মীরসরাই (চট্টগ্রাম) : গুরুত্বপূর্ণ লোকালয় হলেও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেই ডাক্তার ও ওষুধ -সংবাদ
মীরসরাই উপজেলার কয়েকটি উপজেলার চতূর্মুখী জনবহুল জনপদ আবুতোরাব স্বাস্থ্য কেন্দ্র, জনগুরুত্বপূর্ণ লোকালয় হলে ও এখানে নেই এখন স্বাস্থ্য সেবা। কয়েক মাস আগে ও সপ্তাহে দু- একদিন অন্ত:ত একজন চিকিৎসক আসতেন। এখন তা ও আসেন না। যেটি এখন নিয়মিতই বন্ধ থাকে। ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করলো এলাকাবাসী।
মীরসরাই উপজেলার প্রায় ৫ লক্ষ জনগনের মধ্যে লক্ষ প্রায় জনসংখ্যার জনবহুল জনপদ মীরসরাই উপজেলার আবুতোরাব এলাকা। মায়ানী, মঘাদিয়া, পশ্চিম খৈয়াছরা, উত্তর হাইতকান্দি এবং সাহেরখালী এলাকার একাংশ মিলে ৫ টি ইউনিয়নের জনগনের মিলনমেলা ও জন মোহনা এই প্রাচীণ বৃহত্তম বাজারটি। এই বাজারের প্রাণকেন্দ্রেই স্বাধীনতার পরবর্তি সময়েই নির্মিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি অবস্থিত। গেল বছর ও এই স্বাস্থকেন্দ্রে নিয়মিত কখনো অনিয়মিত পরবর্তিতে সপ্তাহে অন্ত:ত দুদিন করে ডাক্তার বসতেন। আবার ছিল স্বাস্থ্য সহকারি এবং ফার্মাসিষ্ট। সাধারন মানুষের ছেটাখাটো অসুখ বিসুখে ভরসার ঠিকানা ছিল এটি। কিন্তু গত প্রায় ৬ মাস ধরে এখানে এখন আর কোন ডাক্তার আসছে না। সপ্তাহে একদিন ও বসছে না স্বাস্থ্য সহকারি বা ফার্মাসিষ্ট। সম্প্রতি সরেজমিনে গেলে দেখা যায় সাপ্তাহিক খোলার দিন দিনে দুপুওে ও দরজা জানালা সব বন্ধ। তবে সামনের দরজার পাশে কিছু টিকার বাক্স পড়ে আছে। তা ও এসব বাক্স কে কার কোথায় যাবে অনেকক্ষন অপেক্ষা করার পর ও তার হদিস পাওয়া গেল না। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনের রাস্থার পাশে বসে থাকা ভ্যানচালক সরকারটোলা গ্রামের মাহফুজ ( ৪২) ও রাম দাস ( ৪৮) বললেন এই হাসপাতাল তো এখন খোলেই না। কদিন আগে সপ্তাহে একদিন খুলতো। এখন তা ও খুলছে না। পাশ^বর্তি জনৈক ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন ( ৫২) বলেন এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে গত ৬ মাস আগে ও সপ্তাহে একদিন ডাক্তার আসতো, আবার এলাকার দু:স্থ মানুষ ঔষধ সংগ্রহ করতো। পূর্বের অভ্যেসে অনেক রোগী এখনো এখানে চিকিৎসা নিতে আসে কিন্তু এসে দরজা জানালা বন্ধ দেখে পাশে বানিজ্যিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতেই যেতে হয়। যেখানে টাকা টাকা ছাড়া মিলে না কোন পরামর্শ বা ঔষধ।
এই বিষয়ে মীরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: মিনহাজুর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এই স্বাস্থ্যটি সত্যিই খুব গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা কেন্দ্র । গত কয়েক মাস পূর্বে এখানে সপ্তাহে একদিন করে ডাক্তার আসতো বলে তিনি স্বীকার করেন। তবে এখন বেশ কিছু ডাক্তারের পদ শূন্য হয়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়ার চেষ্টা করে ও ম্যানেজ করতে পারছি না। তিনি আরো বলেন এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি আবার শীঘ্রই ২ তলা বিশিষ্ট একটি আধুনিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রুপান্তরিত করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ শীঘ্রই এর পূননির্মান কাজ শুরু করার কথা রয়েছে। বর্তমানে জরাজীর্ণ পরিবেশে ডাক্তার বসার পরিবেশ না থাকায় ও প্রতিকূলতা রয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন মীরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ৩৩ জন ডাক্তারের পদ থাকা স্বত্বে ও আছে বর্তমানে ১৭ জন। তবুও আমরা ৫জনকে বিভিন্ন এলাকায় অতিরিক্ত দায়িত্বে রাখতে হয়েছে যার সিডিউল সবসময় সবাই রাখতে পারছে না স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে বসার পরিবেশ ও না থাকায়। তবে নতুন ভবন ও নতুন পরিবেশ ফিরলেই এই আবুতোরাব স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি নতুন রুপে প্রাণ ফিরে পাবে এমন প্রত্যশা ব্যক্ত করেন তিনি।
