অনলাইন থেকে সংগৃহীত - সংবাদ
রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশের সাবেক কমিশনার আব্দুল আলীম মাহমুদের প্রভাব খাটিয়ে তার ভাগনি জামাইয়ের বিরুদ্ধে জমি ও বসতবাড়ি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে রংপুর নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন ভুক্তভোগি মশিউর রহমান। উপস্থিত ছিলিন তার স্ত্রী, কন্যা ও শাশুড়িসহ স্বজনরা।
সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে মশিউর রহমান জানান, মোট ১৮ শতক জমির মালিকানা প্রাপ্ত হয়ে সেখানে বসতবাড়ি ও দোকানঘর নির্মাণ করে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছি। আওয়ামী লীগ আমলে ২০১৯ তৎকালীন পুলিশ কমিশনার আবদুল আলীমের ভাগনি জামাই আকিফুল ইসলাম ওরফে টুটুল ২০ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম ও তার বাহিনীর শতাধিক সন্ত্রাসী নিয়ে আমার বসতবাড়ি ও দোকানপাট দখল করে পরিবার পরিজনসহ আমাদের বসতবাড়ি থেকে বের করে দেয়। শুধু তাই নয়। ওই সময় আমি কোতোয়ালি থানায় মামলা করলেও তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন কোতোয়ালি থানার এসআই এরশাদ আমাকে থানায় তুলে নিয়ে নিয়ে গিয়ে মামলার নিস্পত্তি করতে সাদা কাগজে জোড়পূর্বক স্বাক্ষর নেয়। এসব বিষয় নিয়ে টেলিভিশন এবং অনলাইন ও পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়।
তিনি অভিযোগ করেন আকিফুল আমার বসতবাড়ি ও দোকানপাট পুলিশের সহযোগিতায় আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের দিয়ে দখল করার পর ১২-১২-২০১৯ তারিখে ওই জমি ক্রয় দেখিয়ে একটি দলিল ভুয়া দলিল নং ২০৬৬৮ নং সৃষ্টি করে। বিষয়টি জানতে পেরে আমি যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে ওই ভুয়া দলিল বাতিল চেয়ে মামলা করি। ওই মামলায় আদালত ভুয়া দলিল বাতিল ও জবরদখলকৃত আকিফুলকে উচ্ছেদ করা মর্মে রায় দেন।
আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে আমি পরিবার আমার পৈত্রিক সম্পত্তিতে বসবাস শুরু করি। আকিফুল তার পুলিশ শ্বশুরের প্রভাব খাটিয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালায়।
তিনি অভিযোগ করেন গত ২ আগস্ট যখন তারা আমার বসতবাড়ি দখল করার জন্য আসে। তখন পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের দুই পক্ষের কাছ থেকে চাবি নিয়ে রাখেন। কিন্তু থানার তদন্ত কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান আকিফুল সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার ভাগনি জামাই হওয়ায় তার পক্ষ নেন এবং চাবি আকিফুলকে দিয়ে দেন।
তিনি বলেন, আমি যখন সংবাদ সম্মেলন করছি তখন গতকাল শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় আকিফুল সন্ত্রাসীদের দিয়ে আবারও আমার দেয়াল ভেঙে দিয়েছে। বিষয়টি পুলিশকে জানালেও পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়নি এবং তারা নানা ধরনের মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আকিফুল ইসলাম ওরফে টুটুল জানান, রংপুর মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ আব্দুল আলীম মাহমুদ আমার দূর সম্পর্কের আত্মীয়। আমি আমার নিজের পরিচয়ে চলি। তাকে ভাঙিয়ে আমি চলি না। ওই জমি আমি নিজের টাকায় ক্রয় করেছি। আমি এসআই শাহিনুরকে চিনি না।
এ ব্যাপারে সাবেক রংপুর পুলিশ কমিশনার ড. মুহাম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদ জানান, আমি কখনই কোনো অন্যায় করিনি। অন্যায়কে প্রশ্রয় দেইনি। আকিফুলের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে অভিযোগ ওঠার পর তার সঙ্গে আমি কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছি। তিনি বলেন আমি এখন নিজেই ওএসডি। আমি কখনই প্রভাব বিস্তার করিনি।
এ ব্যাপারে রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী জানান, পুলিশিং কিংবা কোনো দলের ক্ষমতা ব্যবহার করে জমিদখলসহ কোন অপরাধের সুযোগ নেই। বিষয়টি ওসিকে জানানো হয়েছে এবং প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
