এমআরটি লাইন-১ এর এয়ারপোর্ট রুটে মোট ১২টি স্টেশন স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এর মধ্যে দেড় কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি স্টেশন- আফতাবনগর, রামপুরা ও মালিবাগ স্থাপনের পরিকল্পনাকে ‘অপ্রয়োজনীয় বিলাসিতা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন রামপুরাবাসী। শনিবার,(০৯ আগস্ট ২০২৫) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পাতালরেল এমআরটি লাইন-১ এর এয়ারপোর্ট রুটে মোট ১২টি স্টেশন পরিকল্পিত, যার মধ্যে খুব কাছাকাছি তিনটি স্টেশন- আফতাবনগর, রামপুরা ও মালিবাগ। এর মধ্যে রামপুরা স্টেশন থেকে দুই পাশের স্টেশন পর্যন্ত হাঁটার দূরত্ব সর্বোচ্চ ৫-৭ মিনিট, বাস বা রিকশায় সময় লাগে আরও কম। তারা মধ্যবর্তী রামপুরা স্টেশন বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেছেন, সরকার যদি সিদ্ধান্তে অটল থাকে, তবে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে।
তাদের মতে, প্রতিটি স্টেশনের নির্মাণ ব্যয় প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এ অবস্থায় খুব কাছাকাছি তিনটি স্টেশন স্থাপন শুধুই অপ্রয়োজনীয় খরচ ও বিলাসিতা। রামপুরা স্টেশন বাদ দিলে প্রকল্প ব্যয় কমবে এবং বাসিন্দাদের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও হ্রাস পাবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রামপুরা ডিআইটি রোড এলাকায় প্রতি শতাংশ জমির বাজারমূল্য এখন প্রায় ১২ কোটি টাকা। অথচ সরকারি মৌজা রেট পূর্ব রামপুরায় মাত্র ৫৩ লাখ ৪০ হাজার এবং পশ্চিম রামপুরায় ৩৬ লাখ টাকা, যা বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। আফতাবনগর বা মেরাদিয়া এলাকায় যেখানে মৌজা রেটই কোটি টাকার ওপরে, সেখানে মেইন রোডে এত কম মূল্য অযৌক্তিক।
এছাড়া ওই এলাকায় প্রায় ৫০০ লোকের কর্মসংস্থান রয়েছে, যাদের মধ্যে অনেকেই ব্যাংক ঋণ নিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছেন। স্টেশন নির্মাণ হলে তারা চাকরি হারাবেন ও আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত হবেন বলেও উল্লেখ করেন এলাকাবাসী। তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আমরা এমআরটি প্রকল্পের বিপক্ষে নই, তবে জনগণের ক্ষতি করে তা যেন বাস্তবায়ন না হয়।
এজন্য রামপুরা স্টেশন বাতিল করে দুই পাশের স্টেশন (আফতাবনগর ও মালিবাগ) রেখে প্রকল্প বাস্তবায়ন করলেই যথেষ্ট। বক্তারা বলেন, আর যদি সরকার স্টেশন নির্মাণে অনড় থাকে, তবে ভূমির প্রকৃত বাজারদর অনুযায়ী ১২ কোটি টাকা প্রতি শতাংশ হারে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সেই সঙ্গে সমপরিমাণ জমি রাজধানীর ১০০ ফুট বা ২০০ ফুট সড়কের পাশে পুনর্বাসনের আওতায় দিতে হবে। কর্মহীনদের পুনর্বাসন পরিকল্পনাও থাকতে হবে।
লিখিত বক্তব্যে মো. মনোয়ার হোসেন শেখ বলেন, আমরা বারবার ডিসি অফিস ও মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, চিঠি দিয়েছি। কিন্তু তারা শুধু আমাদের কথা শুনে বলেন, ‘আমাদের কিছু করার নেই’। এভাবে চলতে পারে না।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রামপুরার বাসিন্দা শেখ জিয়া উদ্দিন আহমদ, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. তাইজুল ইসলাম, স্বপন আহমেদ, আদিলরুবা বেগম ও তানিয়া আক্তার রিমা।
