ভারত থেকে অবৈধভাবে আনা কোটি টাকার প্রসাধনী কার্টন ও তেরপালের নিচে লুকিয়ে পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ করেছে মৌলভীবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ একটি ট্রাক থেকে ৭৩ লক্ষাধিক টাকার চোরাই প্রসাধনী পণ্য জব্দ করেছে। এ সময় ট্রাকচালককে আটক করা হয়। শুক্রবার,(৮ আগস্ট ২০২৫) বিকেলে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং এসব তথ্য জানানো হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার একাটুনা ইউনিয়নের তালতলা (রায়শ্রী) এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে ট্রাকটি সিলেটের চালিবন্দর এলাকা থেকে ফেঞ্চুগঞ্জ-রাজনগর হয়ে মৌলভীবাজারে প্রবেশ করছিল। জব্দ পণ্য: কোটি টাকার মলম-ক্রীম:
তল্লাশিতে উদ্ধার করা হয়: স্কিনব্রাইট ক্রিম ৫,১৮৪ পিস, স্কিনশাইন ক্রিম ৬০০ পিস, এলোসোন-এইচটি ক্রিম ৪,৮০০ পিস, ডেরোবিন মলম ৪,৫০০ পিস, মেলনর ক্রিম ৫,৭৬০ পিস, ক্লপ-জি ক্রিম ২৩,৬৬০ পিস, পভতঞ্জলি অ্যালোভেরা জেল ২৮৮ পিস। এছাড়াও ট্রাকের ভেতর পাওয়া যায় ৩০০ কেজি খালি কার্টুন ও একটি নীল তেরপাল। যেগুলোর মাধ্যমে মালপত্র ঢেকে পাচার করা হচ্ছিল। পুলিশ জানায়, এসব চোরাই পণ্যের আনুমানিক বাজারমূল্য দাঁড়ায় ৭৩ লাখ ৪৮ হাজার ৮২০ টাকা।অভিযানটি পরিচালনা করেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (নিঃ) সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য্য, এসআই (নিঃ) হীরক চক্রবর্তী, এএসআই (নিঃ) মোঃ আবুল ভাসানী, কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম ও কাজল রাজবংশী। আটক চালক ও পাচার চক্রের কাহিনি: আটক ব্যক্তির নাম মোঃ লালন মিয়া (২৮), গ্রামের বাড়ি রাজনগরের মুটুকপুর গ্রামে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে, ভারতীয় চোরাই পণ্য পরিবহনের সঙ্গে সে জড়িত এবং এসব পণ্য সে রুবেল মিয়া নামের এক পলাতক চোরাকারবারির নির্দেশে বহন করছিল। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, রুবেল মিয়া সিলেটের চালিবন্দর এলাকায় ভাঙারির দোকানের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় চোরাই পণ্য পাচারের সঙ্গে জড়িত। কার্টন ও তেরপাল ব্যবহার করে তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি দিতে চাইত।
গ্রেফতারকৃত লালন মিয়াসহ আরও ২/৩ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪-এর ২৫-বি ও ২৫-ডি ধারায় মৌলভীবাজার মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার, ০৮ আগস্ট ২০২৫
ভারত থেকে অবৈধভাবে আনা কোটি টাকার প্রসাধনী কার্টন ও তেরপালের নিচে লুকিয়ে পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ করেছে মৌলভীবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ একটি ট্রাক থেকে ৭৩ লক্ষাধিক টাকার চোরাই প্রসাধনী পণ্য জব্দ করেছে। এ সময় ট্রাকচালককে আটক করা হয়। শুক্রবার,(৮ আগস্ট ২০২৫) বিকেলে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং এসব তথ্য জানানো হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার একাটুনা ইউনিয়নের তালতলা (রায়শ্রী) এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে ট্রাকটি সিলেটের চালিবন্দর এলাকা থেকে ফেঞ্চুগঞ্জ-রাজনগর হয়ে মৌলভীবাজারে প্রবেশ করছিল। জব্দ পণ্য: কোটি টাকার মলম-ক্রীম:
তল্লাশিতে উদ্ধার করা হয়: স্কিনব্রাইট ক্রিম ৫,১৮৪ পিস, স্কিনশাইন ক্রিম ৬০০ পিস, এলোসোন-এইচটি ক্রিম ৪,৮০০ পিস, ডেরোবিন মলম ৪,৫০০ পিস, মেলনর ক্রিম ৫,৭৬০ পিস, ক্লপ-জি ক্রিম ২৩,৬৬০ পিস, পভতঞ্জলি অ্যালোভেরা জেল ২৮৮ পিস। এছাড়াও ট্রাকের ভেতর পাওয়া যায় ৩০০ কেজি খালি কার্টুন ও একটি নীল তেরপাল। যেগুলোর মাধ্যমে মালপত্র ঢেকে পাচার করা হচ্ছিল। পুলিশ জানায়, এসব চোরাই পণ্যের আনুমানিক বাজারমূল্য দাঁড়ায় ৭৩ লাখ ৪৮ হাজার ৮২০ টাকা।অভিযানটি পরিচালনা করেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (নিঃ) সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য্য, এসআই (নিঃ) হীরক চক্রবর্তী, এএসআই (নিঃ) মোঃ আবুল ভাসানী, কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম ও কাজল রাজবংশী। আটক চালক ও পাচার চক্রের কাহিনি: আটক ব্যক্তির নাম মোঃ লালন মিয়া (২৮), গ্রামের বাড়ি রাজনগরের মুটুকপুর গ্রামে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে, ভারতীয় চোরাই পণ্য পরিবহনের সঙ্গে সে জড়িত এবং এসব পণ্য সে রুবেল মিয়া নামের এক পলাতক চোরাকারবারির নির্দেশে বহন করছিল। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, রুবেল মিয়া সিলেটের চালিবন্দর এলাকায় ভাঙারির দোকানের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় চোরাই পণ্য পাচারের সঙ্গে জড়িত। কার্টন ও তেরপাল ব্যবহার করে তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি দিতে চাইত।
গ্রেফতারকৃত লালন মিয়াসহ আরও ২/৩ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪-এর ২৫-বি ও ২৫-ডি ধারায় মৌলভীবাজার মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।