অনলাইন থেকে সংগৃহীত - সংবাদ
শনিবার, ০৯ আগস্ট ২০২৫
রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশের সাবেক কমিশনার আব্দুল আলীম মাহমুদের প্রভাব খাটিয়ে তার ভাগনি জামাইয়ের বিরুদ্ধে জমি ও বসতবাড়ি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে রংপুর নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন ভুক্তভোগি মশিউর রহমান। উপস্থিত ছিলিন তার স্ত্রী, কন্যা ও শাশুড়িসহ স্বজনরা।
সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে মশিউর রহমান জানান, মোট ১৮ শতক জমির মালিকানা প্রাপ্ত হয়ে সেখানে বসতবাড়ি ও দোকানঘর নির্মাণ করে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছি। আওয়ামী লীগ আমলে ২০১৯ তৎকালীন পুলিশ কমিশনার আবদুল আলীমের ভাগনি জামাই আকিফুল ইসলাম ওরফে টুটুল ২০ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম ও তার বাহিনীর শতাধিক সন্ত্রাসী নিয়ে আমার বসতবাড়ি ও দোকানপাট দখল করে পরিবার পরিজনসহ আমাদের বসতবাড়ি থেকে বের করে দেয়। শুধু তাই নয়। ওই সময় আমি কোতোয়ালি থানায় মামলা করলেও তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন কোতোয়ালি থানার এসআই এরশাদ আমাকে থানায় তুলে নিয়ে নিয়ে গিয়ে মামলার নিস্পত্তি করতে সাদা কাগজে জোড়পূর্বক স্বাক্ষর নেয়। এসব বিষয় নিয়ে টেলিভিশন এবং অনলাইন ও পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়।
তিনি অভিযোগ করেন আকিফুল আমার বসতবাড়ি ও দোকানপাট পুলিশের সহযোগিতায় আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের দিয়ে দখল করার পর ১২-১২-২০১৯ তারিখে ওই জমি ক্রয় দেখিয়ে একটি দলিল ভুয়া দলিল নং ২০৬৬৮ নং সৃষ্টি করে। বিষয়টি জানতে পেরে আমি যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে ওই ভুয়া দলিল বাতিল চেয়ে মামলা করি। ওই মামলায় আদালত ভুয়া দলিল বাতিল ও জবরদখলকৃত আকিফুলকে উচ্ছেদ করা মর্মে রায় দেন।
আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে আমি পরিবার আমার পৈত্রিক সম্পত্তিতে বসবাস শুরু করি। আকিফুল তার পুলিশ শ্বশুরের প্রভাব খাটিয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালায়।
তিনি অভিযোগ করেন গত ২ আগস্ট যখন তারা আমার বসতবাড়ি দখল করার জন্য আসে। তখন পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের দুই পক্ষের কাছ থেকে চাবি নিয়ে রাখেন। কিন্তু থানার তদন্ত কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান আকিফুল সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার ভাগনি জামাই হওয়ায় তার পক্ষ নেন এবং চাবি আকিফুলকে দিয়ে দেন।
তিনি বলেন, আমি যখন সংবাদ সম্মেলন করছি তখন গতকাল শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় আকিফুল সন্ত্রাসীদের দিয়ে আবারও আমার দেয়াল ভেঙে দিয়েছে। বিষয়টি পুলিশকে জানালেও পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়নি এবং তারা নানা ধরনের মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আকিফুল ইসলাম ওরফে টুটুল জানান, রংপুর মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ আব্দুল আলীম মাহমুদ আমার দূর সম্পর্কের আত্মীয়। আমি আমার নিজের পরিচয়ে চলি। তাকে ভাঙিয়ে আমি চলি না। ওই জমি আমি নিজের টাকায় ক্রয় করেছি। আমি এসআই শাহিনুরকে চিনি না।
এ ব্যাপারে সাবেক রংপুর পুলিশ কমিশনার ড. মুহাম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদ জানান, আমি কখনই কোনো অন্যায় করিনি। অন্যায়কে প্রশ্রয় দেইনি। আকিফুলের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে অভিযোগ ওঠার পর তার সঙ্গে আমি কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছি। তিনি বলেন আমি এখন নিজেই ওএসডি। আমি কখনই প্রভাব বিস্তার করিনি।
এ ব্যাপারে রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী জানান, পুলিশিং কিংবা কোনো দলের ক্ষমতা ব্যবহার করে জমিদখলসহ কোন অপরাধের সুযোগ নেই। বিষয়টি ওসিকে জানানো হয়েছে এবং প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।