মুখ্য বিষয় না। ছাত্র ও যুব সমাজের ৩ দিনের আল্টিমেটামের আগে ১ সপ্তাহে ৩১ জন ছিনতাইকারী কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছিল। ওই ছিনতাইকারীরা সহজেই জামিনে বেরিয়ে আসে। এছাড়া ছিনতাইয়ের বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ বেশি করে। আমরা চাই অভিযোগকারীররা লিখিত অভিযোগ করুক। আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারবো। ২ আগস্ট দিবাগত রাত থেকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন মামলার আসামি ও ছিনতাইকারীসহ ৪৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। এদের মধ্যে ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি, মাদককারবারি, মাদকসেবী ও চিহ্নিত ছিনতাইকারী রয়েছে। ২ আগস্ট শনিবার স্টেশন এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনায় ১ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা তাকে রিমান্ডে এনে ছিনতাই হওয়া জিনিসপত্র উদ্ধারের চেষ্টা করছি। মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে আটককৃত ছিনতাইকারীদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নিয়মিত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫
২৪’শের আগস্টের পর ভৈরব পৌর শহরে ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে হঠাৎ করে ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে গেলেও এলাকাভিত্তিক সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রতিরোধের চেষ্টা করছে কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।
পুলিশ ও র্যাবের সূত্রমতে, ভৈরবে ছিনতাই যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। মাসে ঘটছে অর্ধশতাধিক ঘটনা। সব ঘটনা আবার জানাজানিও হয় না। ভৈরবের ২০টি স্পট এখন ছিনতাইকারীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। আতঙ্ক বেড়েছে পথচারীদের মনে। আগে রাতে ছিনতাই হলেও এখন দিন দুপুরেই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। পৌর শহরের অনেক স্থানেই লোক চলাচল কমে গেছে। ভয় আর অনিশ্চয়তার মধ্যে বসবাস করছেন এখানকার বাসিন্দারা। বিশেষ করে একটু রাত করে যাদের বাড়ি ফিরতে হয়, তারা ভোগেন ভীষণ টেনশনে। পুলিশ বলছে, সেনা, র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযান চলছে পুরো ভৈরব শহরে। এর মধ্যে গত তিন দিনে ৪৬ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যাচ্ছে না।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ভৈরবে দুই শতাধিক ছিনতাইকারীর উপদ্রবে অতিষ্ট জনগণ। ছিনতাইকারীদের আক্রমণের শিকার হয়ে গত কয়েক বছরে নিহত হয়েছেন তৎকালীন ভৈরব থানার একজন এসআই ও ব্রীজ ঘাটের এসএসএফ কনস্টেবল। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে নিহত হয়েছেন একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবি পলাশসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার আরো বেশ কয়েকজন। ছিনতাইকারীদের হাতে গুরুতর জখমও হয়েছেন অনেকে। ভৈরব উপজেলাকে ছিনতাই মুক্ত করতে প্রশাসনের জোরদার পদক্ষেপ কামনা করছেন সাধারণ মানুষ। গত ২ মাসে অন্তত ২শ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন এবং বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বললেন ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী। চুরি-ছিনতাই রোধ করতে হলে প্রশাসনকে এলাকাবাসীরও সহযোগিতা করতে হবে।
