মাদারগঞ্জ (জামালপুর) : পশ্চিম মোসলেমাবাদ সরকারি প্রথামিক বিদ্যালয় -সংবাদ
চেয়ার, টেবিল, ব্র্যাঞ্চ, ব্ল্যাক বোর্ড ও ৬ জন শিক্ষক সবই আছে কেবল নেই কোনো শিক্ষার্থী! এমন চিত্র দেখা গেছে জামালপুরের মাদারগঞ্জে পশ্চিম মোসলেমাবাদ সরকারি প্রথামিক বিদ্যালয়ে। ছয় শিক্ষকের বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নেই একজনও, পতাকাও অর্ধনমিত।
হিসাব অনুযায়ী কাগজে-কলমে বিদ্যালয়টিতে ১০০ জন শিক্ষার্থী থাকার কথা থাকলেও ৬ আগস্ট দুপুর ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত কোনো শ্রেণীকক্ষে একজন শিক্ষার্থীকেও দেখা যায়নি। অফিস কক্ষে ৩ জন সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তারা খোশগল্প করে সময় কাটাচ্ছিলেন। আর স্কুল মাঠ যেন পাট কাঠি শুকানো ও গোচারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে তা স্পষ্ট দেখা যায়।
গত বুধবার দুপুর ২টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয় ভবনের শ্রেণী কক্ষগুলো ফাঁকা। পতাকাটিও অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ ৬ জন শিক্ষকের মধ্যে তিনজন সহকারী শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। এ সময় একজন শিক্ষার্থীও উপস্থিত ছিল না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপস্থিত সহকারী শিক্ষকরা বলেন, প্রধান শিক্ষক উপজেলা শিক্ষা অফিসে গেছেন। এক শিক্ষক চিকিৎসাজনিত ছুটিতে, অন্যজন প্রশিক্ষণে, আর শিক্ষার্থীরা বাড়িতে চলে গেছে। শিক্ষার্থীদের হাজিরা দেখতে চাইলে তারা প্রধান শিক্ষকের অনুমতি ছাড়া দেখাতে পারবেন না বলেন।
পশ্চিম মোসলেমাবাদ সরকারি প্রথামিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছরীন বেগম পান্না বলেন, তিনি উপজেলায় ছিলেন। বিদ্যালয়ে কাগজ-কলমে ১০০ জন শিক্ষার্থী আছে। উপজেলায় যাওয়ার আগে বিদ্যালয়ে কয়েক জন রেখে এসেছিলাম। পতাকা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সংবাদকে বলেন, বাতাসে পতাকা সরে গেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল আমিন সংবাদকে বলেন, ছয় শিক্ষকের বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নেই একজনও, পতাকা অর্ধনমিত বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মাদারগঞ্জ (জামালপুর) : পশ্চিম মোসলেমাবাদ সরকারি প্রথামিক বিদ্যালয় -সংবাদ
শনিবার, ০৯ আগস্ট ২০২৫
চেয়ার, টেবিল, ব্র্যাঞ্চ, ব্ল্যাক বোর্ড ও ৬ জন শিক্ষক সবই আছে কেবল নেই কোনো শিক্ষার্থী! এমন চিত্র দেখা গেছে জামালপুরের মাদারগঞ্জে পশ্চিম মোসলেমাবাদ সরকারি প্রথামিক বিদ্যালয়ে। ছয় শিক্ষকের বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নেই একজনও, পতাকাও অর্ধনমিত।
হিসাব অনুযায়ী কাগজে-কলমে বিদ্যালয়টিতে ১০০ জন শিক্ষার্থী থাকার কথা থাকলেও ৬ আগস্ট দুপুর ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত কোনো শ্রেণীকক্ষে একজন শিক্ষার্থীকেও দেখা যায়নি। অফিস কক্ষে ৩ জন সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তারা খোশগল্প করে সময় কাটাচ্ছিলেন। আর স্কুল মাঠ যেন পাট কাঠি শুকানো ও গোচারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে তা স্পষ্ট দেখা যায়।
গত বুধবার দুপুর ২টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয় ভবনের শ্রেণী কক্ষগুলো ফাঁকা। পতাকাটিও অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ ৬ জন শিক্ষকের মধ্যে তিনজন সহকারী শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। এ সময় একজন শিক্ষার্থীও উপস্থিত ছিল না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপস্থিত সহকারী শিক্ষকরা বলেন, প্রধান শিক্ষক উপজেলা শিক্ষা অফিসে গেছেন। এক শিক্ষক চিকিৎসাজনিত ছুটিতে, অন্যজন প্রশিক্ষণে, আর শিক্ষার্থীরা বাড়িতে চলে গেছে। শিক্ষার্থীদের হাজিরা দেখতে চাইলে তারা প্রধান শিক্ষকের অনুমতি ছাড়া দেখাতে পারবেন না বলেন।
পশ্চিম মোসলেমাবাদ সরকারি প্রথামিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছরীন বেগম পান্না বলেন, তিনি উপজেলায় ছিলেন। বিদ্যালয়ে কাগজ-কলমে ১০০ জন শিক্ষার্থী আছে। উপজেলায় যাওয়ার আগে বিদ্যালয়ে কয়েক জন রেখে এসেছিলাম। পতাকা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সংবাদকে বলেন, বাতাসে পতাকা সরে গেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল আমিন সংবাদকে বলেন, ছয় শিক্ষকের বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নেই একজনও, পতাকা অর্ধনমিত বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।