রোববার, ১০ আগস্ট ২০২৫
এমআরটি লাইন-১ এর এয়ারপোর্ট রুটে মোট ১২টি স্টেশন স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এর মধ্যে দেড় কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি স্টেশন- আফতাবনগর, রামপুরা ও মালিবাগ স্থাপনের পরিকল্পনাকে ‘অপ্রয়োজনীয় বিলাসিতা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন রামপুরাবাসী। শনিবার,(০৯ আগস্ট ২০২৫) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পাতালরেল এমআরটি লাইন-১ এর এয়ারপোর্ট রুটে মোট ১২টি স্টেশন পরিকল্পিত, যার মধ্যে খুব কাছাকাছি তিনটি স্টেশন- আফতাবনগর, রামপুরা ও মালিবাগ। এর মধ্যে রামপুরা স্টেশন থেকে দুই পাশের স্টেশন পর্যন্ত হাঁটার দূরত্ব সর্বোচ্চ ৫-৭ মিনিট, বাস বা রিকশায় সময় লাগে আরও কম। তারা মধ্যবর্তী রামপুরা স্টেশন বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেছেন, সরকার যদি সিদ্ধান্তে অটল থাকে, তবে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে।
তাদের মতে, প্রতিটি স্টেশনের নির্মাণ ব্যয় প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এ অবস্থায় খুব কাছাকাছি তিনটি স্টেশন স্থাপন শুধুই অপ্রয়োজনীয় খরচ ও বিলাসিতা। রামপুরা স্টেশন বাদ দিলে প্রকল্প ব্যয় কমবে এবং বাসিন্দাদের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও হ্রাস পাবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রামপুরা ডিআইটি রোড এলাকায় প্রতি শতাংশ জমির বাজারমূল্য এখন প্রায় ১২ কোটি টাকা। অথচ সরকারি মৌজা রেট পূর্ব রামপুরায় মাত্র ৫৩ লাখ ৪০ হাজার এবং পশ্চিম রামপুরায় ৩৬ লাখ টাকা, যা বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। আফতাবনগর বা মেরাদিয়া এলাকায় যেখানে মৌজা রেটই কোটি টাকার ওপরে, সেখানে মেইন রোডে এত কম মূল্য অযৌক্তিক।
এছাড়া ওই এলাকায় প্রায় ৫০০ লোকের কর্মসংস্থান রয়েছে, যাদের মধ্যে অনেকেই ব্যাংক ঋণ নিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছেন। স্টেশন নির্মাণ হলে তারা চাকরি হারাবেন ও আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত হবেন বলেও উল্লেখ করেন এলাকাবাসী। তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আমরা এমআরটি প্রকল্পের বিপক্ষে নই, তবে জনগণের ক্ষতি করে তা যেন বাস্তবায়ন না হয়।
এজন্য রামপুরা স্টেশন বাতিল করে দুই পাশের স্টেশন (আফতাবনগর ও মালিবাগ) রেখে প্রকল্প বাস্তবায়ন করলেই যথেষ্ট। বক্তারা বলেন, আর যদি সরকার স্টেশন নির্মাণে অনড় থাকে, তবে ভূমির প্রকৃত বাজারদর অনুযায়ী ১২ কোটি টাকা প্রতি শতাংশ হারে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সেই সঙ্গে সমপরিমাণ জমি রাজধানীর ১০০ ফুট বা ২০০ ফুট সড়কের পাশে পুনর্বাসনের আওতায় দিতে হবে। কর্মহীনদের পুনর্বাসন পরিকল্পনাও থাকতে হবে।
লিখিত বক্তব্যে মো. মনোয়ার হোসেন শেখ বলেন, আমরা বারবার ডিসি অফিস ও মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, চিঠি দিয়েছি। কিন্তু তারা শুধু আমাদের কথা শুনে বলেন, ‘আমাদের কিছু করার নেই’। এভাবে চলতে পারে না।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রামপুরার বাসিন্দা শেখ জিয়া উদ্দিন আহমদ, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. তাইজুল ইসলাম, স্বপন আহমেদ, আদিলরুবা বেগম ও তানিয়া আক্তার রিমা।