মীরসরাই (চট্টগ্রাম) : গুরুত্বপূর্ণ লোকালয় হলেও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেই ডাক্তার ও ওষুধ -সংবাদ
শনিবার, ০৯ আগস্ট ২০২৫
মীরসরাই উপজেলার কয়েকটি উপজেলার চতূর্মুখী জনবহুল জনপদ আবুতোরাব স্বাস্থ্য কেন্দ্র, জনগুরুত্বপূর্ণ লোকালয় হলে ও এখানে নেই এখন স্বাস্থ্য সেবা। কয়েক মাস আগে ও সপ্তাহে দু- একদিন অন্ত:ত একজন চিকিৎসক আসতেন। এখন তা ও আসেন না। যেটি এখন নিয়মিতই বন্ধ থাকে। ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করলো এলাকাবাসী।
মীরসরাই উপজেলার প্রায় ৫ লক্ষ জনগনের মধ্যে লক্ষ প্রায় জনসংখ্যার জনবহুল জনপদ মীরসরাই উপজেলার আবুতোরাব এলাকা। মায়ানী, মঘাদিয়া, পশ্চিম খৈয়াছরা, উত্তর হাইতকান্দি এবং সাহেরখালী এলাকার একাংশ মিলে ৫ টি ইউনিয়নের জনগনের মিলনমেলা ও জন মোহনা এই প্রাচীণ বৃহত্তম বাজারটি। এই বাজারের প্রাণকেন্দ্রেই স্বাধীনতার পরবর্তি সময়েই নির্মিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি অবস্থিত। গেল বছর ও এই স্বাস্থকেন্দ্রে নিয়মিত কখনো অনিয়মিত পরবর্তিতে সপ্তাহে অন্ত:ত দুদিন করে ডাক্তার বসতেন। আবার ছিল স্বাস্থ্য সহকারি এবং ফার্মাসিষ্ট। সাধারন মানুষের ছেটাখাটো অসুখ বিসুখে ভরসার ঠিকানা ছিল এটি। কিন্তু গত প্রায় ৬ মাস ধরে এখানে এখন আর কোন ডাক্তার আসছে না। সপ্তাহে একদিন ও বসছে না স্বাস্থ্য সহকারি বা ফার্মাসিষ্ট। সম্প্রতি সরেজমিনে গেলে দেখা যায় সাপ্তাহিক খোলার দিন দিনে দুপুওে ও দরজা জানালা সব বন্ধ। তবে সামনের দরজার পাশে কিছু টিকার বাক্স পড়ে আছে। তা ও এসব বাক্স কে কার কোথায় যাবে অনেকক্ষন অপেক্ষা করার পর ও তার হদিস পাওয়া গেল না। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনের রাস্থার পাশে বসে থাকা ভ্যানচালক সরকারটোলা গ্রামের মাহফুজ ( ৪২) ও রাম দাস ( ৪৮) বললেন এই হাসপাতাল তো এখন খোলেই না। কদিন আগে সপ্তাহে একদিন খুলতো। এখন তা ও খুলছে না। পাশ^বর্তি জনৈক ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন ( ৫২) বলেন এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে গত ৬ মাস আগে ও সপ্তাহে একদিন ডাক্তার আসতো, আবার এলাকার দু:স্থ মানুষ ঔষধ সংগ্রহ করতো। পূর্বের অভ্যেসে অনেক রোগী এখনো এখানে চিকিৎসা নিতে আসে কিন্তু এসে দরজা জানালা বন্ধ দেখে পাশে বানিজ্যিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতেই যেতে হয়। যেখানে টাকা টাকা ছাড়া মিলে না কোন পরামর্শ বা ঔষধ।
এই বিষয়ে মীরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: মিনহাজুর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এই স্বাস্থ্যটি সত্যিই খুব গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা কেন্দ্র । গত কয়েক মাস পূর্বে এখানে সপ্তাহে একদিন করে ডাক্তার আসতো বলে তিনি স্বীকার করেন। তবে এখন বেশ কিছু ডাক্তারের পদ শূন্য হয়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়ার চেষ্টা করে ও ম্যানেজ করতে পারছি না। তিনি আরো বলেন এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি আবার শীঘ্রই ২ তলা বিশিষ্ট একটি আধুনিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রুপান্তরিত করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ শীঘ্রই এর পূননির্মান কাজ শুরু করার কথা রয়েছে। বর্তমানে জরাজীর্ণ পরিবেশে ডাক্তার বসার পরিবেশ না থাকায় ও প্রতিকূলতা রয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন মীরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ৩৩ জন ডাক্তারের পদ থাকা স্বত্বে ও আছে বর্তমানে ১৭ জন। তবুও আমরা ৫জনকে বিভিন্ন এলাকায় অতিরিক্ত দায়িত্বে রাখতে হয়েছে যার সিডিউল সবসময় সবাই রাখতে পারছে না স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে বসার পরিবেশ ও না থাকায়। তবে নতুন ভবন ও নতুন পরিবেশ ফিরলেই এই আবুতোরাব স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি নতুন রুপে প্রাণ ফিরে পাবে এমন প্রত্যশা ব্যক্ত করেন তিনি।