ভৈরব থানা, ভৈরব শহর পুলিশ ফাঁড়ি, ভৈরব হাইওয়ে থানা, ভৈরব জলথানা, ভৈরব রেলওয়ে থানা, র?্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্প, সেনা ক্যাম্প ও সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয় থাকার পরও ঘটেই চলেছে একের পর এক ছিনতাইয়ের ঘটনা। ব্যাপক হারে বেড়েছে ছিনতাইকারীদের উপদ্রব। মানুষের মনে সারাক্ষণ বিরাজ করে ছিনতাই আতঙ্ক। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র বন্দরনগরী ভৈরব বাজার। এক সময়ের ব্যবসা বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র বন্দরনগরী ভৈরব এখন পরিণত হয়েছে ছিনতাইয়ের নগরীতে। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল থাকায় মালামাল পরিবহণ ও অসংখ্য যাত্রীদের চলাচল এই উপজেলায়। অথচ ভৈরব থেকে যাতায়াতকালেই পড়তে হচ্ছে ছিনতাইকারীদের খপ্পড়ে। তাদের হাতে আক্রমনের শিকার হয়ে মালামাল রক্ষা করতে গিয়ে অকালে হারিয়েছে মূল্যবান প্রাণ। কেউবা হয়েছে গুরুতর জখমী। রেল স্টেশন রোডের পলাশের মোড় থেকে পৌর কবরস্থান, নাটাল মোড় থেকে ফেরিঘাট, রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয় থেকে রেলওয়ে কলোনী মন্দির, মেঘনা ডিপো ঘাট থেকে মনামরা ব্রীজ, ভৈরব বাজারের হলুদপট্টি থেকে লালপুর ঘাট, উপজেলা পরিষদ থেকে শম্ভুপুর রেল গেইট, শহীদ আইভি রহমান পৌর স্টেডিয়াম থেকে চ-িবের শহীদ আইভি রহমান চত্বর, পুলতাকান্দি হতে বাশঁগাড়ি সড়ককে ছিনতাইয়ের নিরাপদ স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছে ছিনতাইকারীরা। যদিও ছিনতাইকারীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েও পুলিশি হয়রানির ভয়ে অধিকাংশ মানুষ থানায় অভিযোগ করেন না। গত কয়েক মাস ধরে ছিনতাইকারীদের এমন দৌরাত্ম বেড়ে যাওয়ায় ছিনতাই আতঙ্কে এখন উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ। ভৈরবকে ছিনতাইমুক্ত শহর করতে প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃৃন্দ। এছাড়া শাড়ি, চুড়ি নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় যুব সমাজের নেতৃবৃন্দ।
স্থানীয়রা জানান, আগে রাতে ছিনতাই হলেও এখন দিনে দুপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। এতে করে রাস্তায় চলাচল করা দূর-দূরান্ত থেকে আগত যাত্রী, ব্যবসায়ী ও স্থানীয় জনগণ আতঙ্কে রয়েছে।
রিকশাচালক জাহাঙ্গির মিয়া বলেন, আগে রাতেও ভাড়া মারতাম। ছিনতাইকারীদের ভয়ে এখন সন্ধ্যা হলেই রিকশা চালানো বাদ দেই। বেশি টাকা না থাকলে ছিনতাইকারীরা মারধর করে আবার গাড়ির ব্যাটারীও খুলে নিয়ে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেঘনা ডিপো ঘাট এলাকার কয়েকজন বলেন, আমাদের ব্রীজ ঘাট এলাকাটি একটি দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনই এখানে শত শত দর্শনার্থী প্রকৃতিকে অনুভব করতে আসেন। আমরা প্রায় দেখি ছিনতাইকারীরা দর্শনার্থীদের আটকিয়ে তাদের সাথে থাকা মোবাইল, টাকা পয়সা নিয়ে যায়। নিজেদের উপর ঝুঁকি মনে করে প্রতিবাদ করতে সাহস পাইনা। আগে এখানে ডিউটির পুলিশ থাকতো এখন নেই। পুলিশ থাকলে জায়গাটা দর্শনার্থীরা নিরাপদ থাকতো। আমরা আশা করব প্রশাসন যেন এখানে নিয়মিত পুলিশের ডিউটি দেয়।
এ বিষয়ে ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানি বলেন, আল্টিমেটাম আমার জন্য মুখ্য বিষয় না। ছাত্র ও যুব সমাজের ৩ দিনের আল্টিমেটামের আগে ১ সপ্তাহে ৩১ জন ছিনতাইকারী কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছিল। ওই ছিনতাইকারীরা সহজেই জামিনে বেরিয়ে আসে। এছাড়া ছিনতাইয়ের বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ বেশি করে। আমরা চাই অভিযোগকারীররা লিখিত অভিযোগ করুক। আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারবো। ২ আগস্ট দিবাগত রাত থেকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন মামলার আসামি ও ছিনতাইকারীসহ ৪৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। এদের মধ্যে ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি, মাদককারবারি, মাদকসেবী ও চিহ্নিত ছিনতাইকারী রয়েছে। ২ আগস্ট শনিবার স্টেশন এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনায় ১ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা তাকে রিমান্ডে এনে ছিনতাই হওয়া জিনিসপত্র উদ্ধারের চেষ্টা করছি। মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে আটককৃত ছিনতাইকারীদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নিয়মিত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।