চট্টগ্রামের পটিয়ায় ‘এস আলম মুক্ত’ ব্যাংকের চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষোভের কারণে রোববার প্রায় চার ঘণ্টা সরকারি ও বেসরকারি সব ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
সকাল থেকে পটিয়ার বিভিন্ন ব্যাংকের সামনে অবস্থান নেন এই কর্মীরা। পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানুর রহমান জানান, তাদের বিক্ষোভের কারণে গ্রাহকরা ব্যাংকগুলোর ভিতরে প্রবেশ করতে পারেননি।
“পুলিশ ও প্রশাসন সকাল থেকেই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলছিল। বেলা ১টার দিকে সোনালী ব্যাংক থেকে শুরু করে ধাপে ধাপে সবাইকে বুঝিয়ে ব্যাংক সামনের থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন ব্যাংকিং কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে,” বলেন তিনি।
রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর আলোচিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলমের নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এ সময় এস আলমের নিয়ন্ত্রণাধীন সময়ে নিয়োগ পাওয়া অসংখ্য কর্মকর্তাকে বিনা নোটিসে চাকরিচ্যুত করা হয়।
আন্দোলনকারীরা দাবি করেন, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে সাত হাজারের বেশি কর্মী ‘চট্টগ্রাম ট্যাগ’ ব্যবহার করে একের পর এক চাকরিচ্যুত হয়েছেন।
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের সাবেক কর্মী আশরাফ আলী বলেন, “দেশের অর্থনীতি পরিচালিত হয় চট্টগ্রাম থেকে, কিন্তু একগোষ্ঠী চট্টগ্রামের জনগণের সঙ্গে বৈষম্য করছে। পটিয়ার পাশাপাশি লোহাগাড়া, সীতাকুণ্ড ও মীরসরাইয়ের লোকজনকেও ‘পটিয়াবাসী ট্যাগ’ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “অনেক কর্মী চাকরির শেষ বয়সে এসে ব্যাংকে যোগ দিয়েছিলেন, কিন্তু চাকরিচ্যুত হওয়ার কারণে এখন আর কোথাও আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন না। এর ফলে তাদের জীবনযাপন অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৯টার দিকে পটিয়া স্কুল মাঠ থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ কর্মীরা সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক এবং এটিএম বুথের সামনে অবস্থান নেয়।
অগ্রণী ব্যাংকের পটিয়া শাখার ব্যবস্থাপক আবু ইব্রাহীম জানান, “আমাদের কর্মকর্তারা ব্যাংকের ভিতরে ছিলেন, তবে আন্দোলনকারীদের অবস্থানের কারণে গ্রাহকরা প্রবেশ করতে পারেননি। যাদের প্রবেশ করতে হয়েছে, তাদের সেবা দেওয়া হয়েছে।”
চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পটিয়া সার্কেল) আরিফুল ইসলাম বলেন, “চাকরিচ্যুত কর্মীরা ব্যাংকের সামনে অবস্থান নিয়েছিল, কিন্তু সড়কে কোনো বাধা সৃষ্টি হয়নি। আমরা তাদের বুঝিয়ে সরিয়ে দিয়েছি, এখন ব্যাংকিং কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।”
---
রোববার, ১০ আগস্ট ২০২৫
চট্টগ্রামের পটিয়ায় ‘এস আলম মুক্ত’ ব্যাংকের চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষোভের কারণে রোববার প্রায় চার ঘণ্টা সরকারি ও বেসরকারি সব ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
সকাল থেকে পটিয়ার বিভিন্ন ব্যাংকের সামনে অবস্থান নেন এই কর্মীরা। পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানুর রহমান জানান, তাদের বিক্ষোভের কারণে গ্রাহকরা ব্যাংকগুলোর ভিতরে প্রবেশ করতে পারেননি।
“পুলিশ ও প্রশাসন সকাল থেকেই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলছিল। বেলা ১টার দিকে সোনালী ব্যাংক থেকে শুরু করে ধাপে ধাপে সবাইকে বুঝিয়ে ব্যাংক সামনের থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন ব্যাংকিং কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে,” বলেন তিনি।
রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর আলোচিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলমের নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এ সময় এস আলমের নিয়ন্ত্রণাধীন সময়ে নিয়োগ পাওয়া অসংখ্য কর্মকর্তাকে বিনা নোটিসে চাকরিচ্যুত করা হয়।
আন্দোলনকারীরা দাবি করেন, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে সাত হাজারের বেশি কর্মী ‘চট্টগ্রাম ট্যাগ’ ব্যবহার করে একের পর এক চাকরিচ্যুত হয়েছেন।
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের সাবেক কর্মী আশরাফ আলী বলেন, “দেশের অর্থনীতি পরিচালিত হয় চট্টগ্রাম থেকে, কিন্তু একগোষ্ঠী চট্টগ্রামের জনগণের সঙ্গে বৈষম্য করছে। পটিয়ার পাশাপাশি লোহাগাড়া, সীতাকুণ্ড ও মীরসরাইয়ের লোকজনকেও ‘পটিয়াবাসী ট্যাগ’ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “অনেক কর্মী চাকরির শেষ বয়সে এসে ব্যাংকে যোগ দিয়েছিলেন, কিন্তু চাকরিচ্যুত হওয়ার কারণে এখন আর কোথাও আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন না। এর ফলে তাদের জীবনযাপন অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৯টার দিকে পটিয়া স্কুল মাঠ থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ কর্মীরা সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক এবং এটিএম বুথের সামনে অবস্থান নেয়।
অগ্রণী ব্যাংকের পটিয়া শাখার ব্যবস্থাপক আবু ইব্রাহীম জানান, “আমাদের কর্মকর্তারা ব্যাংকের ভিতরে ছিলেন, তবে আন্দোলনকারীদের অবস্থানের কারণে গ্রাহকরা প্রবেশ করতে পারেননি। যাদের প্রবেশ করতে হয়েছে, তাদের সেবা দেওয়া হয়েছে।”
চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পটিয়া সার্কেল) আরিফুল ইসলাম বলেন, “চাকরিচ্যুত কর্মীরা ব্যাংকের সামনে অবস্থান নিয়েছিল, কিন্তু সড়কে কোনো বাধা সৃষ্টি হয়নি। আমরা তাদের বুঝিয়ে সরিয়ে দিয়েছি, এখন ব্যাংকিং কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।”
---