ভোলাহাট (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) : মহানন্দা নদীর ওপর সেতু নির্মাণাধীন। এর পাশ দিয়ে বালু উত্তোলনের দৃশ্য -সংবাদ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট ও গোমস্তাপুর উপজেলায় প্রবাহিত মহানন্দা নদীর ফোরামঘাটের ওপর নির্মাণাধীন সেতুর পাশ থেকে বালু উত্তোলন বন্ধে ১৪ জন কর্মকর্তার নামে লিগ্যাল নোটিস প্রদান করেছেন। সেতুর স্থায়িত্ব হুমকি ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় নদী ভাঙনের আশঙ্কার অভিযোগ তুলে গত বৃহস্পতিবার লিগ্যাল নোটিস প্রদান করেছেন হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফাতহুল বারী।
নোটিসে বলা হয়, সরকারের প্রায় শত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন সেতু স্থানীয় জনগণের যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় জেলা বালুমহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) আইন ২০২৩ এর ৪(৭) ধারা যথাযথ ভাবে পর্যালোচনা না করে বিশেষ করে নির্মাণাধীন সেতুর পাশ থেকে বালু উত্তোলন করার অনুমতি প্রদাণ করায় স্থানীয় জনগণের স্বপ্নের সেতুর স্থায়ীত্ব মারাত্বক হুমকির মধ্যে পড়েছে।
নোটিসে আরও উল্লেখ, বালু উত্তোলনের জন্য নির্ধারিত সময়সীমা ৩০ জুন ২০২৫ শেষ হলেও এখনও উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি শর্তভঙ্গ করে কয়েকশ গাড়ি বালু অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বিগত কয়েক বছর ধরে নদীর দুই পাড়ের বাসিন্দারা নদী ভাঙনের শিকার হয়ে তাদের বসতভিটাসহ ফসলি জমি নদীতে বিলীন হচ্ছে। ভাঙনকবলিত জায়গায় অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করলে ভাঙনের পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে। নদীপাড় রক্ষার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে অসংখ্যবার এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে বলে নোটিসে উল্লেখ রয়েছে।
অ্যাডভোকেট ফাতহুল বারী তার লিগ্যাল নোটিসে অবিলম্বে বালু উত্তোলন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছেন। অন্যথায় তিনি জনস্বার্থে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী উচ্চ আদালতে আইনি প্রতিকার চাইতে বাধ্য হবেন বলে উল্লেখ করেন।
নোটিসে ভূমি মন্ত্রনালয় সচিব, রাজশহী বিভাগীয় কমিশনার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী, জেলা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোমস্তাপুর, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ভোলাহাট, গোমস্তাপুর উপজেলার বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, ভোলাহাট উপজেলার দলদলী ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, এমএমবিইএল অ্যান্ড এমএমএম জেভি প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার ও সরকরাহকারী প্রতিষ্ঠানের নামে লিগ্যাল নোটিস প্রেরণ করা হয়েছে।
ভোলাহাট (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) : মহানন্দা নদীর ওপর সেতু নির্মাণাধীন। এর পাশ দিয়ে বালু উত্তোলনের দৃশ্য -সংবাদ
শনিবার, ০৯ আগস্ট ২০২৫
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট ও গোমস্তাপুর উপজেলায় প্রবাহিত মহানন্দা নদীর ফোরামঘাটের ওপর নির্মাণাধীন সেতুর পাশ থেকে বালু উত্তোলন বন্ধে ১৪ জন কর্মকর্তার নামে লিগ্যাল নোটিস প্রদান করেছেন। সেতুর স্থায়িত্ব হুমকি ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় নদী ভাঙনের আশঙ্কার অভিযোগ তুলে গত বৃহস্পতিবার লিগ্যাল নোটিস প্রদান করেছেন হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফাতহুল বারী।
নোটিসে বলা হয়, সরকারের প্রায় শত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন সেতু স্থানীয় জনগণের যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় জেলা বালুমহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) আইন ২০২৩ এর ৪(৭) ধারা যথাযথ ভাবে পর্যালোচনা না করে বিশেষ করে নির্মাণাধীন সেতুর পাশ থেকে বালু উত্তোলন করার অনুমতি প্রদাণ করায় স্থানীয় জনগণের স্বপ্নের সেতুর স্থায়ীত্ব মারাত্বক হুমকির মধ্যে পড়েছে।
নোটিসে আরও উল্লেখ, বালু উত্তোলনের জন্য নির্ধারিত সময়সীমা ৩০ জুন ২০২৫ শেষ হলেও এখনও উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি শর্তভঙ্গ করে কয়েকশ গাড়ি বালু অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বিগত কয়েক বছর ধরে নদীর দুই পাড়ের বাসিন্দারা নদী ভাঙনের শিকার হয়ে তাদের বসতভিটাসহ ফসলি জমি নদীতে বিলীন হচ্ছে। ভাঙনকবলিত জায়গায় অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করলে ভাঙনের পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে। নদীপাড় রক্ষার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে অসংখ্যবার এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে বলে নোটিসে উল্লেখ রয়েছে।
অ্যাডভোকেট ফাতহুল বারী তার লিগ্যাল নোটিসে অবিলম্বে বালু উত্তোলন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছেন। অন্যথায় তিনি জনস্বার্থে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী উচ্চ আদালতে আইনি প্রতিকার চাইতে বাধ্য হবেন বলে উল্লেখ করেন।
নোটিসে ভূমি মন্ত্রনালয় সচিব, রাজশহী বিভাগীয় কমিশনার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী, জেলা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোমস্তাপুর, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ভোলাহাট, গোমস্তাপুর উপজেলার বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, ভোলাহাট উপজেলার দলদলী ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, এমএমবিইএল অ্যান্ড এমএমএম জেভি প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার ও সরকরাহকারী প্রতিষ্ঠানের নামে লিগ্যাল নোটিস প্রেরণ করা হয়েছে।