পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে বিরল প্রজাতির একটি বাদুর মাছ। সচরাচর এই মাছটি দেখা যায় না। সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরের চর বিজয় সংলগ্ন সাগরে এ মাছটি ধরা পড়ে। শুক্রবার দুপুরে মাছটি মহিপুরের একটি মৎস্য আড়তে বিক্রির জন্য নিয়ে আসলে মাছটি স্থানীয় এক ব্যবসায়ী কিনে ঢাকায় চালান করেন। এসময় মাছটিকে এক নজর দেখতে উৎসুক জনতা ভীড় জমায় মৎস্য আড়তে।
বাদুরের মতো দেখতে হলেও এই মাছের প্রকৃত নাম লম্বা লেজী পাপড়ি। আর বৈজ্ঞানিক নাম রিহপনোপেটরা জাভানিকা। স্থানীয়দের কাছে এ কলা বাদুর মাছ নামেও পরিচিত।
জেলেরা জানান, মাছটির ওজন ২০ কেজি। এটির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ১ ফুট করে। তবে এই মাছটির লেজ প্রায় ২ ফুট লম্বা। এলাকায় এ মাছের তেমন চাহিদা নেই।
এক জেলে জানান, গত ৫ দিন আগে ইলিশ শিকারের জন্য সাগরে যাই। ভালো পরিমাণে ইলিশের পাশাপাশি একটি বাদুর মাছও পেয়েছি। তবে আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় রাতে ঘাটে চলে আসি। সকালে মাছটি বিক্রির জন্য মহিপুরের একটি আড়তে নিয়ে আসি। মাছটির ওজন ২০ কেজি হলেও তেমন দাম পাইনি। ২৫০ টাকা কেজি দরে মাছটি ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি।
বাদুর মাছ ক্রেতা সরোয়ার জানান, সাধারণত এই মাছগুলো আড়তে দেখা যায় না। এ কারণে তেমন চাহিদা নেই। মাছটি দুপুরের দিকে কিনেই ঢাকায় পাঠিয়ে দিয়েছি।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, এই মাছটি শাপলাপাতা মাছের একটি প্রজাতি। মাছটি ধরা ও বিক্রি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ মাছ ধরার বিষয়ে আমরা বেশ কয়েকবার জেলেদের সচেতন করেছি।
শনিবার, ০৯ আগস্ট ২০২৫
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে বিরল প্রজাতির একটি বাদুর মাছ। সচরাচর এই মাছটি দেখা যায় না। সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরের চর বিজয় সংলগ্ন সাগরে এ মাছটি ধরা পড়ে। শুক্রবার দুপুরে মাছটি মহিপুরের একটি মৎস্য আড়তে বিক্রির জন্য নিয়ে আসলে মাছটি স্থানীয় এক ব্যবসায়ী কিনে ঢাকায় চালান করেন। এসময় মাছটিকে এক নজর দেখতে উৎসুক জনতা ভীড় জমায় মৎস্য আড়তে।
বাদুরের মতো দেখতে হলেও এই মাছের প্রকৃত নাম লম্বা লেজী পাপড়ি। আর বৈজ্ঞানিক নাম রিহপনোপেটরা জাভানিকা। স্থানীয়দের কাছে এ কলা বাদুর মাছ নামেও পরিচিত।
জেলেরা জানান, মাছটির ওজন ২০ কেজি। এটির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ১ ফুট করে। তবে এই মাছটির লেজ প্রায় ২ ফুট লম্বা। এলাকায় এ মাছের তেমন চাহিদা নেই।
এক জেলে জানান, গত ৫ দিন আগে ইলিশ শিকারের জন্য সাগরে যাই। ভালো পরিমাণে ইলিশের পাশাপাশি একটি বাদুর মাছও পেয়েছি। তবে আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় রাতে ঘাটে চলে আসি। সকালে মাছটি বিক্রির জন্য মহিপুরের একটি আড়তে নিয়ে আসি। মাছটির ওজন ২০ কেজি হলেও তেমন দাম পাইনি। ২৫০ টাকা কেজি দরে মাছটি ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি।
বাদুর মাছ ক্রেতা সরোয়ার জানান, সাধারণত এই মাছগুলো আড়তে দেখা যায় না। এ কারণে তেমন চাহিদা নেই। মাছটি দুপুরের দিকে কিনেই ঢাকায় পাঠিয়ে দিয়েছি।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, এই মাছটি শাপলাপাতা মাছের একটি প্রজাতি। মাছটি ধরা ও বিক্রি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ মাছ ধরার বিষয়ে আমরা বেশ কয়েকবার জেলেদের সচেতন করেছি।